আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কোন এক জন্মদিনে -১

রাত ১২ টা। ফোনে টেক্সট আর কল আসা শুরু। অদিকে রুমমেট , বন্ধুরা ও চ্যাঁচামেচি শুরু করে দিয়েছে। সব কিছুর ফাঁক দিয়ে আমি একবার ফেইসবুকে লগইন করলাম। সব জায়গায় কেবল এক ই কথা -"শুভ জন্মদিন" অথবা "হ্যাপি বার্থডে "।

সবাইকে এক ই উত্তর ,"থ্যাঙ্কু" । আবার কেউ কেক এর আবদার করছে। আর আমিও হাসছি। এক সময় ঘুমিয়ে পড়লাম। এটা ছিল প্রথম মা বাবার থেকে দূরে থেকে জন্মদিন উদযাপন।

একটু মন খারাপ হচ্ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বছরের শিক্ষার্থী তখন। সকালে ঘুম থেকে উঠে ক্লাসের জন্য রেডি হলাম। এখনকার যুগে কার ও বার্থডে মনে রাখতে কষ্ট হ্যনা। ফেইসবুক মনে রাখে।

তাই ক্লাসে ঢুকতেই দেখি সবাই আমার দিকে তাকাচ্ছে, এরপর একযোগে বলল,"হ্যাপি বার্থডে"। লজ্জা পেলাম। তার উপর কিছু বন্ধু গিফট দিল। পারটির জন্য আবদার ও করল। শেষ পর্যন্ত ঠিক হল বিকালে ওদের কে নিয়ে কোন এক রেস্তারায় যাব।

বিকালে শুনি কিছু বান্ধবী আগে ভাগে বের হয়ে গেছে। যখন জিজ্ঞাসা করলাম,কেন? বলল, ওদের নাকি কি কাজ আছে। যাই হোক রেস্তারায় গেলাম। অর্ডার দিতে যাব আর আমার কিছু বন্ধু জোর করে পাশের এক ফদ কর্নার এ নিতে চাইল। অবাক হয়ে গেলাম।

বললাম,"কেন তোরা না গ্রিল খাবি?" এক ফ্রেন্ড বলল,"তাত খাব। তার আগে আর একটা জিনিষ খাব। তুই কিন্তু কথা দিসিস যা চাব তাই খাওয়াবি। এখন ওটা খাওয়া। আর বাকিরাও এর মধ্যে চলে আসবে।

" । কি আর করা, রাজি হয়ে গেলাম। অমা সেখানে গিয়ে দেখি ,মোমবাতি দিয়ে পুরা দোকান সাজানো । আর বিশাল এক কেক এর সামনে বাকি বন্ধুরা দাড়িয়ে। য়ামি ঢুকতেই আবার চিৎকার ।

"হ্যাপি বার্থডে নিশিতা" । বুঝতেই পারিনি যে ওরা আমাকে এভাবে চমকে দিবে। আপনাদের ও নিশ্চ য়ই এমন অভিজ্ঞতা আছে কিংবা এর থেকে বেশী। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।