আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চার উপদেষ্টার প্রস্থানে চুল ছিড়ছেন বাংলাদেশের সাংবাদিকরা

[সাইজ=3]যেটুকু প্রতিক্রিয়া না দেখালেই নয় ...[/সাইজ]

ওয়ানাবি সুপারহিরোজ এবং আওয়ামী সিম্পেথাইজার আকবর আলী, হাসান মশহুদ, শফি সামি, এবং সুলতানা কামালের প্রস্থানে যখন প্রেসিডেন্ট ইয়াজউদ্দীন আহম্মেদের পক্ষে একটা সুযোগ তৈরী হলো উপদেষ্টা পরিষদে আওয়ামী লীগ বিরোধী মনোভাবাপন্ন আরো 4 জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে নিয়োগ দিয়ে তার হাতকে শক্তিশালী করার; তখন সাংবাদিকরা পড়লেন একটি নতুন চিন্তায়। জাতিকে বিপথে পরিচালিত করার জন্য আল্লাহর উক্ত চার বান্দা সাংবাদিকদের সাথে তথ্যের যে অবাধ আদান-প্রদান ঘটাতেন এবং ঘটা করে সাংবাদিকদের "আপনার কি মনে হয়?" জাতীয় ফালতু প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে যে তত্বাবধায়ক সরকারের কাজকে সহজ করার জন্য তারা দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়েছেন সেই তত্বাবধায়ক সরকারের কাজকে নিজেরাই যেভাবে কঠিন, ধোঁয়াটে, এবং প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলতেন - নতুন যারা তাদের স্খলাভিষিক্ত হবেন তাদের প্রাণ যদি আওয়ামী লীগের জন্য উষ্ঠাগত না হয় তবে কি সংবাদ মাধ্যমগুলো প্রতি রাতের, প্রতি দিনের, প্রতি ঘন্টার নিউজে জাতিকে বিপথগামী করার সুযোগ পাবেন? পারবেন কি তারা প্রতি রাতে, প্রতি দিনে, প্রতি ঘন্টায় ইয়াজউদ্দীনকে ইয়েসউদ্দীন বলে চালিয়ে দিতে? আকবর আলী এবং হাসান মশহুদ যেভাবে তাদেরকে বঙ্গভবনের খবরাখবর আগাম সাপ্লাই দিয়ে 14 দলকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির সুযোগ করে দিতেন, নতুন উপদেষ্টারা যদি সেরকম গর্দভ এবং উল্লুক প্রকৃতির না হন ব্যপারটা কেমন দাড়াবে তখন? আমরা বিশ্বস্তসুত্রে খবর পেয়েছি এইসব নানাবিধ অনিশ্চয়তার মুখে অনেক সাংবাদিকই নিজের মাথার চুল ছিড়ছেন। চিন্তায় কারো কারো রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। এমনকি এমনও শোনা যাচ্ছে যে সাংবাদিকরাই উক্ত চার আল্লাহর বান্দাকে অনুরোধ করছেন তাদের প্রস্থানপত্র ফিরিয়ে নিয়ে আবার সংবাদমাধ্যমসমূহের ইনসাইডার সোর্সরূপে আবিভর্ূত হওয়ার জন্য। প্রস্থানকারী ব্যক্তিবর্গ এব্যপারে এখনও তাদের মহা মূল্যবান বক্তব্যখানি জানাননি।

তবে বিশ্বস্তসুত্রে আমরা আরো জানতে পেরেছি যে, টিভি ক্যামেরা আর ফ্লাশলাইটের ঝলকানিতে তারা এতটাই অভ্যস্ত হয়ে গেছেন যে তাদের অনেকে সাংবাদিকদের এই প্রস্তাব পুন:বিবেচনা করছেন। জাতির কাছে তারা কোনো গোষ্ঠীর তল্পিবাহকরূপে পরিচতি হতেই পারেন কিন্তু নিজের পরিবারের কাছে তো তাদের একটা দায়বদ্ধতা আছে। ছেলে-মেয়েগুলো প্রতিদিন পড়াশোনা ফেলে টিভির দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে কখন আব্বুকে দেখাবে কখন আম্মুকে দেখাবে। দেশবাসীর প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণ করলেও সেই একই আচরণ তো নিজের সন্তানের সাথে করা যায়না। তাই, সাংবাদিকদের একটি মহল খুবই যে আশাবাদী ঐ চার প্রস্থানকারীদের মধ্যে কেউ কেউ হয়তো স্ব-দায়িত্বে ফিরে যাবেন এবং সাংবাদিকরা তার/তাদের মাধ্যমে আবারও জাতিকে বিভ্রান্ত করার সুযোগ পাবেন।

জয় হোক, বাংলারও নয় বঙ্গবন্ধুরও নয়, মিডিয়াতন্ত্রের।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।