সুখে থাকতে ভুতে কিলায়, কথাটা প্রাচীন প্রবাদ। কিন্তু কাউকে সুখে থাকতে দেখলেও ইদানীং অনেকে ভুতের কিল খায়, কেন খায় জানি না। এক
বল্টু দেরী করে স্কুলে এসেছ ,
শিক্ষক : কিরে এত দেরী হল কেন? স্কুল কয়টায় শুরু হয়?
বল্টু: স্যার , আমি তো আগেই বাইর হইছিলাম , আব্বা বলল গরুটারে চেয়ারম্যান বাড়ির ষাঁড়টার কাছে দিয়া আসতে, তাই দেরী হইয়া গেল।
শিক্ষক: তা এই কাজটা তোমার বাবা করতে পারল না?
.
.
.
.
.
.
.
বল্টু: না স্যার , এই কাজটা ষাঁড়েরই করা লাগে।
দুই
ছোট ফার্ম, বিশটার মত মুরগী আর একটা মাত্র মোরগ।
মোরগটা বুড়িয়ে যাওয়াতে মালিক নতুন একটা মোরগ এনেছেন। নতুনজন খুবই তেজী। বুড়া মোরগকে তো পাত্তাই দেয় না। সবগুলো মুরগীই তার চাই।
বুড়ো মোরগ একবার বলেছিল, অন্তত পাঁচটা আমাকে দাও, সে রাজি হয়নি।
বলেছে সব কটা আমার।
পরদিন বুড়োটা জোয়ানটাকে গিয়ে বলল, ঠিক আছে, হয়ে যাক একটা পরীক্ষা। তুমি জিতলে সবগুলো তোমার।
কি পরীক্ষা?
তোমার সাথে আমার দৌড় প্রতিযোগিতা হবে। তবে, আমি একটু বয়স্ক, একটু সুযোগ তো আমাকে দিতেই হবে।
কি সুযোগ?
আমি তোমার দশফুট সামনে থেকে শুরু করবো।
নো প্রবলেম। দশফুট এমন আর কি? জোয়ান মোরগ, ইয়াং কক, রাজি হয়ে গেল।
নির্দিষ্ট সময়ে শুরু হল দৌড়। বুড়ো দশফুট সামনে, নতুন মোরগ পেছনে দৌড়াচ্ছে।
প্রাণপণ দৌড়।
প্রায় যখন জোয়ানটা বুড়োটাকে ধরে ফেলেছে, তখনই একটা গুলির শব্দ শোনা গেল। ফার্মের মালিকের বিরক্তিও শোনা গেল, "শিট্ ! আরও একটা গে মোরগ! শালার মোরগগুলার হইছে কি? খালি বুড়াটারেই ধাওয়ায়?"
তিন
আবুল সেলসম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার পর থেকে দোকানের বিক্রি ছয়গুন বেড়ে যাওয়ায় মালিক চিন্তায় পড়ে গেল। এতো বিক্রি কি ভাবে সম্ভব সেটা দেখার জন্য একদিন সে দোকানে গিয়ে দেখল আবুল এক ক্রেতার কাছে মাছ ধরার ছিপ বিক্রি করছে।
আবুল ক্রেতার কাছে একটা ছিপ ২৫০ টাকায় বিক্রি করল, তারপর……
আবুলঃ স্যার এরকম জুতা পড়ে তো মাছ ধরা যাবে না, মাছ ধরতে হলে আপনার স্পোর্টস সু লাগবে।
ক্রেতা ১৬০০ টাকা দিয়ে স্পোর্টস সু কিনলো।
আবুলঃ রোদের মধ্যে যেহেতু অনেক সময় বসে থাকতে হবে তাইএকটা ক্যাপও লাগবে। ক্রেতা একটা ক্যাপ কিনলো।
আবুলঃ যেহেতু দীর্ঘ সময় বসে থাকতে হবে তাহলে তো স্বাভাবিকভাবে ক্ষুধাও লাগবে। ক্রেতা কিছু বিস্কিট এবং চিপস কিনলো।
আবুলঃ মাছ যে ধরবেন সেইটা রাখবেন কিসে.?
আপনার একটা বস্কেটলাগবে মাছ রাখার জন্য ক্রেতা একটা বস্কেটও কিনলো।
এভাবে আবুল ক্রেতার কাছে মোট ২৫০০ টাকার পণ্য বিক্রয় করলো।
মালিক খুব খুশি হয়ে বলল-
“তুমি তো দেখি অনেক ভালো একজন বিক্রেতা, একটা লোক মাছের ছিপ কিনতে আসলো আর তার কাছে এতো কিছু বেচে ফেললা!”
আবুলঃ স্যার, আসলে ঐ ব্যাটা বৌয়ের জন্য স্যানিটারি ন্যাপকিন কিনতে আসছিল। আমি তাকে বললাম এই এক সপ্তাহ বাসায় বসে থেকে কি করবেন, এর চাইতে সময় কাটানোর জন্য মাছ ধরেন।
চার
হরিপদ শহর থেকে খাট কিনে ভ্যানে করে বাড়ি ফিরছিল।
রাস্তায় এক বন্ধুর সাথে দেখা হতেই জানতে চাইল
কি রে দোস্তো খাট কত দিয়া কিনলি?
হরিপদ বুক ফুলিয়ে বলল- “চল্লিশ হাজার টাকা”
বন্ধুঃ মারা খাইয়া আসলা দোস্তো, এই খাটতো তিরিশ হাজার টাকাতেই পাওয়া যায়
কথাটা শুনে হরিপদের মনটা একটু খারাপ হলো। যাই হোক, কিছুদূর যাওয়ার আরেক বন্ধু জানতে চাইল-
“কি রে খাট কত পড়ল?’
হরিপদঃ “তিরিশ হাজার টাকা দোস্তো”
বন্ধুঃ "মারা খাইয়া আসলা শালা", এই খাটতো বিশ হাজার টাকাতেই পাওয়া যায়।
হরিপদ কোন উত্তর না দিয়ে ভ্যানওয়ালাকে বলল- আপনি চালান। কিছুদূর যাওয়ার পর আবার এক বন্ধুর সাথে দেখা হতেই জানতে চাইল-
“ কি রে দোস্তো কোথা থেকে আসলি?”
হরিপদঃ “ মারা খাইয়া আসলাম”
বন্ধু হাসতে হাসতে- “ তা মারা খাওয়ার জন্য কি তুই ভান ভাড়া কইরা খাটও নিয়া গেছিলি?!!
পাঁচ
মিস্টার অ্যান্ড মিসেস রবিনসন ক্রুসো জাহাজডুবি হয়ে কয়েক বছর ধরে একটা দ্বীপে আটকা পড়ে আছে।
একদিন ভোরে তারা দেখতে পেলো, সৈকতে এক সুদর্শন যুবক অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে, গায়ে নাবিকের পোশাক।
সুস্থ হয়ে উঠে যুবক জানালো, তারও জাহাজডুবি হয়েছে। ওদিকে মিসেস ক্রুসো প্রথম দর্শনেই এই যুবকের প্রেমে পড়ে গেছে। কয়েকদিন পর সুযোগ বুঝে ঐ যুবককে প্রেম নিবেদন করলো সে।
কিন্তু রবিনসন আশেপাশে যতক্ষণ আছে, কোন কিছু করবার সুযোগ তাদের নেই। নাবিক যুবক রবিনসনকে পরামর্শ দিলো, সৈকতে একটা ওয়াচ টাওয়ার তৈরি করা হোক।
সে আর ক্রুসো ওতে চড়ে পাহারা দেবে, জাহাজ দেখতে পেলে পতাকা দিয়ে সংকেত দেবে। ক্রুসোর বেশ মনে ধরলো বুদ্ধিটা। বাঁশ দিয়ে একটা উঁচু ওয়াচ টাওয়ার তৈরি করলো তারা।
পরদিন প্রথমে পাহারা দেয়ার পালা নাবিকের। সে টাওয়ারে চড়লো, নিচে ক্রুসো আর তার বউ গেরস্থালি কাজ করতে লাগলো।
কিছুক্ষণ পরই যুবক চেঁচিয়ে উঠলো, 'ছি, ক্রুসো ভাই! দিনে দুপুরেই ভাবীর ওপর এভাবে চড়াও হয়েছেন। ছি ছি ছি। '
ক্রুসো নারকেল কুড়োচ্ছিলো, সে বিব্রত হয়ে ওপরে তাকিয়ে বললো, 'কী যে বলো, আমি কোথায়, আর ও কোথায়!'
যুবক চোখ কচলে বললো, 'ওহহো, দুঃখিত, আমার যেন মনে হলো ... সরি ভাই। ' কিন্তু ঘন্টাখানেক পর আবার চেঁচিয়ে উঠলো সে, 'না, এবার আর কোন ভুল নেই। কী ভাই, একটু অন্ধকার হতে দিন না! এভাবে জঙলিদের মতো সক্কলের সামনে ... ছি ছি ছি।
'
ক্রুসো আগুন ধরাচ্ছিলো, সে চটেমটে বললো, 'চোখের মাথা খেয়েছো নাকি ছোকরা, কী দেখতে কী দেখছো!'
যুবক খানিকক্ষণ চেয়ে থেকে মাথা নেড়ে লজ্জিতভাবে হাসলো। 'ইয়ে, দুঃখিত, কিন্তু মনে হলো স্পষ্ট দেখলাম ...। '
কিছুক্ষণ বাদে যুবকের পাহারা দেয়ার পালা শেষ হলো, এবার ক্রুসো চড়লো টাওয়ারে। কিছুক্ষণ টাওয়ারে পায়চারি করে ক্রুসোর চোখ পড়লো নিচে। সে খানিকক্ষণ চেয়ে থেকে আপনমনে বললো, 'আরে, কী তামশা, ওপর থেকে দেখলে তো মনে হয়, সত্যি সত্যি নিচে ওরা ওসব কিছু করছে!'
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ হাস্যরস জনে জনে মুখে মুখে ছড়ায়, তাই কমন পড়ে গেলে কিংবা পুরনো মনে হবার কারনে হাঁসি না পেলে মুখ গোমড়া করে রাখবেন না, মুখে ভাঁজ পড়বে ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।