আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জামায়াত-শিবির অ্যালার্জি থেকে মুক্ত পাবার উপায়



ব্লগে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের লেখা পড়ি। কিন্তু একটা বিষয় খুব লক্ষ্য করছি, তা হচ্ছে- জামায়াত নিয়ে কোন একটা লেখা প্রকাশ পেলে তা নিয়ে মন্তব্যের হিড়িক পড়ে যায়। বিষয়টি বুঝতে একটু সময় নিলাম। তারপর বিশ্লেষন করে যা ধরা পড়ল তাতে বুঝতে পারলাম এটা এক ধরনের মানুষের জন্য একটা রোগ। তারা জামায়াতকে সহ্যই করতে পারে না।

জামায়াতের কথা ভাল কিছু শুনলে বা পড়লে শুরু হয়ে যায় অ্যালার্জি বা চুলকানি। তো এই চুলকানি থেকে মুক্ত পাবার কয়েকটি উপায়ের কথা বলছি। সম্ভব হলে প্রয়োগ করে দেখবেন, আশা করি ভাল ফল পাবেন। ১. জামায়াত হচ্ছে একটি ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল যা বাংলাদেশে প্রথম প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭৭ সালে। তখন বর্তমানকালের নতুন যে সব ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল হয়েছে তাদের কাছে ইসলামে রাজনীতি হারাম ছিল।

এখন হালাল হয়েছে(কি জানি কবে অহী নাযিল হল)। আবার অনেকে এখন ও সেই গোড়ামীতে আছেন। এখন প্রশ্ন হল ধর্ম কি বলে এ ব্যাপারে তা জানা। বর্তমান প্রযুক্তির যুগে আমাদের সামনে কোরআন ও হাদীস জানা খুবই সহজতর হয়ে গেছে। আগে হুজুর ধরতে হত।

এখন তা লাগে না। কোরআনের বাংলা অর্থ ও ৬টি বিশুদ্ধ হাদীসের বাংলা সংকলন পাওয়া যায়। দয়া করে তা পড়ে ধর্ম সম্মন্ধে জেনে নিন। তারপর বুঝতে পারবেন ধর্ম নিয়ে ভন্ডামী ব্যবসা কারা করছে। অ্যালার্জি ও কিছুটা কমবে আশা করি।

২.সত্যকে জানার চেষ্টা করুন। সত্য জানবেন কোথা হতে? যেইখানে মিথ্যা হওয়ার সুযোগ নেই। মানুষের মুখের কথা তা সে যত বড় ভাল হোক না কেন মিথ্যা হতেই পারে। আর আল্লাহর কথা, সেটা সন্দেহের উর্দ্ধে। তাই সত্য জানার জন্য কোরআনের আশ্রয় নিতে হবে।

তাহলে দেখা যাচ্ছে যে, সত্য মিথ্যার দন্দ্ব থেকে বের হতে চাইলে আপনাকে সত্য জানতে হবে। এর কোন বিকল্প নেই। তাই জামায়াত-শিবির নিয়ে অযথা হাউ-কাউ না করে সত্য জানার চেষ্টা করুন। মনে রাখবেন মেঘের ঘনঘটা যেমন সূর্যকে খুব বেশিক্ষন আড়াল করে রাখতে পারে না, ঠিক তেমনিভাবে মিথ্যার গলায় বড় জোড়। কিন্তু তা সত্যকে খুব বেশিদিন আড়াল করতে পারে না।

সত্য ঠিকই বের হয়ে আসবে, তবে সে জন্য সত্যবাদীদের আরও সচেতন ও ধৈর্যশীল হতে হবে। মাহে রমজানে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।