আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

K-PAX ভিনগ্রহের!!!!!!!!! মানুষের আবহমান জীবনের অন্তরালের গল্প

একটা সময় ছিলো যখন ভালোবাসা ছাড়া জীবন অর্থহীন মনে হতো, এখন জীবন থেকে শিখে ভালোবাসাকে অর্থহীন মনে হচ্ছে প্রথম পরিচয়ে কেউ যদি আপনাকে বলে সে ভিনগ্রহ থেকে এসেছে... আপনার অভিব্যাক্তি কি হবে? আপনি অবাকে হবেন? নাকি সরাসরি তাকে পাগল বলে উড়িয়ে দিবেন? কিন্তু সে যদি বেশ কিছু ভাসা ভাসা প্রমাণ দিতে পারে যে মহাকাশ সম্পর্কে সে আসলে আমাদের সাধারণ মানুষের চেয়ে বেশি জানে, তবে? একটু কি ধাঁধায় পড়ে গেলেন? উপরের যে প্রশ্নগুলো আমি ছুড়ে দিলাম আপনাদের উদ্দেশ্যে সে প্রশ্নগুলো আসলে একটা অসাধারণ সিনেমার। যেখানে রয়েছে অন্তহীন প্রশ্ন কিন্তু খুব সামান্য উত্তর। একজন সাধারণ দর্শক হিসেবে নিজের বোঝার ভুলটা আপনার মনকে কিন্তু বিন্দুমাত্র খারাপ করে দিবেনা। উলটো আপনার মনে হবে এইভাবে তো আপনি ভেবেই দেখেন নি। চলুন তাহলে পরিচিত হওয়া যাক সাধারণ মোড়কের একটি অসাধারণ সিনেমার সাথে।

কাহিনি সংক্ষেপ : Prot (Kevin Spacey) একদিন কোথা থেকে যেনো নিউ ইয়র্ক ট্রেন স্টেশানে উদয় হয়। তার আচার ব্যাবহার অদ্ভূত লাগার কারণে পুলিশ তাকে জিজ্ঞেস করে সে কোথা থেকে এসেছে? জবাবে সে বলে সে K-Pax নামক গ্রহ থেকে এসেছে। এই কথা শোনার পর পুলিশ তাকে সন্দেহভাজন হিসেবে নিয়ে যায় থানায়। পরে তার জায়গা হয় ম্যানহাটন সাইক্রিয়াটীক ইউনিটে। সেখানে তার চিকিৎসার দায়িত্ব পরে ডাঃ মার্ক পাওয়েলের কাঁধে।

আর সত্যিকার অর্থে মূল কাহিনি শুরু হয় এখান থেকে। শুরু থেকে একদম শেষ পর্যন্ত যদি আপনি দেখতে এক বসায় দেখতে থাকেন একটিবারের জন্য হলেও আপনার মাথায় একটি প্রশ্ন উকি দিতে বাধ্য, কে আসলে কাকে সুস্থ করে? কমবেশি সবাই অভিযোগ করে থাকেন মুভির কাহিনি বলে দিলে আর সেই মুভি দেখায় কোন মজা পাওয়া যায় না। সেই কারনে এইবার কাহিনির কিছু বলছি না। যা কিছু ভালো লাগা : সবার আগে যেটার কথা বলতে হবে সেটা হচ্ছে কাহিনীটি ইউনিক। স্ক্রিপ্ট অসাধারণ, ডায়লগ ও পারফেক্ট।

আর সবার উর্দ্ধে যার কথা বললেই নয় তিনি হচ্ছেন কেভিন স্পেসি। আহা কি অভিনয় করে গেছেন। আর কালো চশ্মার অন্তরালে হাসি আহা ডেডলি জিনিস। কাহিনির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আপনাকে চুম্বকের মত ধরে রাখার জন্য এই এক জিনিস ই যথেষ্ট। যারা তার আগের মুভি দেখেছেন তাদের জন্য কিছু বলার নেই।

আর যারা তার আগে কোন মুভি ই দেখেন নি তাদের কে বলছি একবার দেখুন এই গুণী অভিনেতার অভিনয়। আর একটা জিনিস যেটাকে কোনভাবেই খাটো করে দেখার নয়, যেটাকে আপনি অনুভব করতে বাধ্য হবেন সেটা হচ্ছে ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক। যা কিছু খারাপ লাগা : আসলে বলার মত তেমন কোন কিছুই খারাপ লাগেনি। অনেকের কাছে মুভিটির দৈর্ঘ্য বিরক্তির উদ্রেগ করতে পারে কিন্তু তবুও বলবো দৈর্য্য ধরে দেখুন। শেষ করার পর আপনারো মনে হবে আহা কি দেখলাম।

ব্যাক্তিগত আবেগ : মুভিটিতে খুব সুক্ষ্ম একটি মেসেজ আছে আর আছে একটি টুইস্ট (এটি নিয়ে বিতর্ক হতে পারে)। যারা দেখেছেন তারা আগে কি বলেন শুনি। তারপর নাহয় কমেন্ট সেকশানে আমি কি বুঝলাম সেটী বলবো। একটি প্রশ্ন করি কেউ কেউ পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ অথচ তার কাছে হয়তো টাকা পয়সা তেমন কিছুই নেই। আবার অনেকের কাছে টাকা গাড়ী বাড়ি সব আছে কিন্তু সুখ নেই।

এটা কেনো হয়? আমার ধারণা এর পিছনে অনেক কারণ আছে তার মধ্যে সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে দেখার দৃষ্টিভঙ্গী। আমার চেয়েও অনেকেই খুব খারাপভাবে বেচে আছে এই জিনিসটা চিন্তা করলেই দেখবেন নিজের অনেক অপূর্ণতার কষ্ট আপনাকে আর কাবু করতে পারবে না। আর চেষ্টা করবেন কোন ভুল না করতে, যদি করেও থাকেন তাহলে বারবার চেষ্টা করবেন সেই ভুল শোধরানোর। আর ভবিষ্যতে যাতে ভুলগুলোর পুনরাবৃত্তি না হয়। এই রিভিউতে এই কথাগুলো লিখার কারণ হিসেবে মুভির একটা অংশের কিছু লাইন তুলে দিলাম : The universe will expand, then it will collapse back on itself, and then it will expand again. It will repeat this process forever. What you don't know is that when the universe expands again, everything will be as it is now. What ever mistakes you make this time around, you will live through on your next pass. Every mistake you make...you will live through...again and again, forever. So my advice to you is to get it right this time around, because this time...is all you have. আমি খুব চেষ্টা করি আমার নিজের পছন্দ অপছন্দ অন্যের উপর চাপিয়ে না দিতে।

তাই সবাইকে জোর করে বলবো না এইটা অবশ্যই দেখুন আর এটাও এইটা বলবো না, এটি একটা নিখুত মুভি যেখানে কিছু ভুলত্রুটি বা খারাপ লাগার মত ব্যাপার থাকতেই পারে। আর যে কোন কারনে হোক সেটি আমার চোখ এড়িয়ে যেতে পারে। যারা ধীর গতির মুভি কম পছন্দ করেন তাদের কাছে মুভির দৈর্ঘ্য ছাড়া অন্য কোন কিছু খারাপ লাগবে বলে মনে হয় না। সবাই ভালো থাকুন। হ্যাপি মুভি টাইম।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।