আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সাফ ব্যর্থতা: কোচ ও চার ফুটবলার ‘দায়ী’

শনিবার বাদল রায়ের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের হাতে প্রতিবেদনটি তুলে দেয়া হয়। প্রতিবেদনে নেপালের কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত সাফ ফুটবলে মিডফিল্ডার মামুনুল ইসলাম ও সোহেল রানা, ফরোয়ার্ড জাহিদ হোসেন এবং স্ট্রাইকার শাখাওয়াত হোসেন রনির ভূমিকা ‘রহস্যজনক’ ছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বাফুফে ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জাহিদকে নিয়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষোভ প্রকাশ করেন বাদল রায়। তদন্ত কমিটির সভাপতি বলেন, “জাহিদ প্রশিক্ষণে অনিয়মিত ছিল।

কর্তব্যে অবহেলার পাশাপাশি মাঠের খেলাতেও উদাসীন ছিল। এই ধরনের খেলোয়াড় জাতীয় দলের জন্য ক্ষতিকারক। ” “আমরা তাই জাহিদকে কঠোর শাস্তি দেয়ার সুপারিশ করছি। আশা করি বাফুফে এ ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে। ” ডি ক্রুইফের ভূমিকা নিয়েও তদন্ত কমিটি অসন্তুষ্ট।

তবে কোচের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়নি। এ প্রসঙ্গে বাদল রায় বলেন, “যেহেতু তার চুক্তির মেয়াদ দুই বছর, তাই ভবিষ্যতে তাকে আরো সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছি আমরা। তাকে আমরা আরো সুযোগ দিতে চাই। ” তবে দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন না করায় ফিটনেস কোচ মোহাম্মেদ জামালীকে অব্যাহতি দেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। গত জুলাইয়ে চার মাসের চুক্তিতে এই দায়িত্ব পান তিনি।

তদন্ত কমিটি খেলোয়াড়দের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর পক্ষে মত দিয়েছে। ২০/২৫ জনের পুল করে তাদের মাসিক ভাতা ও বীমা সুবিধা দেয়ার পরামর্শও দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি লিগগুলো আরো প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করার জন্য বিদেশি খেলোয়াড়ের সংখ্যা কমানোরও পরামর্শ দিয়েছে তদন্ত কমিটি।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।