আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হয়ে গেল সোলায়মান মেলা

আমি তো যেন জন্মছি, মিছি মিছি

ঢাকা গেলাম অন্য কাজে। নিতান্তই পারিবারিক। আর বন্ধুদের সাথে দেখা করা। প্রাচ্যনাটের কয়েক জন বন্ধুর বদৌলতে জানতে পারলাম নাট্যকার এস এম সোলায়মানের স্মরনে শুক্রবার সারাদিন ব্যাপি সোলায়মান মেলা। রয়ে গেলাম আরো দুদিন।

শিল্পকলায় আমার পোঁছতে পৌঁছতে সাড়ে এগারো। কেন জানি শুক্রবারও হতচ্ছারা ঢাকার ছুটি নাই। নতুন বাজার থেকে সেগুন বাগান যেতে লাগলো পাক্কা দেড় ঘন্টা। গেটে নেমেতো আমি হতবাক। রোজার মাসে ঢোল বাদ্য বাঁজাতে বাঁজাতে ছেলে মেয়েরা নাচছে, গাইছে।

চিৎকার করে ডায়লগ দিচ্ছে। মোল্লারা ছুটে আসবে নাতো ? চারদিকে ভিড়, আমিও ভিড়ের মধ্যে ঢুকে গেলাম। দুদকের সামনের গেইটটার সিঁড়ির পাশে বসেছে সুবচন নাট্য দল। তারা তখন প্রচন্ড রোদে একটা নাটক করছে। আর অসংখ্য দর্শক তাদের তিন পাশ থেকে ঘিরে উপভোগ করছে।

উপরে উঠতেই দেখি আর একটা দল ঢোল বাজিয়ে নেচে নেচে গান গাচ্ছে। তমালিকা কর্মকারদের দল। ঢাকা চারুকলার জুনিয়র ফ্রেন্ড আল আমিন উদয় হল। ওকে নিয়েই বামের বাড়ান্দায় প্রাচ্যনাট এর সীমানায় এলাম। সুন্দর সুন্দর অভিনেত্রী গুলা গোল হয়ে কাগজ দিয়ে ফুল পাখি বানাচ্ছে।

প্রিতি, জবা, সুমী, ইতি আরো অনেকে। পেছনে ফুল পাখির ক্যাপশন। একটা লম্বা পাতার দড়ি উপর থেকে ঝুলছে। পোলারা সব পেছনে দাড়িয়ে নানা ধরনের যন্ত্র সহযোগে নাটকের গান গাচ্ছে। পাভেল ভাই একপাশে দাড়িয়ে বিড়ি ফুঁকছে।

রাহুলদার নেত্রীত্বে চলছে গান। কার্তিক দার গিটার। হাঁটতে হাঁটতে একে একে পালাকার,প্রাঙ্গণেমোর,সিএটি,সুবচন,আরণ্যক এর স্টল গুলা দেখলাম। অগিটোরিয়ামে দেখলাম বিভিন্ন দল বিশ পঁচিশ মিনিটের একটা করে অনুষ্ঠান করছে। অনেক্ষন এসিতে বসে সেগুলো শুনলাম।

নাট্যকার সোলায়মানের উপর একটা ডকোমেন্টারি দেখলাম। বাইরে এসে দেখি প্রাচ্যর স্কুল স্টুডেন্টদের একটা স্ট্রিট। মজা পেলাম নতুন নতুন এইসব প্রান দেখে। দুর্নিতি বিরোধী। টিভির কত রথী মহা রথীদের সাথে ঘুরতে বসতে ভালোই লাগছিল।

এইভাবে কেঁটে গেল কয়েকটি ঘন্টা। রাতের ক্যাম্প ফায়ার আর লাঠি খেলাটা মিস করেই , একজনকে ফোন করবো বলে কথা দিয়ে , বাসায় ফিরি। রাতে চট্টগ্রাম না ফিরলেই নয়। আসার সময় কয়টা বই আর একটা টি-শার্ট নিলাম। বুকের কাছটায় সোলায়মানের একটা পোর্ট্রেট।

(মোবাইল থেকে ছবি উদ্ধার করতে পারি নাই এখনো। )

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।