আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আর কত প্রান হারালে এই দেশে সড়ক আইন হবে?

সত্য কাঁদে নিভৃতে, সাথে তার থাকে শুধু মহাকাল। সত্যের দ্বীপশিখা চিরদিন জ্বলে । সত্য কখনো মিথ্যাকে করে নাকো ক্ষমা।

আজ অফিসে আসার পথে এয়ারপোর্ট এ এক ভিক্ষুকের লাশ পড়ে থাকতে দেখলাম। কোন গাড়ি মনে হয় তাকে ধাক্কা দিয়েছে।

হয়ত সে মারাই গেছে। মুখের উপর রক্ত ঝরছিল। ভিক্ষুকটা পঙ্গু ছিল। একটা পা হাটুর নিচ থেকে কাটা ছিল। সে যে লাঠিতে ভর দিয়ে চলত সেটা তার পাশেই পড়ে ছিল।

চোখ থেকে এই দৃশ্যটা সরাতে পারছিনা। শত শত গাড়ি এই লাশের পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। কোন মানুষ-ই সেই লাশটার পাশে যাচ্ছেনা। কেউ তাকে হাসপাতালে নেয়ার চেষ্টা করছেনা। আমার গাড়িও পাশ কাটিয়ে চলে আসল।

আমরা সত্যিই বড্ড ব্যস্ত। রাস্তার একপাশ থেকে একটা ইয়াং ছেলেকে দেখলাম ভিডিও বাঁ ছবি তুলছে। পুলিশও দেখিনি সেখানে। হয়ত জানেনা পুলিশ। সত্যি আমাদের মানবিকতা দিন দিন কমে যাচ্ছ।

হয়ত সে ভিক্ষুক বলে কেউ এগিয়ে আসেনি। হয়ত কেউ ঝামেলায় জড়াতে চায়না। প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনায় অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে। চালকরা বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালাচ্ছে। কোন নিয়ম তাদের মানতে হয়না।

কি অদ্ভুত আমাদের এই দেশের মানুষরা। গতকাল স্কুল থেকে অন্য দিনের মতোই স্কুল থেকে মায়ের সঙ্গে রিকশায় ফিরছিল নুসরাত । মা আর ফেরেননি তার সঙ্গে। ফিরেছেন লাশবাহী গাড়িতে। রিকশা থেকে বাসের ধাক্কায় ছিটকে পড়ল মা আর সে।

মা পড়ে গেলেন বাসের চাকার নিচে। অনেক রক্ত। চিৎকার। ভিড়। তারপর ফুটপাতে শুইয়ে রাখা হলো মাকে।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর কমলাপুরে নুসরাত সামিয়া নামের শিশুটি চোখের সামনে তার মা রোকসানা বেগম লায়লাকে (৩৭) মিনিবাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে যেতে দেখেছে। সূত্র- প্রথমআলো নুসরাত এই স্মৃতি কিভাবে ভুলবে? আদৌ ভুলতে পারবে কিনা জানিনা। তার কোমল হৃদয়ে কি চলছে তা ভেবেই বুকের ভেতরটা জানি কেমন করে উঠছে। মা ছাড়া এই পৃথিবী আমি কখনো কল্পনা করতে পারিনা। আর এই ছোট্ট মেয়েটি কিভাবে সইবে মা হারানোর বেদনা ভাবতেই শিউরে উঠছে মনটা।

আর কত প্রান হারালে এই দেশে সড়ক আইন হবে জানিনা? এমন হতে পারে এর শিকার আমি আপনিও হতে পারি। সবাইত আমরা মারা যাব কিন্তু স্বাভাবিক মৃত্যুর নিশ্চয়তা চাই। এভাবে সড়ক দুর্ঘটনায় আমরা কেউই মরতে চাইনা।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।