আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হে বটবৃক্ষ সাবধান!

কেউ বুঝে না এই আমাকে...তাই আমিও কাউকে আর বুঝতে চাই না। আমি লতা.। কেন যে বাবা-মা শৈশবে আমার ডাক নামটা লতা রেখেছিলেন জানি না। খুব ছোট বেলায় লিকলকে স্বাস্থ্য হওয়ার কারণেই বোধ হয় এই বিভ্রাট। তবে কোন বটবৃক্ষের দয়ায় পরনির্ভরশীল হয়ে বেঁচে থাকতে রাজি নই।

লতা হলেও আমি কোনা বটবৃক্ষকে জড়িয়ে ধরে নিজের আথের গোছাতে রাজি ছিলাম না। আত্মবিশ্বাস নিয়ে নিজের মতো এগিয়ে যেতে চলেছি এবং আজীবন চলতে চাই। কত বটবৃক্ষ সেচ্ছায় ডালপালা মেলে হাতছানি দিয়ে ডেকেছে আমাকে। কিছু ক্ষেত্রে বিভ্রান্ত হয়ে আমি এগিয়েও গেছি। কিন্তু কাছে গিয়ে বরাবরই হয়েছি হতাশ ।

বটবৃক্ষের গায়ে থাকে ছোট-বড় অন্ধকার কোটর। সেখানে জমাট বাঁধা অনেক লতার গাঢ় বেদনা জমাট বেঁধে আছে। যা দেখলে আতংকে শিউরে উঠতে হয়। আমি ঐ কোটর দেখে ফিরে এসেছি বার বার। এজন্যই আমি এথনও নিতান্তই লতা হয়ে আছি।

তবে আমি এজন্য চিন্তিত নই মোটেও। কারণ আমাদের দেশে এথনও সম্ভ্রম নিয়ে অবহেলায় হলেও অসংখ্য লতা ছড়িয়ে আছে। এইসব লতা যদি সব একত্রিত হয়, তাহলে তীব্র অহংকারে দন্ডয়মান কোটরভর্তি বটবৃক্ষের বারোটা বাজিয়ে দিতে পারে। দেয়ালে পিঠ ঠেকলে অবশেষে নিশ্চয়ই সব লতা এক প্রচন্ড শক্তি হয়ে গিলে খাবে সব বটবৃক্ষ। তাই বলি, হে বটবৃক্ষ সাবধান!  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।