আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কোরআন-হাদিসে বর্ণিত রহস্য ও ঘটনাসমুহ



আমাদের অন্যতম প্রিয় নবী হযরত ইব্রাহীম(আ,যিনি খালিলুল্লাহ নামে পরিচিত। তিনি প্রতিদিন একজন মুসাফিরকে সাথে নিয়ে খাওয়া খেতেন যা ছিল আল্লাহসুবহানাতাআলার কাছে খুবই প্রিয়। তো একদিনের ঘটনা;খানা খাওয়ানোর জন্য তিনি মেহমান তালাশ করছিলেন। এমন সময় জনৈক অচেনা লোকের সাথে তার সাক্ষাত্ হল। তিনি তাকে ঘরে নিয়ে এলেন।

যখন খানা খেতে শুরু করবেন,তখন হযরত ইব্রাহীম(আআগন্তক মুসাফিরকে বললেন-বিসমিল্লাহ বল। সে বলল-আল্লাহ কাকে বলে আমি জানি না। হযরত ইব্রাহীম(আরাগান্বিত হয়ে তাকে দস্তরখান থেকে তাড়িয়ে দিলেন। যখন লোকটি বের হয়ে গেল,তখনই হযরত জিবরাঈল(আউপস্হিত হলেন ও জানালেন যে,আল্লাহ তাআলা বলেছেন-আমি তার কুফরী সম্পর্কে জানা সত্বেও সারা জীবন তাকে আহার্য-পানীয় দিয়ে আসছি। আর আপনি একে এক বেলা খাবার দিতে পারলেন না।

একথা শোনা মাএ হযরত ইব্রাহীম(আঐ লোকের তালাশে ছুটলেন। অবশেষে তাকে ঘরে নিয়ে এলেন। কিন্ত সে লোক বেকে বসল ও বলল,আপনি প্রথমে আমাকে তাড়িয়ে দিলেন,পরে আবার সাধাসাধি করে আনতে গেলেন কেন?এর কারণ না জেনে আমি খানা খবো না। হযরত ইব্রাহীম(আঘটনা বর্ণণা করলেন। কাফের লোকটির মধ্যে ভাবান্তর সৃষ্টি হল।

সে বলল-যে মহান পালনকর্তা ফেরেশতা পাঠিয়ে আপনাকে একথা জানিয়েছেন,তিনি সত্যিই পরম দয়ালু। আমি তার প্রতি ঈমান আনলাম। অতপর সে বিসমিল্লাহ বলে হযরত ইব্রাহীম(আএর সাথে খানা খেতে আরম্ভ করল। তিনিই প্রথম ব্যক্তি যিনি পৃথিবীতে সর্বপ্রথম মেহমানদারীর প্রথা চালু করেন। (সুরা হুদ;তফসির পৃষঠা ৬৩৭,বাদশাহ ফাহাদ কর্তৃক বিনামূল্যে বিতরণের জন্য অনুদিত পবিত্র কুরআনুল কারীমের বাংলা অনুবাদ ও তফসির থেকে নেয়া) ( চলবে) আর একটি কথা: সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ইসলামিক বই আপনার বাড়ির ঠিকানায় পেতে এই ইমেইল এড্বরেসটি ঝটপট কপি করে আজই ইমেল করূন ও অপরকে জানাতে সহায়তা করুন.জাজাকুম আল্লাহ খায়ের।

পর্ব-2 বায়হাকীতে বর্ণিত রাসুল(সবলেন: হযরত আদম(আও বিবি হাওয়ার পৃথিবীতে আগমনের পর আল্লাহ তাআলা জিবরাইলের মাধ্যমে তাদের কাবাগৃহ নির্মাণের আদেশ দেন। এ গৃহ নির্মিত হয়ে গেলে তাদেরকে তা তাওয়াফ করার আদেশ দেয়া হয় ও বলা হয়,আপনি সর্বপ্রথম মানব ও এ গৃহ -যা মানবমন্ডলীর জন্যে নির্দিষ্ট করা হয়েছে। (ইবনে কাসীর) কোন কোন হাদিসে আছে,হযরত আদম (আকর্তৃক নির্মিত কাবা নূহের মহাপ্লাবন পর্যন্ত অক্ষত ছিল। মহাপ্লাবনে এ গৃহ বিধবস্ত হয়ে যায়। অতপর হযরত ইব্রাহীম(আপ্রাচীন ভিত্তির উপর এ গৃহ পুনরায় নির্মাণ করেন।

এই গৃহ নির্মাণের সময় মাকামে ইব্রাহীম যা একটি পাথরের নাম,এর উপর দাড়িয়েই তিনি এ গৃহ নির্মাণ করেন। নির্মাণের উচ্চতার সাথে সাথে এ পাথরটিও আপনা আপনি উচু কিংবা নিচু হয়ে যেত। এ পাথরের গায়ে হযরত ইব্রাহীম(আএর গভীর পদচিন্হ রয়েছে যা হাজী সাহেবরা আজঅব্দি দেখে আসছেন। এটা নিসন্দেহে আল্লাহর অপার কুদরতের নিদর্শন। সুরা আল ইমরানের ৯৭আয়াতে কাবা গৃহের ৩টি বৈশিষ্ট্য বর্ণিত হয়েছে।

প্রথমত:এতে আল্লাহর কুদরতের অনেক নিদর্শন রয়েছে। তন্মধ্যে একটি হচ্ছে মাকামে ইব্রাহীম। দ্বিতীয়ত:যে ব্যক্তি এতে প্রবেশ করবে সে নিরাপদ ও বিপদমুক্ত হয়ে যায়;কেউ তাকে হত্যা করতে পারে না। তৃতীয়ত: সারা বিশ্বের মুসলমানদের জন্য এতে হজ্জব্রত পালন করা ফরজ;যদি এ গৃহ পর্যন্ত পৌচার শক্তিও সামর্থ্য থাকে। (কোরআনুল করীম,পৃষ্টা নং১৮৯,সুরা ইমরান) চোখে পড়ল আরও একটি নতুন ফোরম।

সময় পেলে ঘুরে আসুন: http://www.esogori.forum5.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।