আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কি হলো গতকাল - আমি কি চলে যাবো?

যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবী করছি

শুরুটা হলো নোটিশবোর্ডের ভবিষ্যত নিয়মাবলী (ইংরেজী) প্রকাশের পর। পুরো নিয়মাবলী পড়ে কোথাও এমন কোন নির্দেশনা পেলাম না যা ব্লগের একটা ভাল পরিবেশ তৈরীর পক্ষে কাজ করবে। যে কাজগুলো মূলত ব্লগের অশান্তির কারন তা হলো মুক্তিযুদ্ধের চিহ্নিত ঘাতক দালালদের পক্ষে নির্লজ্জ প্রচার। একটা বাংলাদেশী ওয়েব ব্লগে বাংলা সংস্কৃতি, বাংলাদেশের অর্জনের বিরুদ্ধে ক্রমাগত প্রচারনা। আশরাফ রহমান আর ত্রিভুজ নামের দুইজন ব্লগার এই উল্টাস্রোতের নেতৃত্ব দিচ্ছন।

আশরাফ রহমান উলঙ্গ ভাবে পাকিস্থানের সমর্থক - আর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অর্জন যেমন - জাতীয় সংগীত আর তার রচয়িতা নিয়ে বিতর্ক তৈরী করে ব্লগে অশান্ত পরিবেশ তৈরী করেছেন। অন্যদিকে ত্রিভুজ ব্লগটাকে পৈত্রিক সম্পত্তি হিসাবে ব্যবহার করছেন। যখন যা ইচ্ছা তা বলে - মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে যতভাবে পারা যায় ততভাবে বিতর্কিত করার ক্ষেত্রে রেকর্ড অর্জন করেছেন। একবার আইপি ট্রাকার বসানোর পর সেটা তুলে নিলেও ব্লগের নতুন আইনের উদাসীনতার সুযোগে আবার আজ সেই অনৈতিক কাজটা করেছে। ব্লগে ট্রাকার বসানো, নারী অবমাননা থেকে শুরু করে একটা রাজনৈতিক দলের সমর্থকদের অমানুষ হিসাবে প্রচার করে পোস্ট দিয়ে প্রমান করেছে সে সমস্ত ব্লগীয় আইনের উর্ধে।

এই অবস্থায় হোসেইনকে ব্যান করা হলো। হোসেইনের পোস্টটা আবার পড়লাম। হোসেইন যা বলেছে - তা পূর্বেই অনেকবার বলেছে। কিন্তু এবার মনে হয় একটা লাইন সুস্পস্ঠ ভাবে উচ্চারন করেছে - "*যুদি কুনু যুদ্ধাপরাধী শুওরের পালের ছবি,লেখা,ভাষন এই গুলান প্রথম পাতায় দেখা যায়। যাগো মায়ের ধর্ষণকারীর ছবি দেখতে ভালোলাগে তারা যেন নিজ নিজ কক্ষে টানাইয়া রাখে,ব্লগের প্রথম পাতায় নয়।

" বিষয়টা বিরাট। বিষয়টার সাথে আমাদের ইতিহাস আমাদের অহংকার জড়িত। অবশ্যই একদল লোক বাংলাদেশে এখনও বসবাস করে যারা জন্মলগ্ন থেকেই বাংলাদেশকে মেনে নিতে পারেনি। তারা নানান বাহানায় দেশের পতাকা, জাতীয় সংগীত, মুক্তিযুদ্ধের নেতাদের নিয়ে বিতর্ক তৈরী করে। তাদের জন্য হোসেইনের এই সুস্পস্ঠ উচ্চারন হজম করা কঠিন।

আর আমার পক্ষ থেকে প্রানভরা শুভেচ্ছা এবং শ্রদ্ধা এই সাহসী উচ্চারনের জন্যে। ধীরে ধীরে পরিষ্কার হচ্ছে ব্লগের অবস্থান। আজ যখন হোসেইনকে নিয়ে ব্লগে তোলপাড় হচ্ছে তখন দেখি একদল ব্লগার (বেশীর ভাগ নতুন নিক) স্বাভাবিক ভাবে ব্লগাচ্ছে। আর একদল হৈ হৈ করছে যেন কিছু ব্লগার ব্লগ ছেড়ে চলে যায়। পুরো বিষয়টা দেখে একটা বিষয় বুঝা গেল এটা একটা পরিকল্পিত প্রক্রিয়া।

সেই ফাঁদে পা দিয়েছে একজন মাত্র। নীচের মন্তব্যটা দেখুন - তা হলে বিষয়টা অনেক পরিষ্কার হবে- হিজিবিজি হিজিবিজি বলেছেন : ২০০৭-০৭-০৬ ০৪:০৩:৫২ এই পোষ্টটা এখন খুব দরকার। আবার পোষ্ট করতে পারেন ফজল ভাই। কতৃপক্ষ অবশ্য ব্যাবস্থা নিচ্ছে। গালিবাজ ব্লগারদের একটা বড় অংশ নিজ দায়িত্বেই চলে গিয়েছে।

বাকী যারা যায়নি, তাদেরকে ব্যান করে দৌড়ানোর একটা ব্যাবস্থা হচ্ছে। আশা করি আমরা চমৎকার একটা ব্লগ পেতে যাচ্ছি। লক্ষ্য করুন - "তাদের ব্যান করে দৌড়ানোর একটা ব্যবস্থা হচ্ছে" - এবং আমরা দেখলাম একটা ব্যবস্থা হলো এবং হোসেইন গেল। পুরো বিষয়টা এখানে দেখতে পারেন - থামুন! পড়ুন!! পরিচ্ছন্ন ব্লগের স্বার্থে হাত মেলান!!! যেখানে হাত মিলানোর কথা বলা হয়েছে - অবশ্যই হাত মিলানোর আগে বিপক্ষ দলকে কুকুরের সাথে তুলনীয় হতে হবে। যারা মনে করি ব্লগটা রাজাকারন্ত্রীরা দখলে নিয়ে যাচ্ছে - তারা কি করবো।

ব্লগ ছেড়ে দেব - রাজাকারদের মতবাদের একটা মুক্তমঞ্চ হিসাবে বেড়ে উঠতে দেব - যেটা নতুন প্রজন্মের জন্য শিবির ধরার একটা ফাঁদ হবে। যেখানে গিয়ে আমাদের নতুন প্রজন্ম জানবে - শেখ মুজিব বড় রাজাকার ছিল, গোলাম আচন একজন সন্মানিত মানুষ, যেখানে গিয়ে জানবে রবি ঠাকুর একজন হিন্দু ছিলেন তাই তার গান জাতীয় সংগীত হিসাবে না জায়েজ, সেখানে জানবে বিশ্বের শ্রেষ্ট জাতি হলো পাকিরা.... না, কোন ফ্রী রাইডের সুযোগ নেই। যতদিন ব্লগের কর্তৃপক্ষ ঘোষনা না দিচ্ছে যে - সামহোয়ার ইন একটা জামাতের অংগ সংগঠন - ততদিন আছি ...থাকবো। এক নিক ব্যান হলে একশ নিক নেব। যখন বিশ্বের সকল বাংলাভাষাভাষী জনগোষ্ঠী জানবে যে একটা ব্লগ আছে যার মতবাদ এবং নৈতিকতা ভিত্তি তৈরী হয় যুদ্ধাপরাধীদের প্রতিষ্ঠিত করার জন্যে ততদিন আছি ...থাকবো।

আর যদি কর্তৃপক্ষ একটা ছোট্ট ঘোষনার মাধ্যমে জানিয়ে দেন - এটা জামাতের ...সংগে সংগে ....খোদা হাফেজ। ( সম্ভবত আমি দ্রুতই ব্যান হবো....তাই অগ্রিম ব্যান মুবারক রইল)


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।