পরির্বতনের সময় এখন....
জিতু ....চার বছরের ছেলে। দুষ্টমিতে পাকা । সারাদিন লম্প-ঝম্প, কখনো এটা কখনো ওটা , মোটকথা এদিক ওদিক না করলে তার শান্তি নাই.....কিন্তু পড়াশোনার কথা বললে তার মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়ে.......জোর করে পড়াশোনা করাতে হয় । তবে ব্রেন ভালো যতক্ষন পড়ে ভালো মতে পড়ে।
যার কথা এতক্ষন বললাম সে আমার ভাইগ্না।
আমাদের বাসায় এসেছিলো বেড়াতে মাত্র দুইদিনের জন্য। আর এই দুদিনে পারলে আমার ঘাড়ে উঠে।
একদিন ওকে কথা প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করছিলাম ঔ তুই পড়াশোনা করিস কেন বলতো ? ঝটপট উত্তর দেয় বড় হওয়ার জন্য ।
আমি বললাম বড় হয়ে কি হবি তাহলে । আবারও তড়িৎ উত্তর , বড় হয়ে ইনেসপেক্টর হব ।
আমি আমার বোনকে উচ্চস্বরে চেঁচিয়ে বললাম ,আপু তোমার ছেলে এখন থেকে ঘুষ খাওয়ার ইচ্ছা পোষন করতাছে । ভবিষ্যতে কি করবে আল্লাহ জানে। ....
ভাইগ্না একখান ! সাথে সাথে আমারে প্রশ্ন করে, মামা ঘুষ কি??
আমি দায়সার ভাবে জবাব দিলাম , টাকা পয়সা খেয়ে তারপর কাজ করা।
ঔ যে বললাম ভাইগ্না একখান , এবার প্রশ্ন মামা টাকা পয়সা খায় কেমনে???
আমি তো পুরা ফাপড়ে, এইবার কি উত্তর দিমু ?
তথাপি বললাম, যে কাজ এমনি করার কথা তা না করে সেই কাজটি আটকে রাখা এবং তখনই করে,যখন তাকে টাকা-পয়সা দেওয়া হয়। এটাকেই বলা হয় টাকা-পয়সা খাওয়া।
তার প্রতিউত্তরে ভাইগ্না কইলো , মামা জানো পয়সা খাওয়া খুব কষ্ট। আমি বল্লাম কেনরে ? ভাইগ্না বলে, আমি একদিন মুখে পয়সা রেখেছিলাম কিন্তু সেটা গলায় আটকে যায় । তারপর অনেক কষ্টে ঢোক গিলে ফেলি। কষ্ট হয়েছে অনেক।
আমি বললাম ,আহারে, তাই নাকি ? খুব বেশী কষ্ট হয়েছে?ভবিষ্যতে বড় হয়েও আর খেওনা ঠিক আছে.... মনে থাকবে?
কিন্তু কথা হলো যারা ঘুষ খাচ্ছে তাদের কি কোন কষ্ট হচ্ছে না ........???
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।