আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঈদে সবাই মিলে আনন্দ করতে আসুন আমরা আবারো কার্টুনিষ্ট আরিফের মুক্তি চাই

৭১ এ ছোট ছিলাম, যুদ্ধে যেতে পারি নাই, এই আক্ষেপ ফুরাবার না

ছবির এই ছেলেটার নাম মো. আরিফুর রহমান। বয়স মাত্র ২৩, বাবা-মায়ের একমাত্র ছেলে, বাড়ি সিরাজগঞ্জে। কদিন পরেই ঈদ। সবাই যখন আনন্দ করবে, বাবা-মা দূরে আছে যারা তারা বাড়িতে যাবে, ঈদের নামাজ পড়বে, সকালে সেমাই খাবে, নতুন জামা পড়ে বড়দের সালাম করবে-এই আরিফ তখন অন্ধকার এক প্রকোষ্ঠে অনিশ্চিত এক জীবন কাটাবে। না, আরিফ ঈদে বাড়ি যেতে পারবে না।

সে এখন জেলে। একটা কার্টুন একে, কার্টুন-রাজনীতির চক্রে পরে আরিফ জেলে পচছে। আমার হাতে ছবি আঁকা হয় না, মানুষের মুখ আকঁলে নীচে তা শিরোনাম দিয়ে দিতে হয়। আরিফেরও কোনো প্রথাগত শিক্ষা ছিল না। কিন্তু কার্টুন আকাঁকে সে পেশা হিসাবে নিতে চেয়েছিল।

একেকটা কার্টুন মানেই কিছু আয়। সেই কার্টুন আরিফকে জেলে নিয়ে গেলো। ছোট বেলা থেকে দেখে আসছি ঈদের আগে বিশেষ বিবেচনায় সাজাপ্রাপ্তদের সরকার শাস্তি মওকুফ করে দেয়। আরিফ কি সেটাও পেতে পারে না? ২৩ বছরের যারা আছেন তারা কি ভাবতে পারেন আপনি যখন ঈদের প্রস্তুতি নিচ্ছেন আরিফের জীবন তখন অনিশ্চয়তায় ভরা। এই জীবন কি তার প্রাপ্য ছিল? ছবিতে দেখুন আরিফ দুর্নীতি বিরোধী কার্টুন একে সেরা পুরস্কার নিচ্ছে টোকাই স্রষ্ঠা রনবীর কাছ থেকে।

পাশের লোকটি দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান হাসান মসউদ চৌধুরী। তিনি দেশের অর্থনৈতিক দুর্নীতি বন্ধ করবেন কিন্তু ধর্ম ব্যবসায়ীদের মনের দুর্নীতি, আমাদের সংকীর্ণতা কে দূর করবে। আর সত্যিকার অর্থেই যারা মনে করেন যে তাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে, তারাও না হয় মাফ করে দিন। নবীজি (সা এর ক্ষমা করার দৃষ্টান্তগুলো মনে করুণ। আমি আরিফের মুক্তি চাই, আপনারা কি আছেন আমার সঙ্গে? আসুন এক সুরে দাবী জানাই, আরিফের মুক্তি চাই।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।