আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মনে আমার জাগলো হাউস, মাছ খাইবো কাল বাউস, লুডু খেলিবে কৈকাউস! আমার রোজনামচা: ২০/০৮/২০০৭! উদাসীর লুঙ্গি ছিড়া স্বপ্ন!

আসেন দুর্নীতি করি। আর এই দুনিয়াটাকেই খুচাই!

(+18) পৃথিবীতে দুই ধরনের পিচ্চি আছে, একটা হইতাছে বদের হাড্ডি আরেকটা ভোম্বল টাইপ। সমস্যা হইলো বদের হাড্ডি এই পুলাপান গুলো আমারে দেখলেই মনে করে,"পাইছি একটা মুরগী। " এই টাইপের পিচকিদের সাথে আমার কখনই বনে না বলে আমি এদের হাত হইতে শত হস্ত দূরে থাকি, মাগার যত দূরে যাই এরা তত কাছে আইসা আমারে মাঠের ফুটবলের মতো নাজেহাল করে। মনে হয় আমার চেহারায় এমন কিছু আছে যা দেইখা এরা আগেই সংকেত পায়।

গতকাল্য আমি গিয়াছিলাম আমার নানুর বাসায়, তো ঐ খানে এক পিচকি আছে, আমাকে দেখা মাত্র প্রথম ৫ মিনিট খুউব শরমায়, তারপর কিছু চিন্তা করিয়া আসিয়া আমারে বড়ই নাজেহাল করে। কালকে গিয়াই পিচকির প্রশ্ন: -শুনলাম তুমি নাকি ছোটকালে খুব জ্ঞানী ছিলা? -(আমি তাজ্জুব আর আতন্কিত হইয়া) তো? -যেইটা জিজ্ঞেস করেছি সেটার জবাব দাও! -লোকে তাই বলে! -আচ্ছা বলতো মানুষের জান কোথায় থাকে, মাথায় না শরীরে? -(আমি তোতলাতে তোতলাতে), না মানে...মানে.... -তাহলে জান যদি মাথায় থাকে তাহলে একটা মানুষের মাথা আরেকটা ভালো (সুস্হ) মানুষের মাথায় লাগায় দিলেই তো মানুষ মরে না! আমি তো মহা আশ্চর্য হইয়া গেলাম। আমি এতো আশ্চর্য হইলাম যে জন্মকালে হঠাত কইরা এই দুনিয়া দেইখাও এতো আশ্চর্য হই নাই। যেইটা আমি এখনও চিন্তা করি নাই, সেইটা এই আন্ডা বাচ্চা চিন্তা কইরা আমার হাতে হারিকেন ধরাইয়া দিলো। কি আচার্য! যাই হোক সকাল বেলা একই রুটিনে ঘুম থেকে উঠিয়া নিত্য কাজ সারিয়া আমি অফিসে আসিলাম।

আসিয়া দেখি আমাদের "বৃদ্ধ নাসির" চেয়ারে ঘুমাইতেছে। আমরা নাসির ভাইকে বৃদ্ধ বলি যদিও উনি আমি ইন্টারে একই ব্যাচ, তবুও কারন তার আচার আচরন। বলা হয়, উনি নাকি পয়দা হইসেন মুখে বিল্ট-ইন দাড়ি নিয়া। উনার ভাবেসাবে যৌবনকালেই বৃদ্ধ বয়স পার করিতেছেন। রিসেন্টলি উনি যাকে বিবাহ করিয়াছেন সেও আবার একই কোম্পানী্তে আরও উচু পদে চাকরি করেন।

আসিয়াই তুলিলাম এক ফটুক তারপর জাগাইয়া কহিলাম,"বসের কাছে যাইতাছি। " উনি আবার হাই তুলিয়া ঘুম লাগাইলেন! কোনো বিকার নাই! বেচারা অফিস করার পর ঢাকা ভার্সিটিতে এমবিএ তারপর আবার নতুন বিবাহ। বয়স আল্টিমেটলি আরো ২০ বছরে বাড়িয়া হ্যাং করিয়াছে! কি করা! সারাদিন ব্লগিং, হঠাত ম্যাসেন্জারে গিয়া দেখি ৩ মাস ধরিয়া পরিচয় "মোনা লিসা" (আসল নাম কিনা জানিনা)। বড়ই বিদিক এই চরিত্র, আকাশের মতো এর মুড, কখনো ধূসর, কখনো রাঙ্গা। প্রথমে ভাবিয়াছিলাম এই বুঝি আমার প্রেমের কলি ফুটিলো কোপা সামছুর মতো, মাগার তখনই তার বাগদানের ছবি ৫ মিনিটের জন্য শেয়ার করিলো।

আমার আকাশে উঠা স্বপ্ন মর্ত্যে ফিরিয়া আসিয়া জোরতে আছাড় খাইলো। মনে কত পেইন! টানা ১ ঘন্টা চ্যাটিং এর পর কইলাম না জ্বালাইয়া সামহোয়ারইনে গল্প লেখতে। অফিসিয়াল প্রচুর কাজ করিলাম, মিটিং, ফিটিং, সিটিং করার বিকেলে বাসায় ফোন করিয়া জানতে পারিলাম, আম্মাজানের ডায়বেটিস টেস্ট রিপোর্ট নর্মাল পাওয়া গেছে, এখন চোখের অপারেশন করা যাইবে। খুব সম্ভবত আজ মঙ্গলবার রাত ৯:০০টার দিকে অপারেশন হবে। মনটা বেশ খারাপ হলো।

তার এই অপারেশন হবার কথা ছিলো আরো ছ'মাস আগে থেকে, কিন্তু তার ব্লাডে সুগারের কারনে করা হচ্ছিলো না। যাই হোক আজকে আর জীমে না গিয়ে সরাসরি বাসায় চলে আসলাম ৭:৪৫ এর দিকে। বাসায় এসে দেখি কেউ নাই। আবার বের হলাম নানুর বাসায় যেখানে ঐ পুচকির যন্ত্রনা যুক্ত ইন্টারোগেশন! কিছুক্ষনের জন্য মনে হলো আমি বোধ হয় মালিবাগের সরকারী জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেলে! ঐ বাসা থিকা বের হয়ে এলাকায় হাটা শুরু করিলাম। রাস্তায় দেখা হলো রাজিবের সাথে হাতে সার্টিফিকেটের কপি, এ্যটাস্টেড করাবে।

আগামীকাল নাকি বিসিএস এর ভাইবা। ছেলেটা আমার কলেজ লাইফ থেকে এলাকার বন্ধু। নটরডেম থেকে আমার চেয়ে ভালো রেজাল্ট করে পাশ করলো এইচ এস সি। বুয়েট, বিআইটিতে পরীক্ষা দেয়। চান্স পায় চুয়েটে সিভিলে।

সিভিলে ভর্তি না হয়ে আহসানুল্লায় কম্পিউটারে ভর্তি হয় কম্পিউটারে। আমার ১ বছর আগেই পাশ করে। ৩ বছর বেকার বসে থাকে, এর মধ্যে বিয়ে করে একটা ফুটফুটে ছেলে হয়। আমি চেস্টা করেছিলাম বিভিন্ন জায়গায় ঢুকানোর, হয়তো বা আমার তদ্বির অতোটা স্ট্রং ছিলো না, বা ব্যাড লাকটা আসলেই খারাপ ছিলো। কিছুদিন আগে অবশ্য ওয়ারিদের একটা সাবকন্ট্টাক্টর ফার্মে ঢুকেছে, এবং ঢুকার ৩ মাসের মধ্যেই ঢাকা বিভাগের ওয়ারিদের দেয়া সব সাইটের দায়িত্ব পেয়ে যায়।

এখন আবার বিসিএসের ভাইবা। আমি এখন দেখছি একটা ছেলেকে তরতর করে উপরে উঠতে। আমার খুব ইচ্ছা ছিলো যদি কাউকে কোনোদিন চাকরি দিতে পারি না পারি দুজন মানুষকে আমি চাকরি দিবোই। কিন্তু এই দুইজন বাদে আমি অনেককেই হ্য়তো সাহায্য করতে পেরেছি। আর এরা নিজের যোগ্যতায় উঠে গেল।

কিছুক্ষন আড্ডা দিয়ে চলে আসলাম বাড়ীতে। ১১:৩০টার একটা খবর দেখলাম ঢাকা ইউনিভার্সিটির ছাত্রদের সাথে আর্মির দুব্যবহার আর ফলাফল বিক্ষোভ। আমি একটা জিনিস বুঝি না, আর্মিরা কি জানেনা, ছাত্রদের কি ক্ষমতা? মনে কি নেই ৯০ এর গনঅভ্যুথান, চীনের সেই ১০০০০ ছাত্রের মৃত্যুর ফলাফল? আমার এক বন্ধু ছিলো নাম রিপন। ভার্সিটির পড়া শেষ করার আগেই বিভিন্ন কারনে পাগল হয়ে যায়। ও একটা কথা বলেতো প্রায়ই," সম্মিলিত ছাত্রদের আন্দোলন স্বয়ং ঈশ্বরও মুখোমুখি হন না।

" আমি অবশ্য বেশ আস্তিক টাইপের কিন্তু ওর কথা কিছুটা হলেও সত্য। মাঝে মধ্যে মনে পড়ে "শ্বশুরের নাতী" মার্কেজের অমর সৃষ্টি অরলিয়েনো বুয়েন্দিয়া, ৩৭টি ব্যর্থ অভ্যুথানের নায়ক। তবুও মানুষ কোনো শেখে না। শুনছিলাম মনোযোগ দিয়া গেভিন রোসডেলের গাওয়া এ্যাড্রিনালিন গান, প্রতিপক্ষের সাথে বাউট শুরু করার আহবান: Sail through an empty night It's only you and I who understand There is no plan Get closer to the thrill Only time will kill What's in your eyes Is so alive Adrenaline keeps me in the game Adrenaline you don't even feel the pain Wilder than your wildest dreams When you're going to extremes It takes adrenaline Run through the speed of sound Every thing slows you down And all color that surrounds you Are bleeding to the walls All the things you really need Just wait to find the speed Then you will achieve Escape velocity Too much is not enough Nobody gave it up Im not the kind To lay down and die আসলেই বোধ হয় বিপ্লবের সূচনা হচ্ছে! উদাসীর এই লুঙ্গি ছিড়া স্বপ্ন যেনো সত্যি হয়!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।