আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তবু আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ বলে কথা!

আবাহনী-মোহামেডান মানেই টানটান উত্তেজনা। আবাহনী-মোহামেডান মানে বন্ধুর শত্রু হয়ে যাওয়া। আবাহনী-মোহামেডান মানে স্টেডিয়ামের গেটে সকাল থেকে লম্বা লাইন।
এই প্রজন্মের কাছে এসব রূপকথা মনে হতে পারে। কিন্তু একসময় এটাই ছিল সত্যি।


সেই আবাহনী-মোহামেডান নেই। এই দুই ক্লাবকে ঘিরে সমর্থকদের আবেগের প্রকাশও যেন শুধুই গল্প। সম্বল শুধু সোনালি অতীত আর ঐতিহ্য। এটুকু নিয়েই আজ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ক্রিকেটে মাঠে নামছে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আরও একবার মুখোমুখি আবাহনী-মোহামেডান।


উন্মাদনা আগের মতো নেই। এখনকার আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ নিয়ে দুই দলের খেলোয়াড়, কর্মকর্তা আর ক্রীড়া সাংবাদিকদের বাইরে বাড়তি আগ্রহ দেখানোর মতো লোক খুব বেশি খুঁজে পাওয়া যাবে না। তবে এর সঙ্গে ভিন্নমত আবাহনী অধিনায়ক শাহরিয়ার নাফীসের, ‘আমার তো মনে হয় না, এ ম্যাচের রোমাঞ্চ কমে গেছে। বরং বলা যায় প্রকাশের ধরনটা পাল্টেছে। লোকজন এখন হয়তো আর আগের মতো মাঠে আসে না, কিন্তু আগ্রহটা ঠিকই আছে।

এ ম্যাচের ফল জানতে সবাই আগ্রহী হয়ে থাকে, টিভিতে চোখ রাখে। ’ মোহামেডানের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা অবশ্য আকর্ষণটা যে আগের মতো নেই তার কারণটাও ব্যাখ্যা করলেন, ‘বাংলাদেশে এখন অনেক খেলা হয়। আন্তর্জাতিক ম্যাচ, আবার বিপিএলের মতো টুর্নামেন্টও। সমর্থকেরা টিভিতে এত খেলা দেখে যে সে জন্য হয়তো “চার্ম” অনেকটা কমে গেছে। তার পরও আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ হলে টিম ম্যানেজমেন্ট, খেলোয়াড় আর সংবাদমাধ্যম কিন্তু এটি নিয়ে অনেক উৎফুল্ল থাকে।


মোহামেডান অধিনায়ক কিছুটা উৎফুল্ল হয়তো নিজের দলের পারফরম্যান্স নিয়েও। আগের দুটি ম্যাচেই সহজ জয় পেয়েছে তাঁর দল। প্রথম ম্যাচেই আফগান ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ নবীর বিধ্বংসী রূপ (৯০ বলে ১৪৬) দেখেছে প্রতিপক্ষ। দলের সবচেয়ে বড় তারকা শ্রীলঙ্কান তিলকরত্নে দিলশান প্রথম দুই ম্যাচে ২৫ ও ৪৪ রানে আউট হয়ে গেলেও তাঁর একারই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেওয়ার ক্ষমতা নিয়ে কোনো সংশয় নেই। কাগজে-কলমে শক্তি বিচারে মোহামেডানই বোধ হয় একটু এগিয়ে।

মাশরাফি অবশ্য এটা ভেবে কোনো রকম আত্মতুষ্টিতে ভুগতে রাজি নন, ‘ভালো দল হলেই জিতবে, এমন কোনো কথা নেই। এ ধরনের ম্যাচে যেকোনো কিছুই হতে পারে। চাপের ম্যাচ, সুতরাং আমাদের নিশ্চিত করতে হবে স্বাভাবিক থেকে নিজেদের সেরাটা খেলা। ’
ক্রিকেট কোচিং স্কুলের (সিসিএস) বিপক্ষে বিশাল জয় দিয়ে শুরু করলেও প্রাইম দোলেশ্বরের কাছে পরের ম্যাচেই হেরেছে আবাহনী। অধিনায়কের ব্যাটেও রানখরা।

তবে শুরু থেকেই ফর্মের প্রমাণ রেখেছেন দুই বিদেশি থারাঙ্গা পারানাভিতানা ও ইন্ডিকা ডি সরম। প্রাইম দোলেশ্বরের বিপক্ষে হেরে যাওয়া ম্যাচেও দারুণ সেঞ্চুরি (১০৬ বলে ১০০) করেছেন মোসাদ্দেক হোসেন। বল হাতে দুই ম্যাচেই ১১ উইকেট আল আমিনের। কাগজে-কলমে হিসাবটা যা-ই হোক, শাহরিয়ার নাফিস তাই বেশ আশাবাদী জয়ের ব্যাপারে, ‘ক্রিকেট খেলায় কাগজে-কলমের হিসাব কোনো কাজে আসে না। নির্দিষ্ট দিনে যারা ভালো পারফর্ম করবে, তারাই জিতবে।

মোহামেডান পয়েন্ট টেবিলে এগিয়ে আছে, তবে ওদের হারাতে পারলেই আমরা সমান হয়ে যাব। ’
দেখা যাক, আজকের ম্যাচ শেষে দুই দল ‘সমান’ হয়ে যায় নাকি মোহামেডান এগিয়ে যায় আরও!
আ জ কে র খে লা
প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ
আবাহনী-মোহামেডান (মিরপুর)
শেখ জামাল-প্রাইম দোলেশ্বর (ফতুল্লা)
কলাবাগান একাডেমি-খেলাঘর (বিকেএসপি)
 ম্যাচ শুরু সকাল ৯টায়।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।