আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আর একটু চেষ্টা কর।

দর্শক আমি

গায়ানায় দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে ম্যাচ। সেই ম্যাচটা না জিতলেই সেমিফাইনালের আশা শেষ। - হাবিবুল বাশার বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক, বিডি নিউজ কে পরবর্তী ম্যাচ সর্ম্পকে। কেউ যখন ভাল কিছু করে তা সবার চোখে ধরা পড়ে। এতে অভিনয় বা কথার ফুলজুরির দরকার হয় না।

হাবিবুলের ও তাই দরকার ছিল না মখু কষ্ট করে হাসি এনে অতিআত্নবিশ্বাসী হয়ে এসব বলার। হাবিবুলরা যে এখন ম্যাচ জেতার জন্য খেলে, তারা যে অনেক পেশাদার সে সব তো দেখা হয়ে গেছে ইন্ডিয়ার ম্যাচে। আমরা দেখলাম আমাদের খেলোয়াড়রা তাদের ১০০% কমিটমেন্ট দিলে কি হতে পারে। কিন্ত বিশ্বাসটা মনে হয় করতে পারছিনা এখন ও। সেই ম্যাচের পর আরো ম্যাচ খেলল।

সবশের্ষ নিউজিল্যান্ডের ম্যাচ আমরা কি দেখলাম। যা দেখলাম তা আশা করি নি। হ্যা, আবার এই ও আশা করিনি আমরা নিউজিল্যান্ড কে বলে কয়ে হারাবো। আর নিউজিল্যান্ড ও এত বোকা না যে পচা শামুকে বার বার পা কাটবে। তাও আবার তাদের যখন টার্গেট ফাইনাল খেলা।

যাক সে কথা, বাংলাদেশ প্রসঙ্গে আসি। কাল খেলা দেখে আমি হতাশ। প্রথমে আসি ওপেনারদ্বয়ের কাছে, তামিমের খেলা দেখে বুঝা যায় তার প্রতি নির্দেশ কি ছিল। তাই মারমার কাটকাট ভাব ছিল না শুরু থেকে। লক্ষণ ভাল।

আর আউট টা দুঃভাগ্যজনক। প্রথমে বলে মুভমেন্ট থাকে, নতুন বল। আমার মনে হয়, এইভাবে খেললে তার জন্য ও ভাল, দলের ও জন্য ও সুবিধা। দলও কিছু রান পেল, তার নিজের প্রতি ম্যাচের রান পাওয়া না পাওয়ার অনিশ্চয়তা টা ও কেটে যাবে অনেকাংশে। আর কিছুক্ষণ ক্রিজে থাকলে বল বা বোলার কে রিড করা অনেক সহজ হবে।

আর জাবেদের কথা কি বল। অনেক বল খেলে সেট হয়ে অপস্টাম্পের বাইরে বলে ব্যাট চালিয়ে আউট হওয়ার কারণে থাকে এতদিন খেলা দেখে কাটতে হল। শাহারিয়ার নাফিসের খারাপ ফর্মের কারণ পাওয়া সুযোগ কাজে লাগাতে পারল না। আবার ও একই ভুল। মনে হয় বাকি সময় খেলা দেখে কাটতে হবে আবারও।

আফতাব ভাল খেললে বাংলাদেশ ভাল করে। ঠিক আছে, তাই বলে আপনি একটু দলে কথা অবস্থা চিন্তা করবেন না। দলে রানসংখ্যার কথা চিন্তা করে বিপদজনক শট সিলেক্ট না করলে ভাল হত। একই কথা আশরাফুলের জন্য। আশরাফুলের আউট হওয়া শট থেকে বড় জোর একরান আসত।

একরানের জন্য কি দরকার ছিল এমন খেলার। যেখান তার ঠিকে থাকা ছিল খুব দরকার। সাকিবের মনোভাব ছিল যথারীতি পজেটিভ। আউট হওয়ার কারণ সেই পেস বলে দুর্বলতা। আর বোলারের চাতুর্যপূণ বোলিং।

মশফিক বল তো দেখেনি মনে হয়। আর আমাদের অধিনায়ক, যিনি সেমিফাইনালের চিন্তায় অস্থির হয়ে দৌড়াতে ভুলে গেলেন। যেখানে লোকে ড্রাইভ দেয়, সেখানে কিনা ওনি ব্যাট মাটিতে রাখতে ও অনীহা ছিলেন। বোলাররা চেষ্টা চালিয়েছে যথারীতি সম্মানজনক হারের জন্য। ব্যাট আর বল হাতে।

আরেকবার টপ অর্ডারদের লজ্জাই পেললেন। আর ফিল্ডিং ছিলনা কিছুই। কারণ জানা হয়ে গেছে আমরা হারব। আমরা জিতার আশা করি না সব সময়। কিন্ত জেতা যাবে না তাই বলে যা তা খেলে যাব তাও আশা করি না।

আবার সেই পুরানো দিনের পুরানো কথাই বলতে হচ্ছে - লড়াই করে যেন হারি। বাকী ম্যাচগুলোর জন্য শুভকামনা রইল। আমার !@@!605848

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।