সাধারণত ডিসেম্বার জানুয়ারি তে ক্যাম্পাস ভরে যায় পাখিতে। আমার হলের পাশের লেকে সবচেয়ে বেশি পাখি বসে। ফার্স্ট ইয়ারে যখন ক্যাম্পাসের যেকোন জিনিসেই মুগ্ধ হয়ে যেতাম তখন ঘন্টার পর ঘন্টা বসে বসে পাখি দেখতাম। এখন সেই সময়ও নাই মানসিকতাও নাই। সবাই ব্যস্ত যে যার ধান্দায়।
মানুষ বোধহয় এভাবেই বদলায়।
গত তিন/চার বছরের তুলনায় এবার পাখি খুবই কম। বলতে গেলে নাইই। ক্যাম্পাস কেমন বিবর্ন লাগে। এই সময়টায় সবচেয়ে বেশি থাকে পাখি এবং পাখি দেখতে আসা মানুষের ভীর।
আজকে সকাল সাড়ে আটটায় ক্লাস ছিলো। সকালে ঘুম থেকে ওঠা আমার জন্য সবচেয়ে কঠিন কাজ। বাসা থেকে গিয়ে ক্লাস ধরতে পারব না। তাই কালকে হলে ছিলাম। প্রায় এক মাস পর।
সকালে ঘুম থেকে উঠে কোনরকম নাস্তা করে বের হলাম ডিপার্টমেন্টের উদ্দেশ্যে। হলের গেট দিয়ে বের হয়ে দেখি একটাও রিকশা নাই। অগ্যতা হেঁটেই রওনা হলাম। মনে পড়ে গেলো সেই ফার্স্ট ইয়ার সেকেন্ড ইয়ারের দিনগুলোর কথা। লেকের দিকে তাকিয়ে দেখলাম শাপলা পাতার উপর বিশ্রামরত পাখিদের।
ওরাও বোধহয় আমাদেরই মতো ক্লান্ত। বড় লেন্সওয়ালা ক্যামেরা নিয়ে এবার কেউ ওদের ছবি তুলতে আসেনি।
কিছুক্ষনের জন্য ভুলে গিয়েছিলাম চারপাশ। এলোমেলো ভাবনার ভিতর হাঁটতে হাঁটতে পৌছে গেলাম ডিপার্টমেন্টে। আবার সেই গম্ভীর লেকচার।
আবার সেই যান্ত্রিক ল্যাব। এভাবেই কাটছে জীবন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।