আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কারন তিনি কোন সরকারের নয়, তিনি দেশ ও জনগনের শত্রু।



সমাবেশের নামে গার্মেন্ট শ্রমিকদেরকে ডেকে এনে বেতন ৮০০০ টাকা করার দাবী তুলার উস্কানী দিয়ে আবার নিজেই সেই দাবী প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে আদায় করে আনবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিলেন কোন এক মন্ত্রী। প্রকৃত উদ্দেশ্য ছিল সরকার প্রধানকে দেখানো যে তিনি শুধু পরিবহন শ্রমিক নেতাই নন, গার্মেন্টেসরও বটে! আর একটা ছিল হেফাজতিদেরকে খিস্তি খেউর করে আরও একটা বাহবা নেয়া। মূলত সরকারের কাছে নিজেকে আরো গুরুত্বপুর্ন করে তোলা। আফসোস ফল হয়েছে উল্টো। পুরো গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিই এখন হুমকির মূখে।

এই এক অবার্চীনের কারনে। শুধু কি তাই? মন্ত্রীত্বের শপথ নিয়েছেন কারো প্রতি অনুরাগ বা বিরাগের বশবর্তী হইয়া কাজ না করার। দেখা যাচ্ছে, তিনি প্রতি নিয়তই তা ভংগ করছেন। পরিবহন শ্রমিকদের হয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সংগে বারগেইন করছেন, ধর্মঘটের হুমকি দিয়ে ড্রাইভারদের খুন করার লাইসেন্স আদায় করে নিয়েছেন। প্রতিদিন দেশের নিরীহ পাবলিকের অকালে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানোর কথা বাদ দিলেও আমরা যারা মিশুক মুনীর কিংবা তারেক মাসুদের জন্ম কিংবা মৃত্যুদিবস পালন করে সাময়িক তৃপ্তি খুজি তাদেরকে বলি, সত্যই যদি এদের প্রতি কোন দরদ থেকে থাকে তাহলে প্রথমেই যে কাজটা করা দরকার তা হলো রাস্ট্রীয় সম্পদ,জান মাল রক্ষায় শপথ নিয়ে যিনি এই অন্যায় কাজ গুলো করছেন, যিনি ঐ ঘাতক ড্রাইভারদেরকে বাচাতে বলেন রাস্তায় গরু ছাগল চিনলেই লাইসেন্স দিতে হবে, মানুষ খুন হলেও কোন ড্রাইভারকে ৩০২ ধারায় মামলা করা যাবে না বলে সরকারকে হুমকি দিয়ে দাবী আদায় করেন, তার বিরুদ্ধে যার যা শক্তি আছে তা নিয়ে তাকে প্রতিহত করা।

কারন তিনি কোন সরকারের নয়, তিনি দেশ ও জনগনের শত্রু। তাহলেই একমাত্র মিশুক মুনির কিংবা তারেক মাসুদের প্রতি সত্যিকার শ্রদ্ধা জানানো সম্ভব হবে। জয় বাংলাদেশ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।