আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বেশি খাওয়ার বিড়ম্বনা

বন্ধুর খোঁজে

এমন অনেক মানুষ আছে যাদের পেট ভরলেও চোখ ভরতে চায় না! ফলে প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ তাদের এক প্রকার বদভ্যাসে পরিণত হয় । এর উপকারী দিক একটিও না থাকলেও অপকারী দিক আছে অনেক। পুষ্টিবিদরা বলে থাকেন, মানুষ বাচার জন্য খায়, খাবার জন্য বেঁচে থাকে না। আসলেই তাই । শরীরবিদদের মতে, কম খেয়ে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে ।

একই সাথে বাড়ে মনের শক্তি । তবে এই কম খাবার হতে হবে যথাযথ পুষ্টিমান যুক্ত। 'দারুণ স্বাদ হয়েছে' এই যুক্তিতে যদি প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাবার গলধকরণ করেন তো তা আপনার উপকারের চেয়ে অপকারই বেশি বয়ে আনবে। দিনের পর দিন বাড়তি খাবার খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় । উপরন্তু শরীরে বাসা বাধে নানা জটিলতা।

পাকস্থলির হজম প্রক্রিয়া বেশ জটিল। প্রত্যেক মানুষের পাকস্থলি মোটামুটি একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ খাবারকে প্রক্রিয়াজাত করতে পারে। বাড়তি খাবারটা তাই ঠিকমতো হজম হয় না। এ অবস্থায় বোঝা যায় যে বদহজম হয়েছে। যে খাবার গ্রহণ করছেন তার ঘ্রাণযুক্ত ঢেকুর উঠতে থাকে বার বার যা খুবই বিরক্তিকর।

বদহজম পেটে গ্যাস সৃষ্টি করে। শুরুহয় অস্বস্থি। তাছাড়া আপনার গ্রহণ করা খাবার যদি হয় উচ্চ ক্যালরি যুক্ত তাহলে বাড়তি খাবার শরীরে চর্বি জমাট বাধতে সাহায্য করবে। বেড়ে যাবে ওজন। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, যাদের কম খাবার গ্রহনের অভ্যাস তাদের গড় আয়ু তাদের চেয়ে বেশি যারা বেশি পরিমাণে খাবার খেয়ে থাকেন।

এছাড়া বাড়তি খাবারের জন্য বাড়তি ব্যয় তো আছেই। আরেকটি খারাপ দিক হল, এটি একসময় অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায়। খেতে খেটে পেট উঁচু না হলে পেট ভরেনি এমন কেটা ধারণা সৃষ্টি হয়ে যায়। আর এই ধারণাটাই মস্ত বড় একটি কুফল । এই পর্যায়ে বেশি খাবার অভ্যাস ছেড়ে কম খাবারের দিকে ঝুকতে গেলে মানসিক একটা অতৃপ্তির ভাব সৃষ্টি হবে।

সুস্বাদু খাবার অল্প খেলেও যা, উদরপুর্তি খেলেও তা। তাই কম খাবার গ্রহণের অভ্যাস গড়ে তুলুন আপনার পরিবার থেকেই উপকার হবে নিজের এবং ভবিষ্যত বংশধরদের।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.