আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বীর চট্টলার চ- বর্গ আর সাকা চৌ।

মানবিক, যৌক্তিক আর অযৌক্তিক। সোজা কথা আরেকটা মানুষ। দশ জনের ভীরে ডুবে থাকার প্রানান্ত চেষ্টায় থাকা মানুষ।

কিছু কিছু মানুষের উপস্থিতি আড্ডা নিষ্প্রাণ করে দেয়, কিছু কিছু মানুষ দেখলে অস্বস্তি অস্বস্তি ভাব হয়। ভয় ভয় লাগে, প্রাণ খুলে কথা বলা যায় না।

কখন কি ঘটে যায় বলে মনে হয়, দম্ভের প্রাচুর্যে থাকা মানুষ গুলো থেকে রেহাই পেতে চায় সবাই, কিন্তু নানা কারণে তার প্রকাশ হয় না। গতকাল কি এই দল, কি সেই দল নির্বিশেষে এমন অনেক জনকেই খুশি হতে দেখলাম যারা কখনোই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পক্ষে ছিলনা। অত্যাচার এক জিনিষ আর অত্যাচার করে করে বুক ফুলিয়ে হাটা অন্য জিনিষ। মাত্রাতিরিক্ত দম্ভ আর মানুষের সমাজে নিজ ভিন্ন অন্য সবাইকে কুকুর ভাবার যে বহিঃপ্রকাশ হয় জনাব চৌধুরীর চোখ- মুখ থেকে তা থেকে যে তার নিজ পরিবারের মানুষ গুলোও ভেতরে ভেতরে মুক্তি চায়, তা ব্যাখ্যা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রতিনিয়ত মা- বোন মিশিয়ে গালাগালি, চিবিয়ে চিবিয়ে, ভয়ানক ভাবে বাঁকা দম্ভোক্তি ছুড়ে দেয়া মানুষটা আবার অনেকের কাছেই আইকনিক, এবং সাহসী পুরুষ বলে বিবেচিত।

চট্টগ্রামে চ- বর্গীয় গালিগুলো খুব সস্তা। বন্ধুদের দেখা হলে দূর থেকে চীৎকার বলে ওঠে মানুষ, ওডা চো*** পোয়া, কেন আছস?? অন্য অঞ্চলের হলে আপনি হটাৎ করে ভিড়মি খেতে পারেন, মনে হতে পারে এরা মারামারি করছে, আসলে এরা দুই জানের বন্ধু যারা এখন নিজেদের জড়িয়ে ধরে চুমু খাবে। তাই এখানে যারা প্রতিনিয়তই শব্দ গুলো ব্যবহার করে চলে, তাদের কাছে সাকা একজন কিংবদন্তী পুরুষ। তিনি চ- বর্গ কে বাংলার সবখানে, এমন কি সংসদেও ছড়িয়ে দিয়েছেন খুব দারুণ ভাবে। তার কথাগুলো অনেকের কাছেই হিরোয়িক, দূর থেকে বসে, টিভিতে অন্যদের তার অশ্লীল বাক্যবাণে জর্জরিত হতে দেখে অনেকের কাছেই তিনি হিরো।

তাদের এই মোহ দূর হবে কেবল সাকা যেদিন তাদের নিজের মা- বোনের সম্পর্কে, তাদের বিভিন্ন অঙ্গের কথা তুলে ধরবেন সেদিন। আমি একজন ভীতু শ্রেণীর লোক। অত্যন্ত ভীতু, কিন্তু কখনোই কেউ মস্করা করেও চ- বর্গ দিয়ে কথা শুরু করলে তাকে প্রশ্রয় দেই নি। আড্ডা থেকে উঠে গেছি যে কতবার খোদাই জানে। অনেক হাসি ঠাট্টা হয়েছে, চটগ্রামের কলঙ্ক বলা হয়েছে, অতিরিক্ত ইগোইস্টিক বলা হয়েছে।

কিন্তু, একটা সময় এসেছে, যখন সেটা বন্ধ হয়েছে। অনেকেই স্বাভাবিক মনে করে ওভাবে সম্বোধন শুরু করে আমার ব্যাবহার দেখে অবাক হয়ে গেছে, তাদের ধারণা হয়েছে আমি পাগল হয়ে গেছি। কিন্তু, একসময় পরিচিতদের আড্ডায় সেটা বন্ধ হয়েছে। মা- বোন তথা নারী জাতি এতো সস্তা না। আপনার মা- বোনের সম্ভ্রম রক্ষা করা, বাংলার প্রতিটি নারীর সম্ভ্রম রক্ষা করা প্রতিটি বাঙ্গালীর নৈতিক দায়িত্ব।

মুখে মুখে বলতে বলতেই কখন মাথায় কি ঢুকছে কি বোঝার চেষ্টা করুন। যে কোন নারী-ই অলক্ষ্যে আক্রান্ত হন না কেন, একসময় সেটা আপনার পরম পূজনীয় মা কিংবা বোন যে হবেন না তার কোন গ্যারান্টি নেই। সাকা- দের উদ্ধত আচরণকে নায়কোচিত বলা বাদ দেন। শুরু হোক এক নতুন চট্টলার। চ- বর্গের যথেচ্ছ ব্যবহার বন্ধ হয়ে সুন্দরে ভরে উঠুক বীর চট্টলা।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।