আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

The EAST (2013) - বর্তমান সিজনের সেরা ক্লাসিক মুভি।

কত কিছু যে করতে চাই, তবুও কিছু করতে না পারার দায়ে মাথা খুঁটে মরি ।
The EAST (2013) দেখলাম। নিঃসন্দেহে বর্তমান সিজনের সেরা ক্লাসিক মুভি। "সেরা মুভি" - আসলেই। কাহিনী, প্রেজেন্টেশান, গতি, অভিনয়, ডিরেকশান - এসব দিকেই দারুণ।

সাধারণত ঝালমুড়ি টাইপ মুভি ছাড়া ইদানীং আমার ভাল্লাগে না, অফিস থেকে এসে খুব টায়ার্ড থাকি বলে। কিন্তু এই মুভিটা ছেড়ে আর উঠতে পারলাম না। ধীর গতিতে কিন্তু সুতা টান টান করে ধরে রেখে পুরো মুভি শেষ হলো। ইন্ট্রো, মিডল, এন্ডিং সবই মুগ্ধ করেছে। সাবেক এফবিয়াই এজেন্ট সারাহ; এখন পৃথিবীর সেরা প্রাইভেট স্পাই এজেন্সি হিলার ব্রুডের হয়ে কাজ করছে।

এরা যা করে তা হলো, ক্লায়েন্টের হয়ে বিপদের ঝুঁকির মাত্রাটা খুঁজে বের করে। বিশ্বের সবগুলো দেখে এদের আন্ডার কভার এজেন্ট আছে, যারা শুধু দেখে যায়। আর বিপদের মাত্রা বুঝে ক্লায়েন্টের সাথে চুক্তি করে। বর্তমানে তাদের একটা প্রজেক্ট হলো দ্যা ইস্ট। এরা নিজেদের পরিবেশবাদী ভাবে।

ফেলে দেয়া খাবার খায়, লোকালয় থেকে দূরে থাকে আর যারা পরিবেশের ক্ষতির মাধ্যমে মুনাফা লুটছে তাদেরকে তাদের স্টাইলে শাস্তি দেয়। যে ভেজাল অষুধ দেয়, তাকে তার নিজের অষুধ খাওয়ায়। আগের কথায় ফেরত আসি। সারাহ দায়িত্ব পায় দ্যা ইস্টের উপর তদন্ত করতে। সারাহ তার বয়ফ্রেন্ড (লিভ টুগেদার করে ওরা) টিমকে জানায় কাজে যাচ্ছে লম্বা সফরে।

কিন্তু আসলে ডিপ আন্ডারকভারে চলে আসে। খুব আস্তে আস্তে সে দ্যা ইস্টে ঢুকে। ওদের একেকজনকে জানে, দর্শনের সাথে পরিচিত হয়। জীবনকে নতুন করে চেনে। কিন্তু সারাহর নিজের ব্যক্তিগত জীবনে প্রভাব পড়তে থাকে।

ও ইস্টের লিডার বেনজির প্রতি ঝুঁকে পড়ে। ওদিকে হিলার ব্রুড টানা প্রেশার দিয়ে যায় আর প্রাইভেট কোম্পানী হিসেবে নিজের মুনাফার জন্য বড় সর ঝঁকি নিতে থাকে, ক্লায়েন্ট ছাড়া আর কোন মানুষ দিয়ে তাদের চিন্তা নেই। আর ইস্টের সব কিছুর সাথেও সারাহ একমত হতে পারে না। সারাহ কোন লুতুপুতু মেয়ে না যে পরিস্থিতিতে পড়ে শক্ত হচ্ছে। বরং শুরু থেকেই সে স্মার্ট, যোগ্য, ঠাণ্ডা মাথার একটা মেয়ে।

পুরো মুভিতে সে লিডিং ক্যারাক্টার। কোপ্ন অতিপ্রাকৃত বিষয় না, কোন আচমকা অপ্রত্যাশিত টুইস্ট না, প্রত্যাশিত এন্ডিং এর দিকে কাহিনী যেতে থাকে। সারাহ সব বুঝেও কিছু করতে পারে না। তার ব্যক্তিগত জীবন, ক্যারিয়ার, নিজস্ব দর্শন, নতুন শিক্ষা, নিজের ব্যক্তিত্ব সব কিছু এলোমেলো হয়ে যায়। এমন না যে সে লাইফ এন্ড ডেথ সিচুয়েশনে পড়ে, বরং মানসিক মৃত্যুর দিকে সব এগোতে থাকে - এটাই এই মুভির সবচেয়ে বড়ো দিক।

ইস্টের সবাই ভালো অভিনয় করেছে। বেনজি, ডাক্তার দারুণ। এই কাহিনী/স্ক্রিনপ্লে লেখার জন্য ৭০ এর দশকে এ ধরনের ফ্রিগ্যানিজমদের সাথে মাসের পর মাস ঘুরেছেন ব্যাটমেংলিজ আর মারলিং। মুভির প্লট তাই খুবই বাস্তব। সব মিলিয়ে দারুণ একটা মুভি।

আর নায়িকাটা যে কত্ত সুইট
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।