আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আগে র্দুনীতি মুক্ত দেশ চাই, তারপরে উন্নতি।

সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই।

নীতি মানে নিয়ম। আর যা নিয়মের পরিপন্থী সেটা র্দুনীতি। এই নিয়ম মানুষের দ্বারাই তৈরী। সুতরাং যা মানব জাতির জন্য কল্যানকর সেটাই নীতি আর যা মানুষের জন্য অকল্যানকর সেটাই র্দুনীতি।

আমি যদি আমার অবস্থানে থেকে চিন্তা করি যে আমি সমাজের জন্য ভাল কিছু করব তাহলে সম্ভব। আর আমি যদি র্দুনীতি করতে চাই সেটা কি কেউ বন্ধ করতে পারবে??? আপনি যখন বুঝবেন যে নিয়ম ভঙ্গ করলে আপনার কিছুই হবেনা আপনি তখনই নিয়ম ভাঙবেন বা র্দুনীতি করবেন। মিটফোর্ডের ঔষধ ব্যাবসায়ীরা তো একদিন থেকে ভেজাল বা মেয়াদউত্তীর্ন ঔষধ বিক্রি করছেননা। আর যদি তারা আগে থেকেই ভেজাল বা অনুনোমদিত ড্রাগস বিক্রি করে থাকেন, তবে পুলিশ-প্রসাশন এতদিন ব্যবস্থা নেয়নি কেন? নিশ্চয়ই তারা কোথাও থেকে শেল্টার পেয়ে আসছিল? কোনটা লঘু অপরাধ আর কোনটা গুরুতর অপরাধ এটা প্রমান করার দায়িত্ব আদালতের না ব্যবসায়ী সম্পাদকের? কেউ ০১ টাকা চুরি করলেও চুরি ০১কোটি টাকা চুরি করলেও চুরি। যে এক টাকা চুরি করতে পারে সে ০১কোটি টাকাও চুরি করতে পারে যদি সে সুযোগ পায়।

ঔষধ বা চিকিৎসা সামগ্রী নিয়ে খেলা করা মানে মানুষের জীবন নিয়ে খেলা করা। আর যারা মানুষের জীবন নিয়ে খেলা করে তারা কখনোই মানুষ নয়, অমানুষ। যারা এই অমানুষদের সমর্থন দিচ্ছে তারা কারা? তাদের উদ্দেশ্য কি? মানলাম RABআপনাদের অন্যায় ভাবে জেল-জরিমানা করেছে, এটা কেন করল তাদের সাথে কি আপনাদের কোন পূব শত্রুতা বা অন্য কোন সম্পর্ক আছে? নাকি বলবেন RAB গোপনে আপনার দোকানে ভেজাল ঔষধ রেখে গিয়েছিল। প্রসাশনের কাছে আমার বিনীত অনুরোধ আপনারা আপনাদের এ অভিযান গুলো video record করে রাখবেন। যেন কেউ আপনাদের প্রশ্নবিদ্ধ করতে না পারে।

প্রসাশন চাইলে র্দুনীতি কখনোই করা সম্ভব নয়। আর যদি প্রসাশন দেখেও না দেখে তাহলে র্দুনীতি বন্ধ করা অসম্ভব। আমরা র্দুনীতিকে আমাদের ফ্যাশন বানিয়ে নিয়েছি। আমাদের দেশে খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষা, প্রশাসন এমন কোন খাত নেই যা র্দুনীতি মুক্ত। আর রক্ষকই যদি ভক্ষক হয় তবে জনগন কোথায় যাবে বলতে পারেন? আগে র্দুনীতি মুক্ত দেশ চাই, তারপরে উন্নতি।

কলসির তলা ফুটো হলে পানি তো থাকবে না। কেউ যদি নিজে থেকে র্দুনীতি বন্ধ না করে তাহলে আমি আপনি চিৎকার করে কিস্যু হবে না। কোন আইনের প্রয়োগ না থাকলে আইন জেনে কি হবে? “জানার চেয়ে মানা ভাল”। লীগ, হেফাজত, হিন্দু, মুসলিম, সংখ্যালগু আর কত প্রজাতিতে বিভক্ত করবেন। তার চেয়ে দুনীতি মুক্ত ও দুনীতি যুক্ত এই দুই প্রজাতিতে ভাগ করুন।

আমার এক বন্ধু আছে যার বাবা একজন সরকারী কমকতা ছিলেন। কিছুদিন আগে তার বাবা যখন মারা যান তারপরে তার মায়ের চিকিৎসা ও পড়াশুনার জন্য যখন পেনশন/পভিডেন্ড ফান্ডের টাকা তুলতে যায় তখন এই টেবিল থেকে ঐ টেবিলে, আজ স্যার নাই, কাল এই সনদ আনো, পরশু এখানে ভুল । শেষমেষ সবাইকে মিষ্টি খাইয়ে টাকাকা উদ্ধার হল , ইনারা আবার এমন মিষ্টিই খান যে তা ১০-২০ হাজারর টাকা পিস। আমার ঐ বন্ধুটি সরকারী কমকতাদের কাছে কি শিখল বলতে পারেন?। তার নীতি তাকে কি শিখাল? ঘুষ দাও এবং ঘুষ নাও।

সে এখন প্রতিষ্ঠিত চিকিৎসক। আপনি তাকে কোন যুক্তিতে বোঝাবেন যে চিকিৎসার নামে গলাকাটা অন্যায়। কিন্তু আমার বন্ধুটি মানুষ বলেই মানুষের গলা কাটেনা। সমাজের প্রতিটি স্তরেই এই দুনীতিবাজ মানুষরুপী পশুরা বিদ্যমান। এরা আমাদেরই বাপ, চাচা, ভাই, বন্ধু বা আত্নীয়।

আপনার বাবা ঘুষখোর হলে আপনি কি তাকে শাস্তি দিতে পারবেন? যদি লোকলজ্জার ভয়ে না পারেন তবে অন্তত আপনি তাকে পশ্রয় দিবেন না। মনে রাখবেন দুনীতি বাজ যেই হোকনা কেন সে মানুষ নামধারী পশু মাএ। হাহুতাশ করে কিংবা শুধুমাএ সমালোচনা করে অথবা আইন করে র্দুনীতি বন্ধ করতে পারবেন না। সুতরাং আসুন যে যার যার অবস্থানে থেকে নিজে র্দুনীতি মুক্ত থাকি এবং নিজের পরিবার এবং বন্ধু বান্ধবকে র্দুনীতি মুক্ত করি। আসুন সবদা মনে লালন করি যে আমি দুনীতি করবনা এবং র্দুনীতিবাজ হতে দুরে থাকব।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।