আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

৪৫ ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ৪৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে একটি স্কুলের ভবনকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায় ওইসব ঝুঁিকপূর্ণ ভবনে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মহল। তারা অবিলম্বে ঝুঁকিপূর্ণ এসব বিদ্যালয় ভবন সংস্কারের দাবি জানান।

সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলায় ৪৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনই ঝুঁকিপূর্ণ। ৪৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৩৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৯টি বেসরকারি রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়। অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ইতোমধ্যেই পৌর এলাকার আদর্শ কেজি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে এ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান বন্ধ করা হয়েছে। বিকল্প ব্যবস্থায় এ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন সকালে পাশর্্ববর্তী মডেল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষে পাঠদান করা হচ্ছে।

সরজমিনে দেখা গেছে, পৌর এলাকার পুনিয়াউট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দোতলার দুটি কক্ষের ছাদের পলেস্তরা খসে পড়ে রড বেরিয়ে গেছে।

ছাদের বিমে দেখা দিয়েছে ফাটল। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মাফিয়া খানম বলেন, দোতলার পুরো ছাদই ডেমেজ হয়ে গেছে। যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। শহরতলীর বিরাসার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের অবস্থা নাজুক। ভবনের ছাদের বিভিন্ন অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রোজি আক্তার জানান, পুরো ছাদ দিয়ে পানি পড়ে। দেওয়ালের বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই ক্লাস নিচ্ছি। পৌর এলাকার আদর্শ কেজি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন জানান, তৃতীয় তলাবিশিষ্ট বিদ্যালয় ভবনটি গত মাস ছয়েক আগেই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। শিক্ষা কমিটির সুপারিশক্রমে আমরা পাশর্্ববর্তী সরকারি মডেল গার্লস উচ্চ বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষে সকাল বেলা ক্লাস করছি।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমা বেগম জানান, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোকে প্রয়োজনীয় সংস্কার করার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে।

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।