আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

[রং=#003366][সাইজ=5]মিতুর কথা[/সাইজ](দ্্বিতীয় পর্ব)[/রং]

[অন্যর দোষ না খুঁজে আগে যদি সবাই নজের দোষটা খুঁজত তাহলে বোধহয় সব সমস্যার সমাধান হয়ে যেত]............... [পথের শেষ নেই, আমার শেষ আছে, তাইত দ্বন্দ্ব] http://mamunma.blogspot.com/

[সাইজ=3][আন্ডার]মামুন ম. আজিজ[/আন্ডার]/2006[/সাইজ] রাতুল ধীরে ধীরে অনেক ব্যস্ত হয়ে পড়ে। নিজ থেকে আর খোঁজ খুবএকটা নেয়া হয়না মিতুর। মিতুও কিন্তু কেন জানি আর যোগাযোগ করেনা । মিতুর কোন খেঁজখবর নেই অনকেদিন ধরে রাতুলের কাছে। মাঝে মাঝে অবশ্য মনে পড়ে মিষ্টি এই বান্ধবীটাকে।

মাস সাত পরের কথা। একদিন খুব ইচ্ছে জাগল মিতুর খবর নেয়ার। রাতুল ফোন করল মিতুর বাসায়। ছোট বোনটা জানাল আপু বাসায় নেই । এলে বলব।

আরও বলল আসতে পারে কাল পরশু। রাতুল মেনে নিয়েছে বিচ্ছিন্ন বন্ধুত্ব। টিপিক্যাল বাঙালী গৃহবধূদের গৃহঅন্তর্ধানে হয়তো মিতুও মিশে গেছে। বিয়ের পর ছেলে জাতির কোন বন্ধুর সাথে যোগাযোগ এখনও বেশীর ভাগ ফ্যামিলি মেনে নেয়না। রাতুল তবুও জানার আগ্রহে ফোন করল মিতুর এক ঘনিষ্ঠ বান্ধবী সিমু কে।

অদ্ভুত সেও জানেনা তেমন কোন খবর। সম্ভবত মিতু কোন কারণে সবার সাথেই যোগাযোগ রাখছেনা। তবে সিমু কে ফোন করে দুটি কষ্টের খবর জানল। মিতুর লেখাপড়া পুরো বন্ধ আর আরেকটি আরও ভয়ংকর খবর, মিতুর মিসক্যারেজ হয়েছে। সেদিনের পর কেটে গেল মাসখানেক সময়।

একদিন রাত প্রায় 1:30। ঘড়ি দেখ ঘুমানোর প্রস্তুতি হিসেবে বাথরুম সফরে ঢুকল রাতুল। বের হয়ে এস দেখে মোবাইলে উঠে আছে অচেনা এক টি এন্ড টি নম্বর। হয়তো ফোনই করেছিল কেউ । ল্যান্ড ফোন থেকে কল করল।

ধরেনা। কয়েকবার রিং হবার পর ওপাশে শোনা গেল এক নারী কন্ঠ। ঃ কে ঃ একটু আগে আপনি কি আমার মোবাইলে কল দিয়েছিলেন? আপনার এই নম্বর উঠে আছে আমার সেটে। ঃ রাতুল বলছেন? ঃ হু ঃ আমি মিতু। মিতু তার নাম বলার ঠিক আগ মুহুর্তেই প্রিয় বান্ধবীর সেই অতি চেনা কন্ঠ চিনে ফেলল রাতুল।

ঃ এতদিন পর কি খবর তোর। একদম ভুলে গেছিস বন্ধুকে। বেশ সুখে আছিস না। কোন খোঁজ খবর নেই । হঠাৎ কি মনে করে তাও এই এত রাতে।

ঃ ভাল আছিরে রাতুল, তুই আছিস কেমন? ঃ এই তো আছি ভালই , তুই কোথায়। এটা তোর শশুড় বাড়ীর নম্বর নাকি? ঃ হু। ঃ তোর হাসবেন্ড কই। দেশের বাইরে নাকি? ঃ নারে। এখন ওবাসায় আসেনি।

একা একা হঠাৎ তাই তোর খোঁজ নিতে মন চাইল। ঃ এত রাতেও আসেনি..., ঃ কাজে ব্যস্ত হয়তো। ব্যবসা। বুঝিছই তো। রাতুল মিতুর কন্ঠে উদাস হাওয়ার স্পষ্ট বহতা টের পাচ্ছে।

ঃ মিতু তুই কষ্টে আছিস মনে হচ্ছে, বল তো কি অবস্থা তোর , কিছু হয়েছে? ঃ আরে না। ভালই আছি। শোন তুই এই নস্বরে ফোন দিস্ না বিন্তু। ইচ্ছে হলে আমিই করবো। ঃ তোর বান্ধবীরা সবাই কেমন আছে রে , তোর বোন? ঃ জানিনারে।

ঃ কেন ? তুই মনে হয় কারও সাথে যোগাযোগটোগ রাখিস না। ঃ হু ঃ কেন? সমস্যা কি বলবিনা। ঃ আরে না কিছুনা। তুই ভাল আছিস তো। চাকুরী কেমন চলছে।

এই নম্বরে ফোন করসিনা কিন্তু। ঃ করবনা বাবা। তোর মোবাইল কোথায়। ঃ ব্যবহার করিনা। আজেবাজে ছেলেরা প্রচন্ড বিরক্ত করে।

আমি মাঝেমাঝে ফোন করব তোর করতে হবেনা। ঃ কিন্তু শোন মিতু এর পর কথা বলার সময় তোর মুখে যেন হাসি দেখি। ঃ ঠিক আছে। রাখিরে। বাই ঃ বাই।

ফোনটা রেখে হঠাৎ রাতুলের মন খারাপ হয়ে গেল । রাতুলের মনে হলো মিতু শিউর কষ্টে আছে। কারণ যদিও বোঝা গেলনা। রাতুল বুঝতে পারেনা মিতুর মত একটা ব্রিলিয়ান্ট ভাল মেয়েকে পড়ালেখার পর্ব ত্যাগ করে সাধারণ বাংগালী গৃহবধূও বেশ যন্ত্রনা সহ্য করতে হচ্ছে কেন? নাকি রাতুল ভুল ভাবছে? রাতুলের মন নিজেকে বারবার প্রশ্ন করতে থাকে। [রং=ৎবফ] ------লেখাঃ 13/07/06 রাত 2:30[/রং]


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।