আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নগ্নাগারে আমাদের ন্যাংটা রাজনীতিবিদগন

সময়, কবিতা, ছোটগল্প, দেশ, দেশাচার

অনেকবারই রাজনীতিবিদদের বলা হয়েছে পোষাক পড়, আর ন্যাংটো হয়ে থেক না। ভাল দেখাচ্ছে না। ওনারা তাতে কর্ণপাত করার দরকার মনে করেন নি। ওদের যুক্তি: ন্যাংটো হয়ে না থাকলে দেশের লোক আমাদের ভয় পায়না, মান্য করে না। প্রশ্ন করা হয়েছিল, - আপনপদের কি কোন ভয় নাই? - ভয় থাকবে কেন? দেশটা তো আমাদেরই দখলে।

- আপনাদের কি শরম করে না? - শরম করবো কেন, সারা দেশইতো অন্ধকার! - তো অণ্ধকার থাকলে তো দেশের লোক আপনাদের দেখেও না। ভয় পাবে কেন? - আরে মিয়া, দেখাটা বড় কথা না, না দেখে উপিস্থিতি টের পাওয়াই হচ্ছে আসল। - এটা আবার কেমন ভয়? - ছোটবেলায় ন্যাঙটো ফকিরের ভয়, ন্যাংটো দৈত্যের ভয়, জুজুর ভয়। - এই ভয় দেখিয়ে আর ক্থদিন চলবে? - কেন? চলবে না কেন? দেশের লোকের মেরুদন্ড আছে নাকি? - তার মানে, আপনাদের ভয়, শরম কোনটাই নাই। - ঠিক বুঝছেন।

কিন্তু কাহিনী আর সেরকম নেই। দিনকাল সামান্য হলেও পাল্টেছে। এখন দেশের লোকের মেরুদন্ড সোজা করার পক্রিয়া চলছে। সে প্রক্রিয়া সফল হতেও পারে, না ও হতে পারে। তাতে আবছা হলেও কিছুটা আলো দেখা যাচ্ছে।

তাতে ন্যাংটা রাজনীতিবিদদের আসল চেহারা বেরিয়ে পড়ছে সবার সামনে। বড় কদর্য সে দৃশ্য। তাই তাদেরকে নগ্নাগারে ঢোকানো হচ্ছে একে একে। তারা সেখানে মিলে মিশে একে আন্যের ন্যাংটো চেহারা দেখেই প্রীত হতে বাধ্য হচ্ছেন। আমরা সাধারণ মানুষ আশায় আছি।

- হয়তো তারা কোনদিনই বেরুবেন না। - বেরুলেও হয়তো এবার কাপড় পরার যোগ্য হবেন। - নিজেরাও শরম পাবেন ও কাপড় পরার প্রয়েজনীয়তা অনুভব করবেন। - ভর দুপুরে হলেও একটু আলো থাকবে। এর বেশী আর কি চাওয়া থাকতে পারে আমাদের? আমরা তো এক অভাগা দেশের আরো বেশী অভাগা নাগরিক।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.