আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কী আছে এরশাদের ভাগ্যে

বাঙ্গালী জাতির গৌরবময় ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এবং জাতীয় সংস্কৃতির জন্য অপমানজনক কোনকিছু এই ব্লগে লেখা যাবে না।

বিএনপির স্থায়ী কমিটি সিদ্ধান- নিতে পারেনি : শরিকদের সঙ্গে কথা বলতে হবে জাপা ক্ষয়িষ্ণু শক্তি, জোটে দরকার নেই : মুজাহিদ জোট থেকে জামায়াত বেরিয়ে গেলে কোন ক্ষতি হবে না : এরশাদ এরশাদের ভাগ্য এই মুহূর্তে অনিশ্চিত। জামায়াত-জাপা দ্বন্দ্বে নতুন টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছে। জামায়াতে ইসলামী নারাজ বলে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় জাতীয় পার্টিকে জোটে নেয়ার সিদ্ধান- নেয়া যায়নি। সভায় অধিকাংশ সদস্য বলেছেন, এরশাদকে জোটে টানার ব্যাপারে তাদের কোনই আপত্তি নেই।

তবে ঘর (চারদলীয় জোট) ভেঙে কাউকে জোটে টানা ঠিক হবে না। শরিক জামায়াতে ইসলামীকে বুঝিয়ে-শুনিয়ে রাজি করাতে পারলেই কেবল এরশাদকে নেয়া সম্ভব। অন্যথায় একূল-ওকূল দু'কূল হারানো যাবে না। শরিকদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। বিএনপি মহাসচিব এলজিআরডি মন্ত্রী আবদুল মান্নান ভঁূইয়া স্থায়ী কমিটির সভার পর বলেছেন, শরিকদের সঙ্গে আলোচনা করে এরশাদকে জোটে নেয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান- নেয়া হবে।

ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়েছে। কিন' জামায়াতে ইসলামী মঙ্গল ও বুধবার দলীয় সভা করে সিদ্ধান- নিয়েছে, জাতীয় পার্টিকে জোটে নেয়ার প্রয়োজনীয়তা নেই। তবে জাপা ক্ষয়িষ্ণু শক্তি, জোটে দরকার নেই। এ সিদ্ধান- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভার আগেই দলের মহাসচিব আবদুল মান্নান ভঁূইয়াকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল সমাজকল্যাণ মন্ত্রী আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ বলেছেন, জাতীয় পার্টিকে জোটে টানার উদ্যোগ সম্পর্কে যা বলার আগেই তারা বলে দিয়েছেন।

তারপরও এ ব্যাপারে বিএনপির সঙ্গে তাদের একটি বৈঠক হবে। ওই বৈঠকের পর তারা নিজেরা আবার বসবেন। একইভাবে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সভা আবারও হবে। অন্যদিকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, জামায়াতের কোন জনপ্রিয়তা নেই। এককভাবে নির্বাচন করলে জামায়াত এবার 3টি আসনও পাবে না।

তাদের আসন মাত্র একটি, সাতক্ষীরা-2। জোট থেকে জামায়াত বেরিয়ে গেলে কোন ক্ষতি হবে না। জামায়াত এরশাদের এ ধরনের মন-ব্যে ক্ষুব্ধ। প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে বুধবার বেলা পৌনে 1টায় তার তেজগাঁওয়ের কার্যালয়ে দলের জাতীয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা স্থায়ী হয় প্রায় পৌনে 2 ঘণ্টা।

মান্নান ভূঁইয়াসহ উপস্থিত ছিলেন অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এম সাইফুর রহমান, ড. আরএ গনি, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, দফতরবিহীন মন্ত্রী আবদুল মতিন চৌধুরী, আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, চৌধুরী তানভীর আহমেদ সিদ্দিকী, কেএম ওবায়দুর রহমান ও খন্দকার মাহবুবউদ্দিন আহমাদ। কর্নেল (অব.) অলি আহমদ ওমরা পালনের জন্য সৌদি আরব থাকায় এবং খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন থাকায় সভায় অনুপস্থিত ছিলেন। মান্নান ভঁূইয়া বলেন, কর্নেল (অব.) অলি বা অন্য কোন নেতার ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক কোন আলোচনা হয়নি। কোন সিদ্ধান-ও এ ব্যাপারে নেই। তবে অলি বিদেশে আছেন।

দেশে ফিরলে তার সঙ্গে কথা বলা হবে। পত্রিকায় যা ছাপা হয়েছে তা সঠিক কিনা তারা নিশ্চিত নন। এর আগে একবার অলি অস্বীকার করেছিলেন। আশরাফ হোসেন ইতিমধ্যেই অস্বীকার করেছেন। মান্নান ভঁূইয়া স্থায়ী কমিটির সভার পর প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও বলেন, এরশাদকে জোটে আনার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে।

সিদ্ধান- হয়েছে, জোটের শরিকদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান- নেয়া হবে। আলোচনা চলছে। তিনি জাতীয় পার্টিকে জোটে নেয়ার শর্ত সম্পর্কে বলেন, দু'পক্ষকে জোট গঠনের ব্যাপারটা অনুভব করতে হবে। তারপর আলোচনা। এরশাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে।

তিনি বলেন, সভায় আগামী 26 আগস্ট দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সভার আলোচ্যসূচি, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, দলের সাংগঠনিক অবস্থা, আগামী নির্বাচনী ইশতেহার এবং ইশতেহারে কি কি অঙ্গীকার থাকবে সেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিলের সঙ্গে টেলিফোন আলাপ সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তিনি এ ব্যাপারে কিছু বলতে চান না। তবে সংস্কার প্রস-াব নিয়ে তারা আলোচনার পক্ষে। আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে পেঁৗছা প্রয়োজন। তিনি বলেন, মহাসচিব ও সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে আলোচনার ব্যাপারে ব্যবসায়ী নেতারা প্রস-াব দিয়েছেন।

এ প্রস-াবে বিরোধী দল রাজি থাকলে এবং আনুষ্ঠানিক প্রস-াব দিলে তারা দেখবেন। মান্নান ভূঁইয়া বলেন, সংস্কার প্রস-াব নিয়ে কি সিদ্ধান- হয় তার ওপর নির্ভর করবে আইন প্রণয়ন বা সংবিধান সংশোধন করতে হবে কিনা। জাতীয় পার্টিকে জোটে টানার ব্যাপারে জামায়াতে ইসলামী এখনও রাজি হতে পারেনি। এর আগে তারা বলেছেন, এরশাদকে চারদলীয় জোটে প্রয়োজন নেই। এরশাদের জাতীয় পার্টি একটি ক্ষয়িষ্ণু শক্তি।

এদের জোটে নিলে লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি হবে। তাছাড়াও জামায়াত নেতৃবৃন্দ মনে করছেন, তাদের জোটে দুর্বল করার জন্য এরশাদকে জোটে টানা হচ্ছে। এ কারণে তারা শক্ত অবস্থান নিয়েছেন। জামায়াতে ইসলামীর মতামত জানার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া মঙ্গলবার দলের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোঃ মুজাহিদসহ কয়েক নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন। এরপর ওইদিন বিকালেই জামায়াতের মগবাজারের কার্যালয়ে পার্টির কর্মপরিষদের দীর্ঘ বৈঠক হয়।

রাত 12টা পর্যন- চলার পর গতকাল সকালেও আরেক দফা অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করেন তারা। বৈঠকে তারা আগের অবস্থানেই অনড় থাকার সিদ্ধান- নেন এবং বিএনপি মহাসচিবকে জানিয়ে দেন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।