আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিদেশে উচ্চ শিক্ষা : ইংল্যান্ডে পড়াশোনার বিস-ারিত

বাঙ্গালী জাতির গৌরবময় ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এবং জাতীয় সংস্কৃতির জন্য অপমানজনক কোনকিছু এই ব্লগে লেখা যাবে না।

উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হয়েছে বেশ কিছুদিন আগে। কিন' নতুন বছরের শুরুতেই হয়ে গেল বেশকিছু রাজনৈতিক অস্থিরতা। এরপরেও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রস'তি থেমে নেই। ছাত্রছাত্রীরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে ভর্তির আশায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পুনঃতারিখ ঘোষণা দেয়ার পর হয়তো স্বস-ির নিঃশ্বাস ফেলবে অভিভাবক ও ছাত্রছাত্রীরা। কিন' এর মধ্যেও দুশ্চিন-াহীন রয়েছে একদল শিক্ষাথর্ী। যারা বিদেশে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের জন্য ইতিমধ্যেই তাদের প্রস'তি গ্রহণ করে চলেছে, সেসব ছাত্রছাত্রী এবং যারা ইদানীং বা ভবিষ্যতে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণে বিদেশ যেতে ইচ্ছুক তাদের জন্য আমাদের ধারাবাহিক আয়োজনের প্রথমে আজকে আমরা জেনে নেব কি রকম পদক্ষেপ নিলে দেশের বাইরে পড়াশোনার প্রস'তি নিতে পারি। আজ আমরা ইংল্যান্ডের ভর্তি প্রস'তি সংক্রান- যাবতীয় তথ্যাদি প্রদান করছি। প্রথমেই জেনে নেয়া যাক বিদেশে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণে সুযোগ না পাওয়ার কারণগুলো।

- প্রথমত, বিদেশে পড়তে গেলে কি রকম যোগ্যতা প্রয়োজন সে সম্পর্কে বিস-ারিত তথ্য না জানা। - প্রয়োজনীয় শিক্ষার অভাবসহ আর্থিক অসচ্ছলতার কথা ভেবে পদক্ষেপ না নেয়া। - কোন দেশে পড়তে যাব কিংবা সে দেশের শিক্ষার মান নিয়ে না জেনে সে ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ। - বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যেসব যোগ্যতা প্রয়োজন তা সম্পর্কে বিস-ারিত জ্ঞানের অভাব। - নিজের চেষ্টায় বিভিন্ন জায়গা থেকে পর্যাপ্ত তথ্য গ্রহণ না করা।

- ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে ওঠা বিভিন্ন কনসালটেন্সি ফার্মের ওপর বিশ্বাস করে তা থেকে প্রতারিত হওয়া। উচ্চ শিক্ষা গ্রহণে ইংল্যান্ড যেতে চাইলে বিশ্বব্যাপী এখনও ইংল্যান্ডের শিক্ষার মান পৃথিবীর মধ্যে অন্য যে কোন দেশের তুলনায় এগিয়ে। ইংল্যান্ডে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণেচ্ছু ছাত্রছাত্রীদের পরিমাণও তাই বেশি। আবেদনকারী হিসেবে অবশ্যই আপনাকে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য নির্দিষ্ট কিছু নিয়মকানুন মেনে চলতে হবে। ভাষাগত দক্ষতা : ইংল্যান্ডের আন্ডার গ্রাজুয়েট বা পোস্ট গ্রাজুয়েট যে কোন লেভেলেই পড়তে যান না কেন ভাষাগত দক্ষতা অর্জন ছাড়া এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া বড় ধরনের বোকামি এবং আর্থিক ক্ষতি।

আন্ডার গ্রাজুয়েট বা পোস্ট গ্রাজুয়েট লেভেলে সাধারণত বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজে যেতে চাইলে আপনার আইইএলটিএস-এ 6.0-7.0 পাওয়া অত্যাবশ্যকীয়। তাড়াহুড়ো না করে তাই প্রথমে যে কোন প্রতিষ্ঠান থেকে ওঊখঞঝ কোর্সটি করে নিন। ঢাকায় ব্রিটিশ কাউন্সিল, সাইফুরস, মেন্টরস, ফেয়ার ইন্টারন্যাশনাল, পান্ডিতস্সহ নানা প্রতিষ্ঠানে এ ব্যাপারে সহযোগিতা পেতে পারেন। তবে অবশ্যই যে কোন প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার আগে সে প্রতিষ্ঠানের প্রদত্ত শিক্ষার মান সম্পর্কে অবহিত হয়ে নিন। অনেক প্রতিষ্ঠানে টাকা-পয়সা নিয়ে মানসম্পন্ন ট্রেনিং করানো হয় না।

তাই এ ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করুন। ব্যাংক সলভেন্সি : বিদেশে পড়াশোনা করতে যাওয়ার প্রস'তির শুরুতেই আপনার পড়াশোনার খরচ সমতুল্য ব্যাংক ব্যালেন্স দেখাতে হবে, যা প্রমাণ করবে আপনার খরচ বহনে আপনার পিতা-মাতা বা অভিভাবক সক্ষম। তাই যখন ভাষাগত দক্ষতা অর্জনের জন্য পড়াশোনা করছেন সে সময়ে বাবা-মা বা অভিভাবক (যে আপনার নিকটাত্দীয়) এমন কারও ব্যাংকের ব্যালেন্স, টিন নম্বর, ভ্যাট পেপার ও আত্দীয়তা সনদ, যা প্রমাণ করবে আপনার প্রকৃত অভিভাবকই আপনাকে স্পন্সর করছে, সেটা সংগ্রহের জন্য অভিভাবকদের অবহিত করুন। বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজ বাছাই বাংলাদেশে মানসম্পন্ন শিক্ষার অপর্যাপ্ততায় দেশের বাইরে পড়তে যেতে প্রস'তি গ্রহণের সময় সঠিক বিশ্ববিদ্যালয় বাছাই করা একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। দেশের বাইরে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ব্রিটিশ কাউন্সিলের তালিকাভুক্ত কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় বাছাই করুন।

ইন্টারনেট থেকে ওয়েবসাইট ঘুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাংকিং ও আপনার পছন্দের বিষয়টি নিয়ে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম সম্পর্কে অবহিত হোন। ভর্তি প্রক্রিয়া কোন সেশনে ভর্তি হবেন, কত তারিখ ক্লাস শুরু হবে এসব তথ্যাদি জানুন। Application Fees নিজস্ব একাউন্ট থেকে প্রেরণ করুন। দয়া করে না জেনে কোন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে অফার লেটার আনবেন না। এ ক্ষেত্রে বিশ্বস- ও নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান যেমন ব্রিটিশ কাউন্সিলে যোগাযোগ করে ভর্তি প্রক্রিয়ার ব্যাপারে সহযোগিতা নিতে পারেন।

কিন' ব্রিটিশ কাউন্সিলে এসব পরামর্শদান অনেক বেশি ব্যয়বহুল হওয়ায় 124, লেক সার্কাস কলাবাগানের Leeds Metropoliton Univercity-র লিয়াজোঁ অফিসেও তথ্যপ্রাপ্তির জন্য যোগাযোগ করতে পারেন। ভর্তি প্রক্রিয়ার সময় আপনার যাবতীয় নির্দেশনা পূরণ করা থাকলে আপনি অ্যাম্বাসিতে দাঁড়ানোর জন্য একটি অফার লেটার পাবেন, যা দিয়ে অ্যাম্বাসি ফেস করবেন। অ্যাম্বাসিতে আবেদন বাংলাদেশে ইংল্যান্ডের যাবতীয় ভিসার জন্য আবেদনপত্র নির্ধারিত ফি ও কাগজপত্রসহ ব্রিটিশ হাই কমিশনের অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান VFS Bangladesh pvt LTD-এ জমা দিতে হবে। এগুলোর তিনটি শাখা ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রামে রয়েছে। DHAKA : VFS, Saimon Centre, 1st Floor, Gulshan Commercial Area, Road # 22, House # 4, Dhaka-1212, Telephone-8851988 email- info


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।