আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এখন গ্রাউন্ড জিরো

গ্রাউন্ড জিরো এখন মার্কিনিদের শোক জানানোর সবচেয়ে মুখর স্থান। এখানেই এক সময় মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছিল ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের দুটি ভবনই। সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়ে সে দুটি ভবন যখন ধসে পড়ে তখন অসংখ্য প্রাণের সেই মর্মান্তিক প্রয়াণ আজো কাঁদায় পুরো বিশ্ববাসীকে। যাত্রীবাহী বিমানের আঘাতে যেখানে টুইন টাওয়ার ভেঙে পড়েছিল সেটাই এখন 'গ্রাউন্ড জিরো'। সেখানে নির্মিত হয়েছে দৃষ্টিনন্দন স্মৃতিস্তম্ভ।

চারদিকে করুণ নিস্তব্ধতা নিয়ে সেই গ্রাউন্ড জিরো বেয়ে এখন ঝরনার পানি যেন লাখো কোটি মানুষের অশ্রুই বয়ে নিয়ে যায়। ভেতরের দিকে মৃতদের স্মরণে বানানো হয়েছে ব্রোঞ্জের তৈরি একটি স্মৃতিফলক। সে দিন যারা নিহত হয়েছিলেন তাদের আত্দীয়স্বজনেরা তৈরি করেছেন 'ট্রিবিউট ডবি্লউটিসি ভিজিটর সেন্টার'। হামলার পর টুইন টাওয়ারের ধ্বংসাবশেষের নিচ থেকে পাওয়া নিহতদের ব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিস রাখা হয়েছে ওই ভিজিটর সেন্টারে। টুইন টাওয়ারের ভিত্তিটা যেখানে ছিল সেটা চিহ্নিত করে রাখার জন্য ঠিক ওই জায়গায় জলধারা তৈরি করা শেষ হয়েছে।

জলধারার চারদিকে ৪০০টি ওক গাছের সবুজ গাছ লাগানো হয়েছে। এ ছাড়াও এখানে রয়েছে 'ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার মেমোরিয়াল'। জলধারার পাড় বেয়ে প্রত্যেক নিহতের নাম খোদাই করা হয়েছে। সর্বোচ্চ সম্মান জানাতে এখাইে ছুটে যায় নিহতের স্বজনরা। ফুল বিছিয়ে দিয়ে আসে সেই নামের নিচে ফাঁকা স্থানটিতে।

এক দম মধ্যখানের নিদারুণ শূন্যতা যেন মনে করিয়ে দেয় এক একটি আলাদা প্রাণের শূন্যতাকে। দৃষ্টিনন্দন এই স্মৃতিস্তম্ভের দুটির পাশই সেই মিউজিয়ামের অাঁকাবাঁকা সারিতে গেলে যে কেউ আবেগাপ্লুত হয়ে যাবে। নিহতদের স্মরণে এই গ্রাউন্ড জিরো তাই এখন প্রিয় মানুষ হারানোর শূন্যতা বয়ে নিয়ে যাওয়া দুটি শূন্য জায়গায় ছুটে চলা জলধারার নিস্তব্ধ পতন।

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।