প্রিয় বন্ধূরা যা বলব তা 1970 থেকে 1980 সালের বাসতব অভিজ্ঞতা থেকেই । এবং ঘটনাগুলি যথারীতি গ্রাম বাংলার। তা হলে শুরূ করা যাক । প্রথমেই মর্জিনার ফকাস্টিন একটা চিঠি দিয়ে শুরূ ।
[গাঢ়]ভূমিকা:[/গাঢ়]
মর্জিনা গ্রামের মেয়ে 3য় শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশুনা করার পর ওর পিতা মেয়ে ডাংগর হচ্ছে এখন আর তাই সাধারণ লেখাপড়া করে লাভ নেই ভাবলেন।
যা ভাবা তাই কাজ। মেয়েকে মক্তবে পাঠালেন হূজুরের কাছে আমসিপারা,কায়দা, ক্থরআন শরীফ শিার জন্য । দিন যায়, মাস যায়. বছর যায় একদিন সত্যি সত্যি মর্জিনা ডাংগর হয়ে গেল। ওর পিতামাতা ব্যস্ত হয়ে পড়ল তার বিয়ে দেবার জন্য । সেই সময় দামী বর ছিল একমাত্র মিডল ইস্টে চাকুরী করা পাত্ররা ।
মিডল ইস্টে কয়েক বছর চাকুরী করা 9ম শ্রেণী পর্যন্ত পড়া শি্িত পাত্রের সাথেই মর্জিনার বিয়ে সম্পন্ন হয়। সময় যায়, দিনশেষ হয়ে যায়। জামাই বাবুর ছুটি ফুরিয়ে গিয়ে আবার মিডল ইস্টে যাবার সময় চলে আাসে । মর্জিনাকে স্বামী এ কথা বলতেই মর্জিনার বুক ধুকধুক করে উঠে ,আবার 3 বছরের ধাক্কা। স্বামী কহে চিঠি দিব, উত্তর দিও।
মর্জিনার মন মানে না, আকুতি মিনতি করে, কিন্তু তবু যে বিশ্ব গূরু কহেছেন ...তবু চলে যায় ..। এর পর বিদেশ থেকে স্বামীর চিঠি আসে মর্জিনা তা ভালভাবে পড়তে পারে না বান্ধবীর কাছে গিয়ে চিঠি পড়িয়ে নেয় । নিজে সব পড়তে, বুঝতে , এমন কি লেখতেও পারেনা । ু মর্জিনার জ্ঝালা বাড়ে, পিতার উপড় রাগ হয় কেন সে মক্তবে পড়তে গেল। মর্জিনার মন মানে না , আবার সে লেখাপড়া শূরু করে অর্থাৎ চিঠি পড়তে ও লেখতে শিখতে হবে ।
তার বাল্য বান্ধবীর সাহায্য নিয়ে সে পড়াশুনা চালিয়ে যায় । দিন যায়, মাস যায় , বছর যায় দেখতে দেখতে তিন বছর পার হয়ে যায়। এরপর একদিন সে সত্যি সত্যি তার স্বামীর চিঠির উত্তর লেখতে বসে ।
[গাঢ়]চিঠি:[/গাঢ়]
প্রিয় ব্লগেরা এবার আমি সত্যি মাপ্রার্থী মর্জিনার এতদিনের সেই বাস্তব চিঠিটা ফাস করে দিবার জন্য । সেই চিঠির হূবূহূ প্রকাশ হচেছ ।
আমি শুধু শেষের লাইনটা যোগ করেছি মাত্র। এর জন্যেও মাপ্রার্থী । বন্ধুগন মর্জিনা অনেক কিছুই লেখেছিল আমি শূধু মজার অংশটুকু প্রকাশ করছি ।
... ... এত দু:খ ছিল তোমার কপালে । আমার পা কাটিয়ে গিয়েছে ।
গাভীটি রোজ তিনসের করিয়া দুধ দেয় । তোমার ছোটভাই মোটেই স্কুলে যায় না । ছাগলটি খোয়াড়ে পড়িয়াছে। খোকন দাড়ি কাটিতে গিয়ে গাল কাটিয়াছে । মেজ আপার একটি ছেলে হয়েছে ।
আমার চুমু নিও। ইতি তোমার হতভাগী মর্জিনা ।
তাবারীসি(বন্ধুগন) মর্জিনার এটাই ছিল চিঠির বা মনের কথা কিন্তু তার স্বামীর কাছে চিঠিটা এভাবে পৌছায় নি।
ঘটনার ঘনঘটা:
বলা বাহুল্য,এটাই মর্জিনার প্রথম চিঠি এবং তার স্বামীকেও প্রথম লেখা । মর্জিনা চিঠিটা লেখেছিল কোন দাড়ি( ।
) , কমা ছাড়া । এভাবে ... ... এত দু:খ ছিল তোমার কপালে আমার পা কাটিয়ে গিয়েছে গাভীটি রোজ তিনসের করিয়া দুধ দেয় তোমার ছোটভাই মোটেই স্কুলে যায় না ছাগলটি খোয়াড়ে পড়িয়াছে খোকন দাড়ি কাটিতে গিয়ে গাল কাটিয়াছে মেজ আপার একটি ছেলে হয়েছে আমার চুমু নিও ইতি তোমার হতভাগী মর্জিনা ।
অথর্াৎ চিঠিটা লেখা শেষ করার পর আবার তার স্বামীর পাঠানো চিঠিটা মর্জিনা দেখেছিল তখন সে খেয়াল করতে পেরেছিল যে চিঠিটার মাঝে মাঝে দাড়ি( । ) দেওয়া আছে । মর্জিনা ভাবল এটা এমন কি জিনিষ দুই শব্দের মাঝ খানে যেখানে বেশী জায়গা আছে সেখানে সেই দাড়িটা ( ।
) বসিয়ে দিলেই হবে এবং তাই করে বহু কাংঙ্খিত চিঠিটা তার স্বামীকে পাঠিয়ে দিল 2য় বার আর না পড়েই । তার স্বামী চিঠিটা পেল এভাবে ..
এত দু:খ ছিল তোমার কপালে আমার পা । কাটিয়ে গিয়েছে গাভীটি । রোজ তিনসের করিয়া দুধ দেয় তোমার ছোটভাই । মোটেই স্কুলে যায় না ছাগলটি ।
খোয়াড়ে পড়িয়াছে খোকন । দাড়ি কাটিতে গিয়ে গাল কাটিয়াছে মেজ আপার । একটি ছেলে হয়েছে আমার । চুমু নিও ইতি তোমার হতভাগী মর্জিনা ।
এবার বুঝেন তিন বছর বাড়িতে না থেকেও একটি ছেলে হয়েছে আমার স্্রীর কাছ থেকে এমন চিঠি বিদেশে পড়তে আপনার কেমন লাগবে ?
আপনাদের প্রতিক্রিয়া কি ?
আমার নিজের কি শুনবেন ? অপেক্ষা করুন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।