আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ডঃ মোঃ ইউনুস ও প্রাসঙ্গিক ভাবনা

"পসার বিকিয়ে চলি জগৎ ফুটপাতে, সন্ধ্যাকালে ফিরে আসি প্রিয়ার মালা হাতে"

নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী ডঃ মোঃ ইউনুস'কে প্রথমেই জানাই প্রণঢালা শুভেচ্ছা ও আন্তরিক অভিনন্দন। আপনারঅর্জিত এই সম্মানে আমরা ভীষণভাবে গর্বিত। এবার আপনাদের উদ্দেশ্যে আমার কিছু বক্তব্য। আচ্ছা বলুনতো আপনাদের কাছে কোন অপসনটা বেশী গ্রহণযোগ্য বলে মনে হয়? এখানে সবার কাছে নিরপেক্ষ, সৎ ও বস্তুনিষ্ঠ অভিমত আশা করতেই পারি। প্রথম অপসনঃ আপনি অভাবগ্রস্থ।

আপনার হাতে কোন এক টাকা পয়সা নেই। অন্যের কাছে সাহায্য চেয়ে বা ভিক্ষা করে আপনাকে জীবিকা নির্বাহ করতে হয়। সমাজে আপনি সম্পূর্ণভাবে অবহেলিত এক শ্রেণী। রাষ্ট্রীয় উৎপাদন ব্যবস্থায় আপনার কোন অবদান বা ভূমিকা নেই। সেই সাথে নেই সামাজিক ও অর্থনৈতিক স্বীকৃতি।

জীবনের মূলধারার কর্মকান্ডে আপনি সম্পূর্ণ বঞ্চিত ও বিচ্ছিন্ন এক জীবনের প্রতিনিধি ও নিয়ন্ত্রক। উৎপাদনশীল কর্মকান্ডে আপনার ভূমিকা নিষ্ক্রিয়। কপর্দকহীন, স্থবির এই জীবন আপনার কাছে কেমন মনে হবে? এই জীবন ব্যবস্থায় আপনার দেবার মত কিছুই নেই। তবে বেঁচে থাকার জন্য ঠিকই আপনাকে কারো না কারো কাছে হাত পাততেই হয়। পরনিভর্রশীল এক জীবনের প্রতিনিধি আপনি।

দ্বিতীয় অপসনঃ ধরুন কেউ আপনাকে কিছু টাকা ধার দিল। সেইসাথে তার দেয়া টাকাকে পুঁজি করে কিভাবে আরও টাকা উপার্জন করা যাবে সেই পথও বাতলে দিল। সঙ্গে কিছু শর্তও জুড়ে দিল। তার এই টাকা কাজে লাগিয়ে আপনি তার কথা ও পরামর্শ অনুযায়ী তার উদ্ভাবিত উৎপাদন প্রক্রিয়ার অংশ নেবেন। অতঃপর সেই প্রক্রিয়া কাজে লাগিয়ে যা কিছু উপার্জন করবেন আমানত গচ্ছিত রেখে বাড়তি আয়ের একটা নির্দ্দিষ্ট অংশ তাকে লাভ বা মুনফিা হিসেবে ফেরৎ দিতে হবে।

এতে দেখা যাচ্ছে আপনার জীবিকা নির্বাহ ঠিকমতই হচ্ছে এবং আপনার হাতে বাড়তি আরও কিছু টাকা থাকছে সেই ব্যক্তিকে ফেরৎ দেবার মতো। যা আগে কখনও আপনার পক্ষে সম্ভব ছিল না। ওনার বাতলানো পথে চললে আপনাকে কারও কাছে হাত পাততে হচ্ছেনা উপরন্তু আপনি কিছু নগদ অর্থ পাচ্ছেন সঞ্চয়ের জন্য। যা আপনাকে অভাবেব দুষ্টচক্র থেকে মুক্তি পাবার একটা রাস্তা দেখাচ্ছে। আপনার শুধু মনে হচ্ছে আপনার আয়ের অনেকটাই সেই ব্যক্তি নিয়ে যাচ্ছে।

করার কিছুই নেই। কারণ সেতো শর্ত দিয়েই আপনার প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে। কিন্তু এতে করে আপনার অভাব দূর হচ্ছে এবং বাড়তি কিছু টাকা রোজগার হচ্ছে। এটা কি আপনার পছন্দ নয়? আগের সেই অভাবী জীবনের চেয়ে এটা কি ভাল নয়? আপনার অভিমতঃ এবার বলুন আপনি কোন অপসন নেবেন? প্রথম ও দ্বিতীয় যে কোন অপসন আপনি বেছে নিতে পারেন। এখানে বাধ্যবাধকতার কোন বিষয় আরোপিত নয়।

বিনা পরিশ্রমে অন্যের মুখাপেক্ষী থাকা ভাল, নাকি কষ্ট করে স্বাবলম্বী হওয়া ভাল? কোন অপসম বেশী গ্রহণযোগ্য?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।