আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ড: দেলওয়ার

আমার ব্যক্তিগত ব্লগ

আমার শ্বশুরের একজন কর্মচারী আছেন। নাম দেলওয়ার। ওকে দেখার আগে থেকে ওর প্রশংসা শুনে আসছি। তাকে দিয়ে এমন কোন কাজ নেই যেটা করানো যায় না (কথার কথা)। সে নাকি বলে "কাজ করা যাবে না কেন, নিশ্চয় করা যাবে"।

বিয়ের পর আমি তাকে টুকটাক কেনা থেকে শুরু করে ফ্যান লাগানো, সু্যটকেসের লক ঠিক করা এসব করতে দেখেছি (তার নিয়মিত কাজের বাইরে)। উপরের স্টোর কিছু পারতে হবে.. তাও দেলওয়ারকে ডাক। এমনই অবস্থা। দেলওয়ার দেখতে খুবই ছোটখাট হাসি খুশি মানুষ। দেখলে মনে হয় ১৭/১৮ বছর বয়স।

আসলে অবশ্যই বেশি। তার এক ফুটফুটে মেয়ে আছে। এখন সে (দেলওয়ার) কালো ট্যাক্সি চালায়। সে লেখা পড়া বিশেষ জানেনা শুনেছি। কতদূর জানে তাও জানিনাহ।

কিন্তু আমি বিস্মিত হয়েছি তার আই কিউ তে। যেমন: শ্বশুরের প্রিন্টার নষ্ট হয়েছে। সামহোয়্যার আউট বেশ ঘাটাঘাটি করে বলল দোকানে নিয়ে যাও। কিন্তু বাবা বললেন দাড়াও দেলওয়ারকে দেই। দেলওয়ার সব খুলে দেখলো কোন চিপায় যেন কমলার বিচি আটকে ছিল।

আবার ঠিক মতোন লাগিয়ে দিয়ে দেখল ঠিক চলছে। মাউস নষ্ট হয়ে গেছে। ফেলে দেয়ার আগে বাবা দেলওয়ারকে দিলেন। সে জীবনে মাউস নাড়িয়ে দেখেনি। কিন্তু কিভাবে কিভাবে যেন ঠিক করে দিল।

বাসায় একটা খাট বানানো দরকার। আমার এক খালাত দেবরের জন্য। বাবা কাঠ কিনে দেলওয়ারকে দিলেন। সে বেশ খাটাখাটনি করে খাট বানিয়ে ফেলল। বলল: কোনদিন কাঠের কাজ করিনি, আজ এইটাও করা হলো!! আমার দেবর ওর কাজে খুশি হয়ে ওকে ডক্টরেট ডি্গ্রি দিয়ে দিল।

বলল, ড: দেলওয়ারের কাজ কেমন চলছে....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।