আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পিতা-মাতা-সন্তান ও মানবপ্রজাতির পরিত্রাণ!

১)সন্তানের প্রতি পিতা-মাতার ভালবাসাকে বিতর্কিত করা অবান্তর বলে গণ্য হবে নিশ্চয়ই। এরপরও আমার প্রশ্ন পিতা-মাতা কি প্রকৃতই সন্তানকে ভালবাসে? নাকি ভালবাসার নামে যা করে তা অন্যকিছু? আমার জবাব, পিতা-মাতা প্রকৃতপক্ষে সন্তানকে ভালবাসে না; সন্তানের প্রতি যা করে তা সন্তানকে ভালবেসে নয়;নিজেকে ভালবেসে। ২) পিতা-মাতা কি সন্তানের কল্যাণের জন্য কিছু করে? আদৌ নয়। সন্তানের কল্যাণের নামে যা করে সম্পুর্ণ নিজের স্বার্থে;সন্তানের জন্য নয়। জন্মের কদর্য প্রাণীজ প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে সন্তানের প্রতি পিতা-মাতা যা করে তা সব সন্তানের জন্য ক্ষতিকর এবং পিতা-মাতার হীন স্বার্থপরতার বলি হলো সন্তান।

তাই সন্তানের জন্য সবচেয়ে অনিষ্টকর প্রাণী পিতা-মাতা। ৩) পুরুষকূল পিতা হতে বেশী আগ্রহী, নাকি নারীকূল মা হতে বেশী আগ্রহী? পুরুষ হিসাবে আমি বলতে পারি পিতা হতে আমি আগ্রহী নই। ৪) ক্লিন্ন প্যারেন্টহুডকে তথাকথিত মহিমান্বিত করা ধর্মেরই শেখানো আরেক অপকৃষ্টি-নিকৃষ্ট সংস্কার। সন্তান জানে কি কদর্য প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেয়ার মতোই জান্তব তাড়নায় পিতা- মাতা নামক নারী-পুরুষের যৌনাচারই তার জন্মের প্রক্রিয়া! সে প্রেক্ষিতে স্বাভাবিক বিবেচনায় লজ্জায় পিতা-মাতা সন্তানের দিকে এবং ঘৃণায় সন্তান পিতা-মাতার দিকে তাকানোর কথা নয়;কিন্তু ধাপ্পাবাজ কুচক্রি ধর্ম এই লজ্জা এবং ঘৃনাকে আড়াল করতে পিতৃত্ব-মাতৃত্বকে মহিমান্বিত করার অপকৌশলের আশ্রয় নিতে প্ররোচিত করে। (দৃষ্টান্তস্বরূপ পুত্র-পুত্রবধু বা কন্যা-জামাতার সন্তান জন্মাবার পুর্বেই তাদের সামনেই পিতা-মাতা বা শ্বশুর শাশুড়ির সন্তান প্রসবের মতো মহৎ(!) কর্মটির কথা ভাবুন;কারোরই লজ্জা-ঘৃণার বালাই থাকে না-পুত্রবধূকে শাশুড়ির বা কন্যাকে নিজের সন্তানের বদলে মায়ের সন্তান লালন পালন করতে হয়-এর নাম শ্রেষ্ঠ মানবকূল) ৫) তাই ধর্ম ত্যাগ-রাজনীতি ত্যাগ-সন্তান উৎপাদন ত্যাগই বিরাজমান এবং অনাগত মানবপ্রজাতির পরিত্রাণের উপায়।

(অসংখ্য যুক্তি ও বাস্তব দৃষ্টান্ত দিয়ে এ আপাত অস্বাভাবিক বক্তব্য প্রতিষ্ঠাযোগ্য)। ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।