আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অতঃপর মন্দ্রসপ্তক



মনে বড় আশা ছিল একটা ব্যান্ডদল গঠন করিব। মাতৃদেবীর কল্যানে এবং যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতায় ছোটকালেই গিটারে হাতেখড়ি। তোবে আমার দৌড় ওই সঙ্গত পর্যন্তই। সঙ্গীতে আর উঠতে পারিনা। ডর হয় যদি দেয়ালে চিড় ধরে! যা হোক যথাসময়ে আরো কিছু সঙ্গীসাথি (অবশ্যই ভালো গায়ক সহ) জুটাইয় একটা ব্যান্ডদল গঠন করি।

নামটা দেই মন্দ্রসপ্তক। বেশ খটমটে নাম, আমারই দেয়া। সুরের ৩টা ভাগ - মন্দ্র, মধ্য এবং তারা। সবচেয়ে নিচু স্কেলের সাতটা সুরকে একত্রে বলে মন্দ্রসপ্তক। আর উঁচু স্কেলের সাতটাকে বলে তারাসপ্তক।

ক্লাসিকাল শেখা ছোটবোনের কল্যানে এগুলো আগেই জানাছিল। বিপত্তিটা বাধল এখানেই। এক্কেবারে গোড়ায় গলদ। নামেই যে সমস্যা। যাকেই ব্যান্ডের নামটা বলি, সেই ভুরু কুঁচকে জিঞ্জেস করে, "এটা হূমায়ূন আহমেদের একটা বইয়ের নাম না?" হূমায়ূন আহমেদ বাংলাদেশের একজন অন্যতম প্রধান লেখক।

তিনি যে খুব প্রভাবশালী লেখক তা জানতাম কিন্তু এতটাযে তা জনা ছিল না। আমার ঞ্জাতিগুষ্ঠির এবং বন্ধুমহলের সবারই বই পড়ে চোখ নষ্ট করার বদঅভ্যাসটা আছে। তাই যাকেই বলি ব্যান্ডের নাম মন্দ্রসপ্তক সেই বলে এটা হূমায়ূন আহমেদের একটা বইয়ের নাম!!! আরে বাবা এটা কি তার বানানো শব্দ নাকি তার নিজস্ব সম্পত্তি? তবে এজন্য লেখককে বাহবা দিতেই হয়। মাইনষে শব্দের অর্থ জানেনা, বানান জানেনা, কিন্তু এইটা ঠিকই জানে যে এইটা হূমায়ূন আহমেদের বইয়ের নাম। মারহাবা! মারহাবা!! মারহাবা!!! নেহায়েত শব্দটা খুব বেশি পছন্দ হইছে তাই আমিও ঘাড়ের রগ ফুলাইয়া তর্ক করি - "ক্যান এই শব্দ কি অভিধানে নাই? না কোথাও লেখা আছে এই শব্দটা হূমায়ূন সাহেব ছাড়া আর কেউই ব্যবহার করতে পারবোনা? কি মিয়া জবাব দাওনা ক্যান?" বলাই বাহুল্য শ্রোতারা নিশ্চুপ থাকে।

তবে ব্যান্ড যখন বিখ্যাত (???) হয়ে যাবে তখন কি আর আমি বাড়ি বাড়ি গিয়ে তর্ক করে আসবো? আপনারাই বলেন...

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।