আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গল্প: এখানে ওখানে ৩

যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে, ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

||তৃতীয় পর্ব|| অগাস্ট ১৯ ২০০৬, রাত ৯টা বারান্দায় দাঁড়িয়ে রিপা ক্লান্ত শ্রান্ত রাশেদকে টলতে টলতে সিঁড়ি দিয়ে ঢুকতে দেখে। তার মনে হয়, আহা! কত কষ্ট হচ্চে ওর। বেচারার জন্য একরকম অদ্ভুত মায়া হয় রিপার। গত কয়েকসপ্তাহ ধরে এত খাটুনি যাচ্ছে! আজব ব্যাপার!! ওর বসের উপর ভয়ানক রকমের রাগ হয়, কি হয় আরেকজন রিক্রুট করলে? দেশে তো আর সফটওয়্যার স্পেশালিস্টের অভাব নেই, হাজারটা ইউনিভার্সিটি থেকে হাজারটা ছেলেমেয়ে বেরুচ্ছে। খরচ বাঁচানোর জন্য এ কেমন কিপ্টেমী! আজই বান্ধবী তুলির সাথে এ নিয়ে কথা হচ্ছিল রিপার।

তুলিকে কফি খেতে রিপাই ডেকেছিল আজ সন্ধ্যায়। অফিসের কাছে একটা ছোট্ট সুন্দর ক্যাফে আছে, সেখানে তুলিকে আসতে বলে। অবশ্য ডেকেছিল অন্য কারণে। রাশেদের ভাবসাব ইদানিং ভাল ঠেকছিলনা রিপার, কিন্তু এনিয়ে কারও সাথে কথাও বলতে পারছিলনা। তুলি রিপার সবচেয়ে কাছের বান্ধবী না, তাও রিপার মনে হয়েছিল ল'ইয়ার তুলি অনেক ভাল উপদেশ দিতে পারবে।

এছাড়াও আরও কারণ ছিল। বেশী ঘনিষ্ট বান্ধবীদের সাথে এনিয়ে কথা বললে সে কথা পরিচিতদের মাঝে ছড়িয়ে যেতে পারে। হয়ত যাকে বলবে সে অন্যদের শুধু 'রিপাদের মনে হয় কিছু ঝামেলা যাচ্ছে' এরকম হাল্কা-ঝাপসা কিছুই বলবে; কিন্তু সেটা শুনে অতি উৎসাহী লোকজন অনেক কিছু ভেবে নিতে পারে। এসবকিছু চিন্তা করেই রিপা তুলিকে ফোন করে অফিসে আসতে বলে বিকেল পাঁচটায়। তুলি একদম কাঁটায় কাঁটায় পাঁচটার সময়েই এসে পড়ে।

দুজনে দুকাপ কফি আর কিছু ফ্রেঞ্চ ফ্রাই নিয়ে বসে পড়ে কোনার দিকে টেবিলটায়। একটেবিল পরেই আরেকটা টেবিলে চারপাঁচজন উঠতি বয়েসের ছোকড়া সিগেরেট ফুঁকছিল, সাথে চা-টা হয়ত ছিল। দেখেই তুলির মেজাজ বিগড়ে যায়। বেয়ারাকে ডেকে ছেলেগুলোকে শুনিয়ে শুনিয়েই জিজ্ঞেস করে, আচ্ছা! আপনারা এখানে সিগারেট এলাউ করেন কেন? পাবলিক প্লেসে এটা কিভাবে সম্ভব!! তুলির ধারালো গলার হালকা ঝাড়ি শুনে বেয়ারা কাঁচুমাচু হয়ে যায়, ছেলেগুলো একটু ভাব নিয়ে পেছন ফিরে দেখে কিন্তু তুলির রক্তচক্ষু বা কঠিন মুখ যেটাই হোক দেখে খানিকটা ভড়কে যায়। মিনিট দুয়েকের মধ্যেই সিগারেট নিভিয়ে ছেলেগুলো গজগজ করে বের হয়ে যেতে থাকে, রিপাদের শুনিয়ে শুনিয়েই বলতে থাকে, শালার মাইয়াজাতির বাড় বাড়ছে!! দেখলি! কেমন অসভ্য আর বেয়াদব, তুলির রাগ কমেনা।

এমনিতেই তুলি খুব স্বাধীনচেতা, তার উপর মহসিনের সাথে মাসতিনেক আগে ব্রেকআপ হয়ে যাবার পর থেকে ওর মেজাজটা আরও তিরিক্ষি হয়েছে। পুরুষজাতিকে সহ্যই করতে পারেনা। কফিতে চুমুক দিয়ে রিপা প্রসঙ্গ পাল্টায়, এরা কিন্তু বেশ ভালো কফি বানায়, কি বলিস! আরে ধুর!! তোকে আমি একদিন নিয়ে খাওয়াবো; বনানীর ফাউন্টেইন ক্যাফেতে। আমি এত দেশে ঘুরলাম, কিন্তু এত ভাল কফি কোথাও খাইনি। এটাতো নস্যি! তুলির মেজাজ খানিকটা চড়ে থাকে।

রিপা ভয় পায়। তুলির নিজের ঢোল পেটানোর খুব বাজে অভ্যাস আছে। কথা সেদিকে ঘুরে না গেলেই হলো। সে নিজেও আজ খুব বেশী সময় কাটানোর প্ল্যানে নেই। অফিসের কাজের চাপ তেমন না থাকলেও, রাশেদের ব্যাপারটা নিয়ে সে ইদানিং বেশ টেনশনে আছে।

রাশেদের যে কি হলো, হঠাৎ করে এত রোমান্টিক একটা ছেলে এত বদলে গেল, রিপা ভীষন আশ্চর্য হয়। হঠাৎ করেই মাসখানেক আগে একদিন রাতের খাবারের পর রাশেদ হড়হড় করে বমি করে বাথরুমে। এমন ভয়ানক বমি সে কখনই দেখেনি, বেশ চিন্তিত হয়ে পড়ে। রাশেদ যদিও বলেছিল কাজের চাপে, তাও রিপার দুশ্চিন্তা যায়না। তারপর বেশ কয়েকদিন রাশেদ খেতে পারেনা ঠিকমতো, কেমন চুপচাপ থাকে।

হঠাৎ হঠাৎ পাগলের মতো রিপাকে জড়িয়ে ধরে আদর করে, আবার হঠাৎই কি মনে করে থামিয়ে দেয়। রিপা অবশ্য সেসময় বেশ কয়েকদিন ধরেই বলতে থাকে 'ডাক্তার দেখাও, ডাক্টার দেখাও', কিন্তু কে শোনে কার কথা। পরের বৃহস্পতিবারেই রিপা খুনসুটি করতে করতে বলে, মারুফ ভাইয়াকে বলেছি ডা. ইসলামের এপয়েন্টমেন্ট নিয়ে রাখতে। কাল তোমাকে যেতেই হবে। কালকের সব প্রোগ্রাম বাদ, বুঝেছেন রাজকুমার।

রাশেদ ভীষন আশ্চর্য হয়, তারপর নিজেকে সামলে নিয়ে বলে, ওমা! সেটা কি! আমি তো আজই ডাক্তার দেখালাম। রিপার খানিকটা রাগ হয়, বলে, কই আমাকে বলোনিতো আজ ডাক্তারের কাছে যাবে? তাছাড়া সকালে না বললে তোমার সাতটার দিকে মিটিং থাকবে, দেরী হবে? মিটিং ক্যানসেল করেছি, দুপুরেও স্যান্ডউইচ খেতে গিয়ে ভীষন বমি হয়, বস সেটা দেখে বলে দিল যে 'মিটিং পরে করব, আগে তুমি ডাক্তার দেখাও; নাইলে পরে ভয়ানক কিছু হলে তো মামলা করবে আমার বিরুদ্ধেই, হা হা হা'। তারপরই ডাক্তার দেখালাম। রাশেদের মতিগতি রিপা বুঝতে পারেনা। তার খানিকটা সন্দেহ হয় রাশেদ পুরোটা বানিয়ে বলছে।

কারণ, বাসায় আসার পরও দুঘন্টায় একবারও রাশেদ ডাক্তারের কাছে যাওয়া নিয়ে কিছু বললনা, আর যেই রিপা এপয়েন্টমেন্টের কথা বলল অমনি সে ডাক্তারের কাছে চলে গেল! অথচ রিপা তো জানেইনা যে তিনদিন আগেই মানে যেদিন রাশেদের ভয়ানক বমি হলো তার পরদিন বিকেলেই সে ছুটি নিয়ে ডাক্টার দেখিয়েছে, সেদিনই ডাক্টার স্টমাক ক্যান্সারের সম্ভাবনার কথা বলেছেন। এখন যাস্ট রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা। এরপর থেকেই রাশেদ কেমন হয়ে যায়! ডাক্টার কি বলেছে জিজ্ঞসে করলে রাশেদ শুধু বলে, অতিরিক্ত কাজের চাপে এমনটা হয়, ভিটামিন ওষুধ খেতে হবে, এক্সারসাইজ করতে হবে, এসব হাবিজাবি। এর মাঝে একদিন সপ্তা দুয়েক আগে রাতে বাসায় ফিরে রাশেদ তাড়া দিতে থাকে, এই আস তাড়তাড়ি ভাত খাই, ভীষণ খিদেপেয়েছে। অথচ, খেতে বসে রাশেদ টুকটাক একটু খেয়েই উঠে পড়ে, যদিও রিপা নিজহাতে রাশেদের পছন্দের বীফের ভুনা আর চিংড়ির চচ্চড়ি করেছিল সেদিন, আর রাশেদ মাত্র এক টুকরো করে খেল! রিপা জিজ্ঞেস করেছিল, কি কিছুই তো খাওনি? রাশেদ বলল, নাহ, পেট ভরে গেছে।

হয়েছে কি, আজ জহিরদের নিয়ে নিচের বিসমিল্লা রেস্টুরেন্টে কলিজা সিঙাড়া খেয়েছি, মনে হয় চার-পাঁচটা খেয়ে ফেলেছি। জানই তো ওগুলার সাইজ কত বড়! এখন দেখি আর খেতে পারছিনা। রিপার মুখ দিয়ে প্রায় চলে আসে, কই একটু আগে বললা ভীষন খিদে পেয়েছে, আর এখন বল সিঙাড়া খেয়ে আসছ। কিন্তু কেন যেন সে বলেনা। রিপার মনে হতে থাকে রাশেদ কি কিছু লুকোচ্ছে! রাশেদের বমির সমস্যাটা কি আলসার টাইপের কিছু! নাকি অন্য সমস্যা! অন্য সমস্যা মানে মেয়েঘটিত সমস্যার কথা মনে হবার কারণ ততদিনে রাশেদ রিপাকে আদর করাটা এভয়েড করা শুরু করে দিয়েছিল।

রিপার মনে হয় প্রায়ই, আচ্ছা, রাশেদ যে এত রাতে বাসায় আসে প্রতিদিন, সেকি অন্য কোথাও যায়? অন্য কোথাও ডিনার করে বলেই কি সে বেশী খেতে পারেনা? মানুষ বেশী খেলে কি বমি হয়? বেশী খেলে যে বমি হয়না এটা অবশ্য সে পরদিনই মেজভাবী মানে মারুফ ভাইয়ার ওয়াইফ শান্তাকে জিজ্ঞেস করে শিওর হয়। ডাক্টার বলেই কিনা, শান্তা ভাবীর মুখ বেফাঁস। মারুফের বমি করার সমস্যার কথা শুনে হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়ে যেন টেলিফোনেই, বলে, ওমা! এতদিন জানতাম বিয়ের পর মেয়েদের বমি বমি ভাব হয়, আমারও তো হলো। এখন শুনি ছেলেদেরও হয়! তুমি তো পুরো বীরাঙ্গণা সখিনা বা দস্যু ফুলন দেবী দেখছি, হি হি হি। রিপা ওর এইসব সমস্যার কথা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে তুলিকে বলে।

তুলি ল'ইয়ার বলেই কিনা, প্রথমেই সে ধরে নেয় যে রাশেদ ভাইর এই সমস্যাটা অফিসে বেশী কাজের ফল। একটু উততেজিতভাবেই বলে, রিপা কিছু মনে করিসনা, তোরা জামাইটাতো হাবা-গোবা সোজা টাইপের, উনার অফিসের বস উনাকে দিয়ে খাটিয়ে নিচ্ছে, বুঝলি? আর কিছুনা। এটা অবশ্যই মামলা করা যায়। শোন, তুই উনাকে আজই বুঝিয়ে বলবি। ইউরোপ-এমেরিকায় হার্ডওয়ার্কের কারণে মৃত্যুর হার কিন্তু অনেক বেড়ে যাচ্ছে, সোশ্যাল প্রবলেম হিসেবে দেখা দিয়েছে।

তোরা হাল্কা ভাবে নিবিনা, আমাদের বাঙালীদের এই এক সমস্যা সব হাল্কাভাবে নিই। রিপার খানিকটা রাগ হয়, নিজের হাজব্যান্ডকে হাবা-গোবা বললে কারও ভাল লাগার কথা না। তারওপর তুলির কথায় কথায় বাঙালীদের নিয়ে নাক সিঁটকানোটা ওর পছন্দ না। তাও তুলি হয়ত সাহায্য করতে পারবে এই ভরসাতেই বলে, আচ্ছা? তোরও কি মনে হয় হার্ডওয়ার্কের জন্যই ও এত অন্যমনস্ক হয়ে পড়েছে? তোকে তো সব বললামই। এমনকি গত শুক্রবারে সকালে আমি যখন বললাম, আমি মা'র বাসায় যাচ্ছি, তখন রাশেদ খুশিতে গদগদ হয়ে বলল, যাও ঘুরে আস।

সবাইকে দেখে আসলে ভাল লাগবে। অথচ প্রথমদিকে আমি মা'র বাসায় যেতে চাইলেই বাঁধা দিত, খুনখুন করে বলত, আমার সবগুলো সময় শশুড়বাড়িই ডাকাতি করে নিয়ে গেল! তুলি সামনের দিকে ঝুঁকে এসে বলে, তুই কি অন্য কিছু মীন করছিস? স্ট্রেইটফরোয়ার্ড বলি, পরকীয়া? না, সেটাও না। কিন্তু দেখ, একটু কি খারাপ লাগেনা। যদিও সেদিন শুক্রবারে রাতে যখন বাসায় ফিরলাম তখনও দেখি ও একই কাপড়ে বিছানায় শুয়ে শুয়ে বই পড়ছে। রিপা অসহায় বোধ করে।

সাবোটাজও হতে পারে! তুলি চোখ টাটায়। জানিনাহ! রিপা বলতে থাকে, ওর অফিসে একটা ন্যাকা মেয়ে আছে শীলা নামে। যেদিন ওর অফিসের কলিগরা সবাই বাসায় আসল, মেয়েটা বুঝলি! এমন ন্যাকা! সারাক্ষণ মুখে খালি, রাশেদ ভাই এই, রাশেদ ভাই সেই। আরে! এতই যদি রাশেদ ভাইকে পছন্দ তো বিয়েই করে ফেলতি! তুলির চোখ তীক্ষ্ণ হয়ে আসে। সে যেন এটারই অপেক্ষায় ছিল।

খুব বিজ্ঞের মতো ভাব নিয়ে বলে, তুই এই কথা এতক্ষণ আমাকে বলিসনি কেন? রাশেদ ভাইয়ের অফিসে খোঁজ নিয়ে দেখ উনি আসলেই বিজি কিনা? উনার বসকে তুই চিনিসতো, তাইনা? রিপা কৈফিয়তের মতো দিতে থাকে, আরে উনার বসের কথা বলিসনা। যা পেটপাতলা টাইপের লোক, পরদিনই রাশেদকে বলবে 'তোমার বউ কিন্তু তোমার পেছনে ফেউ লাগিয়েছে, আর সেই ফেউটা হলাম স্বয়ং আমি, হা হা হা'। রিপা একটু দম নিয়ে যেন রাশেদের পক্ষে ওকালতি করছে সেভাবে আবার বলে যায়, অবশ্য এরমধ্যে আমি যেকয়বার রাশেদের অফিসে ফোন করেছি এটা ওটা আনতে স্মরণ করিয়ে দেবার জন্য, প্রত্যেক বারই ওকে লাইনে পেয়েছি। তুলি খানিকটা নিরাশ হয়। রিপা বলে যেতে থাকে, নাহ আমার মনে হয় না সেরকম কিছু।

গত কয়েকদিন আমি ওর ফেরার অপেক্ষায় বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকি, দেখি প্রতিদিনই বেচারা ক্লান্ত, টলতে টলতে সিঁড়ি দিয়ে ঢোকে। দরজা খুলে দিলে অবশ্য সেই প্রশস্ত হাসিটা দেয়। নাহ বাবা, মনে হয়না সেরকম কিছু। কি জানি বাবা, পুরুষজাতিকে বিশ্বাস নেই। আমি তোরমত পুতুপুতু না।

রিপা রেগে জ্বলে উঠে, তার মাথা ধরে যায় তুলির পন্ডিতিমার্কা কথায়। মনে মনে বলে, ধরা তো খেয়েছ বাছা নিজে, আর এখন অন্যের সুখ দেখলে চোখ টাটায়, না? এই কুটনিটাকে ডাকাই ঠিক হয়নি, রিপার একটু মনখারাপ হয়। যদিও সামনাসামনি চুপ থেকে তুলির ঔদ্ধত্য সহ্য করে যায়। তবে রিপা মনে মনে ঠিক করে ফেলে যে আজই রাশেদকে বলবে, খাটুনি কমিয়ে দিতে, তানাহলে বসের বিরুদ্ধে মামলাও করা যায়, তুলি যে বলেছে সেটাও বলবে। রাশেদকে সিঁড়ি দিয়ে ঢুকতে দেখতে দেখতে রিপা মনে মনে আবারও ঠিক করে নেয়, নাহ, আজকেই ব্যাপারটা নিয়ে রাশেদের সাথেই ভালমতো আলাপ করতে হবে।

এভরিথিং শুড বি ক্লিয়ার এনাফ। এদিকে সিঁড়ি দিয়ে উঠতে উঠতে রাশেদও ঠিক করে নেয় মনে মনে, নাহ আজই রিপাকে ক্যান্সারের কথাটা খুলে বলব।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.