আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হিন্দু-নাস্তিকেরা যে প্রকৃতিকে সৃষ্টির আদি কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন; মহাভাগত পুরাণের প্রকৃতি নাম্মী দেবী 'দূর্গা' -ই কি সেইপ্রকৃতি !

পথ্য তো রোগীরও লাগে না ভালো! যদিও এটা তার রোগ সারিয়ে তুলতে সাহায্য করবে,তথাপিও!
যুগে যুগে দার্শনিকগণ 'প্রাণের' রহস্য উদ্ঘাটন করতে গিয়ে জলেই জগতের সকল দর্শনের জলাজ্বলি দিয়ে এসেছেন। গুরু সক্রেটিস থেকে শিষ্য প্লেটো অতপর এরিস্ট্রোটল কিংবা পরবর্তী সকলেই একই ভাবে নদী-নালা পেরিয়ে সেই সমুদ্রেই জাপিয়ে পরেছেন, তবে সাগরের লবণাক্ত কিবা সুস্বাদু পরিচ্ছন্ন পানিতে প্রাণে বিকাশ ঘটেছে সে সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা হয়ত বিজ্ঞানের ল্যাবরোটারীতেই পাওয়া যেতে পারে, কেননা রাইবোনিউক্লেয়িক, এ্যমিনো এসিড এবং ‘মলিবডেনাম' এর বিশ্লেষণ কেবল সেখানেই সম্পাদিত হয়ে এসেছে। বিজ্ঞানও ফিরে গেছে সেই ১৪০০ বছরের পুরানো পুস্তকে - সৃষ্টিতথ্য এবং বিজ্ঞান ======================= সব কিছুর সৃষ্টি করিলেন স্রষ্টা শূন্য থেকে (২.১১৭) তোমরা কি দেখোনা তেকে?- (৪৭-২৪) ----------------আকাশ-বায়ুমন্ডল ছিল একত্রে মিলে (২১-৩০) ----------------পানি হতে সকল প্রাণ সৃজিলো নিখিলে (২১.৩০) প্রসারিত হয়ে চলিছে এই মহাবিশ্ব ক্রমাগত (৫১-৪৭) পৃথিবীর বাহিরে রহিয়াছে প্রাণ নাজানি কত? (৪২-২৯) সৃষ্টি করিলেন নর, উপাদান ছিল পানিসিক্ত জড় (৩২:৭, ১৫:২৬) চন্দ্রটা আকের ছোট, সূর্যটা তাহার চাইতে বড় (৫৫:৫) ঘোরে পৃথিবী নিজ কক্ষে, সূর্য ঘুরে আপন অক্ষে (২৭:৮৮, ২১:৩৩, ৩৬:৪০। । ৩৬:৪০, ২১:৩৩) রাত্র পারে না ঢুকিতে, জোড় করে দিনের বক্ষে (৩:১৯০) আশ্চর্য্যের বিষয় হলো, তথাকথিত নাস্তিক (ATHEIST >> A THE 1ST>> THE IST>> ALLAH is THE 1ST, 'A' 'Ah' is the core element of all languages exists) গণ প্রাণের এই রহস্য মানিতে রাজি নয়, মানিতে রাজি নয় এই মহাবিশ্বের সৃষ্টির পিছনে কোন একক স্বতন্ত্র স্রষ্টার অস্তিত্ব; ১৪০০ বছরর কোন এক পুরা গ্রন্থের সাথে মিলে যাওয়ার কারণেই এই aনব্য নাস্তিকেরা তা মানতে রাজি নয়; এটা যদি কেবলই তাদের কাঙ্খিত গুরু অথবা প্রবর্তকের গবেষণার সাথে সামঞ্জস্য হয়ে চলতে পারতো তবে তা মানতে তাদের কোন আপত্তি থাকে না।

স্টেফিন সাহেব যখন বলেছিলেন 'কোন কিছূ ছাড়ায় শুন্য (জিরো ভলিয়ম) থেকে এই মহাবিশ্বের সৃষ্টি' তখনি এরা লম্ব-ঝম্প দিয়ে উঠেছিল স্রষ্টার অস্তিত্ব নিয়ে। মহান বাণী প্রচারে ব্রত হয়ে গেলেন জগতের অস্তিত্বহীনরা, মুলমন্ত্র হলো, অতপর মুত্রমনা হলো, অতপর উচ্চারিত হলো 'আপনা আপনি ই সব কিছু হয়েছে', আহা! গুটিকতক মানুষ ছাড়া এই 'নাস্তিকতা' হয়নি, হয়নি মুক্তমনা আপনা আপনি; স্রষ্টার অস্তিত্বের সাথে সাথে এবার বুঝি বলে উঠবে আমিও নাই! আমাকে থাকিতে হইবে ক্যান, মুক্তমনা কি আপনা আপনি হইতে পারে না, আপনা আপনি চলিতে পারে না, আপনা আপনি বলিতে পারে না! আপসোস! জ্ঞানপাপী আর কাহাকে বলে? এদেরকে উৎস সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে, এরা বলে- - এককোষী এ্যামিবা মোদের পিতা, =একথা বলেনি কেন কৃষ্ণের গীতা! - বহুদিন আগে নিউক্লয়াসহীন আদি কোষ =কত দিন আগে বলুন তো জনাব ঘোষ? -হবে দুই কিংবা তিন বিলিয়ন = ধারণায় বিশ্বাস করে মুক্তমন -বিজ্ঞান বলে, বলে মানুষ জন =শ্রুত-শ্রুতি আর মুখের বচন! = আদি সেই কোষ হলো কি করে? - ব্যাকটেরিয়া, এ্যামিনো পানিতে পরে। = ব্যকটেরিয়া আসিলো কোথা থেকে? = বসিলেন নাস্তিক ঘাঁড় খানা বেঁকে। - মহাবিশ্ব থেকে আসিলো ভেসে- = মহাবিশ্ব করিলো কে হেঁসে? - জনাব এবার গেলেন ফেঁসে -প্রকৃতির কথা বলিলেন শেষে--- আসুন দেখা যাক, নাস্তিকের এই 'প্রকৃতি' কোথা থেকে এসেছে, কি তার প্রকৃত রুপ-অবয়ব, কেনো তারা করে সেই প্রকৃতির জপতব? যযেদং ভ্রাম্যতে বিশ্বং যোগিভির্ষাবিচিন্ত্যত্নে। যদ্ভাসা ভাসতে বিশ্বং সৈকা দুর্গা জগম্ময়ী।

। (সামবেদ) সরল অর্থঃ যাহার দ্বারা এই বিশ্ব সংসার ভ্রমবিলষিত হইতেছে, যোগিগণের যোগচিন্তায় যিনি চিন্তনীয়া হন, যাহার তেজঃপ্রভাতেই সমস্ত জগৎ প্রকাশ পাইতেছ, সেই জগম্ময়ী দুর্গাই (প্রকৃতি) পরং তত্ব। আসুন দেখে মহাভারত পুরাণ কি বলে সেই আদি প্রকৃতি সম্পর্কেঃ দেবী দূর্গাই কি সেই আদি প্রকৃতি? নাদরমুনি জগত সৃষ্টির পরম তথ্য জানার নিমিত্তে প্রধান তিন দেবাদেবকে (ব্রহ্ম, বিষ্ণু, শিব) পরমভক্তিসহকারে প্রশ্ন করিলেনঃ আপনাদের উপাস্য কে এবং কিরুপে সমুদয় জগতের সৃষ্টি হলো। জবাবে মহেশ্বর বলিলেন,'' বৎস নারদ! তবে সাবধানে শ্রবণ কর। যিনি যাবতীয় জগতের প্রসবকত্রী, এবং সংসারের সারভুতা, সনাতনী, অতিশয় সূক্ষা, মুল প্রকৃতি; তিনিই সাক্ষাৎ পরম ব্রহ্ম; আমাদের উপাস্য; ব্রহ্মা, বিষ্ণু এবং আমি (শিব), যাহা হইতে উৎপন্ন হইয়া এই ব্রহ্মান্ডের সৃষ্টি, স্থিতি ও প্রলয় নির্ব্বাহ করিতেছি।

'' এই প্রকারে সেই মুল 'প্রকৃতি' পরমেশ্বরী কোটি কোটি ব্রহ্মান্ডের সৃষ্টি, স্থিতি ও লয়, ইচ্ছা মাত্রেই ক্ষণে ক্ষণে সম্পন্ন করিতেছেন। সেই মহাদেবী, অরূপা হইয়াও, নিজ লীলাক্রমে বিবিধরূপ দেহ ধারণ করেন। এই চরাচর বিশ্বসংসার তিনিই প্রসব করেন; এবং পালন করেন। তাহার মায়াতেই সকলে সংসারসমুদ্রে বিমুগ্ধ হইয়া থাকে। অন্তকাল উপস্থিত হইলে আবার তিনিই সকলের বিনাশ করেন।

সেই দেবী স্বকীয় লীলার দ্বারা পূর্ব্বকালে দক্ষ প্রজাপতির এবং হিমালয়ের কণ্যা হইয়া জন্মলাভ করেন। অংশ দ্বারা তিনিই লক্ষ্মী এবং সরস্বতীরূপে বিষ্ণুর, আর সাবিত্রীরূপে ব্রহ্মার, বনিতা হইয়াছেন। [দেবী দূর্গার ১০৮ টি নামের মধ্যে যে সমস্ত নাম পাওয়া যায় তার মধ্যে ‘প্রকৃতি’ (৫২ নং) প্রকৃতি একটি। সৃষ্টির কারণ এই প্রকৃতি (দুর্গা দেবী) ই লক্ষ্মী-সাবিত্রী হয়ে বিষ্ণু-ব্রহ্মার স্ত্রী হয়েছিলেন, উমা-পার্বতী-রুপে মহাদেব শিবের স্ত্রী হয়েছিলেন। ] অতপর মুনিবর নারদ জিজ্ঞেস করলেন ' কীরূপে সেই আদি প্রকৃতি (দুর্গা) আপনার স্ত্রী হলেন এবং কীরূপে এই জগতের সৃষ্টি করলেন? মহদেব উত্তর করলেনঃ ''প্রথমতঃ এই জগৎ সংসার কিছূই ছিল না।

কি সূর্য্য, কি চন্দ্র, কি তারাগণ, কি দিবারাত্রি, কি পূর্ব্বাপশ্চিমাদি, দিগ্বিভাগ, কি শব্দ, কি স্পর্শ, কি আর কোন তেজ, কিছুই ছিল না; কেবল সচ্চিদানন্দ ব্রহ্মমাত্রই ছিলেন। জন্ম জন্ম যাহার শ্রবণ, মনন ও নিদিধ্যাসন করিলে যিনি সাক্ষাৎ কৃত হইয়া একক ব্রহ্মমাত্রই প্রতিপন্ন হন; যিনি অখন্ড জ্ঞানময়ী; যিনি নিত্যানন্দরূপিণী; যিনি বাক্য মনের অগোচর পর্দার্থ; যিনি অংশ-রহতি; যিনি যোগিগণের দুর্জ্ঞেয়; যিনি সর্ব্বব্যাপিনী; যে বস্তুতে কোন উপদ্রব নাই; সেই সূক্ষা প্রকৃতিই একা ছিলেন। অনন্তর সেই নিত্যা প্রকৃতির যখন সৃষ্টিশক্তির উদয় হইল, তখন সেই আকারশূন্যা প্রকৃতি স্বেচ্ছাক্রমে হঠাৎ একটি রূপ ধারণ করিলেন। হে বৎস (নারদ)! সে রূপের কথা কি কহিব? স্মরণ মাত্রেই বোধ হয় কৃতার্থ হইলাম! এমনি মনোহর শ্যামবর্ণা, অঞ্জন পর্ব্বত কতই বা কৃষ্ণবর্ণ; নবীন জলধরগণ তাহার সুস্নিগ্ধ প্রকৃতি প্রতিকৃতি হইতে পারে না। সেই রূপসাগরে অবগাহন করিতে অন্তঃকরণ সর্ব্বদাই অভিলাষ করে।

প্রফুল্লপদ্মবদনা; চতুর্ব্বাহুযুক্তা; রক্তিমনয়না। কেশজাল আলুলায়িত। পরিপূর্ণযৌবনা। সেই ঘোর সূদীর্ঘ মূর্ত্তি গিরিশৃঙ্গপ্রায় উত্তুঙ্গ পীনস্তনে বিভূষিতা; সিংহপৃষ্টে উপবিষ্ঠা। [জগতধাত্রীর থেকে সৃষ্ট মহাদেব সেই পরমা প্রকৃতির রুপে বিগলিত হয়ে সেই স্রষ্টাতেই বিহার করার ইচ্ছা করতঃ তাহার রূপের বর্ণনা করিলেন এইভাবে যে, তিনি অঞ্জন পর্ব্বত হতেই শ্যামবর্ণা, তাদের চার হাত, রক্তবর্ণা চোখ, যৌবনে পরিপূর্ণা, উচু উচু স্তন, সিংহের পিঠে বসমান-এই যদি হয় সৃষ্টির মুখে স্রষ্টার বর্ণনা তবে সেই স্রষ্টা তার সৃষ্টির চাইতে অন্য কিবা ভিন্ন হতেই পারে না?] সেই পরমসুক্ষা প্রকৃতি প্রথমতঃ এই মূর্ত্তি ধারণ করিয়াই সত্ব, রজঃ তমঃ এই গুণত্রয় দ্বারা তৎক্ষণমাত্রেই একটি পুরুষকে সৃষ্টি করিয়া দেখিলেন, এ পুরুষ চৈতন্যবিহীন' কেবল সত্ব-রজ-স্তমোমাত্র।

তখন নিজ শক্তির সহিত সৃষ্টীচ্ছা সেই পুরুষে প্রদান করিলে, সেই আদি পুরুষ লব্ধশক্তি হইয়া সত্ব, রজঃ ও তমঃ, এই ত্রিগুণ দ্বারা একাই তিন পুরুষ হইলেনঃ-রজোগুণে ব্রহ্মা, সত্বগুণে বিষ্ণু, আর তমোগুণে শিবনামক হইলেন। তাহাতেও জগন্নির্ম্মানের সুকৌশল না দেখিয়া, সেই পরমপ্রকৃতি ঐ ব্রহ্মাদি পুরুষত্রয়কে, জীবাত্মা এবং পরমাত্মারূপে, দুইপ্রকার করিলেন' এবং সেই দেবীও স্বয়ং মায়া, পরমা, এবং বিদ্যা, এই তিন প্রকার হইলেন। তন্মধ্যে মায়াশক্তির কার্য্য, জীবসকলকে মোহিত করিয়া সংসারে প্রবর্ত্তন করা; আর পরমাশক্তির কার্য্য, সেই সংসার নির্ব্বাহ করা। বিদ্যা শক্তি অতি নির্ম্মলা; তাহার কার্য্য, তত্বজ্ঞান দ্বারা সেই সংসারের নিবৃত্তি করা। ঐ প্রকৃতিরূপা জগদ্ধাত্রী ব্রহ্মাদি পুরুষত্রয়ের অগ্রে আবির্ভূতা হইয়া, ঐ তিন জনকে পৃথক পৃথক শক্তিযুক্ত করিয়া কহিলেন, হে পুরুষগণ! আমি জগৎ সৃষ্টিকরিবার ইচ্ছায় তোমাদের তিন জনের সৃষ্টি করিয়াছি; তোমরা আমার অভিলষিত কার্য্য সকল সম্পাদন কর।

এই কথা বলিয়া কিঞ্চিৎ পরে সেই অপূর্ব্বরূপা দেবী বলিতে লাগিলেন, বৎস ব্রহ্মন! তুমি সংযত হইয়া অসংখ্য চরাচর ও বিবিধপ্রকার স্থাবর জঙ্গম সৃষ্টি কর; পুত্রক বিষ্ণো! তোমার বাহুবীর্য্য আছে; তুমি এই জগতের উপদ্রব নিবারণ করিয়া পালন কর। পুত্র, মহাদেব! তুমি তমো গুণ প্রকাশ করিয়া পরিশেষে এই সকল সংসার ধ্বংস করিবে। আমার সৃষ্টি-আদি কার্য্যে তোমরা তিনজন এই প্রকারে সাহার্য্য কর। পরে সাবিত্রী প্রভৃতি পাঁচ বরাঙ্গনা হইয়া তোমাদের বনিতাভাবে বিহার করিব। [এতক্ষণে মহাদেবের বর্ণনায় সেই পরমা প্রকৃতির আসল রুপ সৃষ্টি আকারে উদ্ভাসিত হইলো, যিনি এই সমগ্র জগতের কর্তী তিনি তাহার সৃষ্ট প্রধান তিন পুরুষের সাথে বিহার করার আগ্রহ প্রকাশ করে ভিন্ন ভিন্ন রূপে তাহাদের স্ত্রী হবার ইচ্ছা প্রকাশ করিলেন, তবে কেনো তাদেরকে বৎস্য, পুত্রক, পুত্র বলিয়া সম্বোধন করিয়া নিজেকে জগতের আদি মাতা ‘প্রকৃতি’, জগতের প্রসবকারিণী বলিয়া স্রষ্টা আর সৃষ্টির মধ্যে ‘মাতা-পুত্রের’ সম্বন্ধে টানিয়া আনিলেন! তবে কি মাতা প্রকৃতি তাহার পুত্রত্রয়ের সাথে বিহার কিরিয়া জগতের মানুষ সৃষ্টি করিয়াছেন? নচেত, মায়া (লক্ষ্মী ), পরমা(পার্বতী), বিদ্যা (স্বরস্বতী) রুপের প্রকাশ কেন?] ব্রহ্মা সম্প্রতি মানসিক সৃষ্টি করুন; তাহা না হইলে, সৃষ্টির বিস্তীর্ণবাব হইবে না।

এই কথা বলিয়া পরম ‘প্রকৃতি’ ক্ষণমাত্রেই অন্তর্হিতা হইলেন। (সূত্রঃ মহাভাগবত পুরাণা , তৃতীয় অধ্যায়, পৃষ্ঠা নং- ১৪-১৮, মহর্ষি কৃষ্ণ দ্বৈপায়ন বেদব্যাস প্রণীত, প্রথম খন্ড, শ্রীযুক্ত শ্যামাপদ ন্যায়ভূষণ অনুবাদিত, শ্রীরামতারক রায় কর্ত্তৃক প্রকাশিত) [আর এই প্রকৃতিই হইল নাস্তিকতার সর্বশেষ উত্তর, যা আপনা আপনি উদ্ভাসিত হলো, বিহারের উদ্দেশ্য জগত সৃষ্টির আগে নিজের জন্য একজন পুরুষ সৃষ্টি করলেন, সেই পুরুষ ‘চৈতন্যবিহীন' হওয়ায়, তাহার মধ্যে নিজশক্তি গুণে স্বত-রজঃ-তম প্রবেশ করিয়ে দিলেন আর সেই পুরুষ আপনা আপনিই তিনজন পরুষে (ব্রহ্মা-বিষ্ণু-শিব) পরিণত হইলো। তাহাদের সাহায্যে সমুদয় সৃষ্টি কার্য্য সমাধা করিলেন। একজন পুরুষে কি সৃষ্টি কার্য্য সমাধা করা যাইতো না, একের স্থলে তিনের কি আবশ্যকতা ছিল? কথা উঠিতে পারে দেবী ‘পুরুষ’ টাকেই কেন প্রথম সৃষ্টি করিলেন, তিনি তো ‘নারী’ করিতে পারিতেন এবং তার গর্ভ থেকে যাবতীয় সৃষ্টি সমাধা করিতে পারতেন! তাহা, হইলে আজ নারীবাদিরা উচ্চ গলে বলীতো পারিতো, মা দূর্গা স্বয়ং প্রকৃতিই নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা করিয়াছেন। সে যাই হোক, দেবী নারী কি না তাই ‘পুরুষ’ সৃষ্টিই বেশী গ্রহনযোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছিল বেদ-পুরাণ লেখকদের।

তবে, উত্তম হইতো, যদি পরম সেই স্রষ্টাকে কোন লিঙ্গের মধ্যে আবদ্ধ করে না রাখাতে, কেননা তিনিই লিঙ্গের স্রষ্টা, তিনি নিরাকার অর্থে নয় যার আকার কোন কিছূর মতই ‘ন তস্য প্রতিমা অস্যি’ তিনি জন্ম-মৃত্যু- সময়-স্থান-কালমাত্রার উর্ধ, জন্ম-মৃত্যু-কিবা প্রাণ-অপ্রাণের কারণ (যে জন্ম-মৃত্যু তাহার দ্বারা সৃষ্ট, উক্ত সৃষ্টির মাধ্যমে তাহার পরিচয় অনুসন্ধান এইরুপে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে যে, চার্লস ব্যাবেজ যেহেতু কম্পিউটার সৃষ্টি করেছেন সেইহেতু যেমতি ভাবে কম্পিউটার তৈরী করা হয় সেইরুপে তাকেও জন্মগ্রহণ করিতে হইবে নচেত তাহাকে আমরা কম্পিউটারের জনক বলিতে পারি না!)] সূত্রঃ- ‘’আমি নাস্তিকের উপদেষ্টা বলছি!’’ –লেখকঃ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, http://www.oneallah.org/
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।