আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইসলামিক মাদ্রাসা বলে কিছু নাই ।



মাদ্রাসা শব্দটি স্কুল বা টোল শব্দটির প্রতিশব্দ। আরবী ভাষায় দারাস হচ্ছে মাদ্রাসার মূল শব্দ ্ দারাসা মানে হল "যেখানে পড়ানো হয়" । যার আরেকটি অর্থ দাড়ায় আইন বিষয়ে পড়াশুনা । মাদ্রাসার মূল বিকাশ ঘটে মধ্যযুগে সেলজুক তুর্কী সুলতানদের হাতে। সেই সময় এই মাদ্রাসা ছিল মধ্য যুগের গুরুত্বপূর্ন শিক্ষার বাহন।

মধ্যে যুগে শিক্ষা ব্যবস্থাটা ছিল তিন ধরনের, এক চার্চ কেন্দ্রিক খ্রীস্টিয় শিক্ষা ব্যবস্থা , মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা, গুরু কেন্দ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থা, অথর্্যাৎ গুরুর বাড়ী ছিল স্কুল থেকে ইউনিভার্সিটি। অবশ্যই প্রশ্ন জাগে প্ল্লেটো আর এরিস্টেটল কোথায় গেলন ?খ্রীস্টিয় চার্চ তাদের একাডেমি নামক স্কুল গুলোকে প্যাগনিজমের অজুহাতে বসিয়ে দিয়েছিলেন। এবং এই সব জ্ঞান গুরুর বই তখন সমানে নিষিদ্ধ। তবে এই নিষিদ্ধ বই কিন্তু মাদ্রাসায় গিয়ে পড়তে হত। তখনকার মাদ্রাসায় পড়ানো হত ফেকাহ বা ফিকা ( আইন শাসত্র) , হাদিস, কোরান এবং বিদেশি জ্ঞান ওরফে দর্শন আর বিজ্ঞান ।

এছাড়া থাকতো আরবী ভাষা আর ব্যাকরণ। মাদ্রাসা গুলো তৈরী হত একটা বড় মসজিদের পাশে । মাদ্রাসা ছিল অনেকটা বোডিং স্কুলের মত। মুসলিম, খ্রীস্টান,ইহুদি এরা সবাই এই মাদ্রসায় পড়তে পারতো । এই রকম মাদ্রাসা ব্যবস্থা থেকে বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয় কারুইন এর জন্ম।

মধ্যযুগে মুসলিম এবং অনেক ইহুদি এবং কিছু খ্রীস্টান দার্শনিকের শিক্ষা লাভ হয় মাদ্রাসা থেকেই । ভারতে মুসলিম শাসনের সঙ্গে সঙ্গে মাদ্রাসা শিক্ষা চালু হয় । কোলকাতা আলীয়া মাদ্রাসার জন্ম ভারতে 1780 সালে । যার মূল উদ্যক্তো ছিলেন ওয়ারেন হেস্টিং। 1857 সালে সিপাহী বিদ্রোহের সময় বিট্রিশরা ভারতের বিদ্রেহে মাদ্রাসার নেতাদের হাত আছে বলে সন্দেহ করে ।

তারা মাদ্রাসা বন্ধ করে দেয়নি কিন্তু মাদ্রাসা গুলোকে সংস্কার করে। সেই সংস্কারে পুরো মাদ্রাসার কাঠমোই পাল্টে যায় ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.