হলিউডে জেমসবন্ড নামে একটা দারুণ জনপ্রিয় মুভি সিরিজ আছে। জনপ্রিয়তার কারণে যার বহু সিক্যুয়েল হয়েছে। এ ছবিতে প্রায় সময় দেখা যায়, হলিউড[ অথবা আমেরিকার] আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে শত্রু বাহিনীর বিপরীতে জীবনবাজি রেখে বিশাল দুঃসাধ্য সব মিশন ইম্পসিবলে অংশ নেয়। এর পর নায়কের বিভিন্ন ক্যারিকেচার আর সাথে যতটুকু মশলা আমরা খাই তার চাইতে বেশী মশলা দেয়া হয়। প্রতিমুহুর্তে জেমসকে নিয়ন্ত্রণ করছে একটা ইন্টেলিজেন্ট দল।
তারাও হলিউডি আদর্শে উদ্বুদ্ধ। জেমস ছাড়াও প্রায় আমেরিকান মুভিতে এ ধরণের অতিনায়কদের দেখা মেলে। আমেরিকার দানবীয় পতাকা হাতে তাদের সবার একটাই স্লোগান' সবার উপরে আমেরিকা সত্য তাহার উপরে নাই।
আর এই সব জেমস শত্রুপরে ডেস্ট্রয়ার, মিসাইল, নৌবহর ধ্বংশ করে শত্রুকে নিরস্ত্র করে। শুধু নিরস্ত্র করেই ান্ত হয়না তাদের কে একদম সাফ করে ছাড়ে।
হয়তো এটাই তাদের অস্ত্র ব্যবসার ত্রে হয়ে যায়।
অনুরুপ ভাবে বাস্তবেও আমেরিকা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে জেমসবন্ড তৈরী করে তাদের আগ্রাসনের পথ সুগম করে। তৈরী করে অস্ত্র বিক্রির ত্রে।
আলআজহার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাদ্দাম হোসেনকে খুজে বার করে এফ বি আই জেমসবন্ড হিসাবে তৈরী করে। আর ইরাকে প্রচুর অস্ত্র বিক্রি করে।
দশ বছর ধরে ইরাক ইরান যুদ্ধ লাগিয়ে রাখে। অনুরুপ ভাবে আমেরিকার আরেকজন জেমসবন্ড হচ্ছে ওসামা বিন লাদেন। প্রাক্তন সোভিয়েতের বিরুদ্ধে তাকে এবং তার সৃষ্ট তালেবানদেরকে মিশনে পাঠায় আমেরিকা। ঠিক এরকম ভাবে লাতিন আমেরিকায়, নিকারাগুয়া, চিলি, কলম্বিয়া একটার পর একটা জেমসবন্ড তৈরী করে আমেরিকা। সমপ্রতি বাংলাদেশের ডঃইউনুস নোবেল প্রাইজ পেয়েছেন, শান্তিতে।
আমরা জানতাম তিনি অর্থনীতিবিদ। যদিও অর্থনীতিতেও নোবেল রয়েছে। আর কে না জানে শান্তির সাথে যুদ্ধেরই সম্পর্ক বেশী।
বহুদিন ধরে আমেরিকার মিয়াবিবিদের ঘুম নাই এই দেশটি নিয়া। এই দেশের গিনিপিগ মানুষ গুলো মাঝে মাঝে ভাষানিয়া বিদ্রোহ করে।
মাঝে মাঝে স্বাধীনতার কথা কয়। আর একাত্তরে ভারত মহাসাগরে সপ্তম নৌবহর পাঠিয়েও এদের দমানো গেলনা। শেষ পর্যন্ত হেনরী কিসিঞ্জার বাংলাদেশকে ঘোষনা করলেন তলাবিহীন ঝুড়ির সাথে। তার মানে তিনি আমেরিকান মাফিয়াদের সতর্ক করে দিলেন তারা যেন এ যুদ্ধাহত দেশে বিনিয়োগ না করে। মাঝখানে ডঃ ইউনুসকে খুজে পায় আমেরিকা।
তিনি প্রভুদের নেকনজরে আসেন দ্রুত। তিনি বুদ্ধিমান এবং শোষনকামি প্রোগ্রামার। তারা লুফে নিল তাকে। অতিদ্রুত প্রোগ্রাম তৈরী হয়ে যায়। হিলারির হাত বেয়ে আমেরিকান ডলার নেমে আসে বাংলার মাটিতে।
মাঝখানে বাবুবিবি নিজেদের বিনিয়োগ ত্রে দেখতে এলেন। স্পেনের রাণী সুফিয়ারে পাঠালেন। ভালই প্রচার হলো। আর মাইক্রো ক্রেডিট ব্যবসা তারা ছড়িয়ে দিলেন পৃথিবীর আরো বহু নিঃশেষিত দেশে। গরিবের প্রতিবাদের ভাষা নাই।
তাদের ভিটে মাটি গরু চাগল অন্তত পাওয়া যায়। যদিও এদেশে কিছু নাই তবুও গ্যাস আছে, গার্মেন্টস আছে। সস্তা শ্রমিক আছে। আর আমেরিকা বহু বছর যাবত যে চট্রগ্রাম বন্দরটি চেয়ে আসছে। হিলারী তার ' লিভিং হিস্ট্রিতে' ডঃ ইউনুসের জন্য এক দেড় পাতা খরচ করলেন।
এবং তার জবান মতে তিনি মতা থাকা কালিনই নোবেল কমিঠিকে অনুরুধ জানিয়েছেন ডঃ ইউনুসকে নোবেল প্রাইজ দেয়ার জন্য। সম্ভবত এতদিন নোবেল কমিঠি ভেবে পায়নাই আসলে ডঃ ইউনুসকে কিসে নোবেল দেয়া যায়। আর আজ ডঃ ইউনূস নোবেল পেলেন। তার আগে মাইক্রো ক্রেডিটে জর্জরিত গোটা চলি্লশেক দেশ। চড়া সুদে আমরা ধনী হচ্ছি।
গ্রামীণ ব্যংকের সুদে দরিদ্র মহিলারা টিভি, মোবাইল, গরু ছাগল কিনছে। কিন্তু সুদ দিতে গিয়ে সব বিক্রি করে শেষে জেলের ভয়ে ফেরার হচ্ছি। ওদিকে আমেরিকান ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ তৈরী করছে নিয়ত তাদের প্রোগ্রাম। জেমসবন্ডের জন্য। আওয়ামীলীগ আর বি এন পির কাজিয়ায় তার অস্থির কোন সময় কি ঘঠে এদেশে আল্লাহ মালুম।
কিভাবে এদেশে শান্তি আনা যায়। ডঃ ইউনূস উন্মাদ হয়ে উঠেছেন। তিনি খানিক কাদছেন খানিক হাসছেন। বার্নাড শর দোহাই দিয়ে বলতে হয় যে পুরুস্কার হজম করতে জানেনা সে পুরুস্কারের যোগ্য নয়।
ইতিমধ্যে ডঃ ইউনূসের মুখে আমেরিকার ভাষা।
তিনি কিসে নোবেল পেয়েছেন আর কি বলে বেড়াচ্ছেন সে ব্যপারে অবগত নন। তিনি বন্দর খুলে দিতে বলছেন। যেন সেখানে মার্কিন ঘাটি হতে পারে। এতে কি শান্তি তিনি কামনা করছেন তিনিই জানেন। আমরা পার।
দু দিনে সম্ভব। আমি নিজেই রাজনৈতিক পার্টি গঠন করব। হা বল। সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে ইত্যাদি। সম্ভবত আমরা আমাদের ভাবী ত্রাতাকে পেয়ে গেছি।
সাবাশ জেমস।
চারিদিকে জেমসের জয়জয়কার। তিনি আমাদের নাম দিকে দিকে উজ্জল করেছেন। তাও কম কি। দূনর্ীিত বারবার প্রথম হবার চেয়ে মাঝে মাঝে শান্তিতে নোবেল পাওয়া মন্দ নয়।
রাস্তায় বেরুলেই ুদ্ররিনের গ্রাহক নারীদের মিছিল চোখে পড়ে। এত গ্রামীণ ব্যংকেরও জয়। গ্রামীণ ব্যংক আর ডঃ ইউনূসের কেউ কি খেয়াল করেছেন? মিছিলে অংশগ্রহণকারি এই সব ছেড়া বোর্কা পড়া হতদরিদ্র মানুষদের পায়ের চপ্পল কোথায়? নাকি বিজয় মিছিলে চপ্পল আনতে নাই। একেই কি বলে কোকাকোলার বদলে কাপড় খোলা?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।