আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

‘না ভোট’ ফেরাতে উকিল নোটিস

ব্যারিস্টার মোহাম্মদ শাহরিয়ার মজিদ নামের এই আইনজীবীর পক্ষে ব্যারিস্টার রেদওয়ান আহমদ সোমবার রেজিস্ট্রি ডাকে এই নোটিস পাঠান।
এতে বলা হয়, ২০০৮ সালে নবম সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশের নাগরিকরা প্রথমবারের মতো ‘না ভোট’ দেয়ার সুযোগ পায়। ২০০৭-০৮ সালের গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৩১(ক) ধারায় ‘না ভোট’ দেয়ার বিধান ছিল।
“ওই অধ্যাদেশের ৪০(ক) ধারায় উল্লেখিত অন্য একটি বিধানে বলা হয়, যদি ‘না ভোট’ সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া প্রার্থীর ভোটকে ছাড়িয়ে যায়; সেক্ষেত্রে নতুন করে নির্বাচন হবে। পরে নোটিসের বিবাদীরা (সরকার ও নির্বাচন কমিশন) ‘না ভোটের’ বিধার বাতিল করে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধন করে।


আগামী সংসদ নির্বাচনেও যাতে ভোটাররা চাইলে ‘না ভোট’ দেয়ার সুযোগ পান, সেজন্য প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনতে নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করা হয়েছে নোটিসে।
এতে বলা হয়, নোটিস পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হলে ব্যারিস্টার মোহাম্মদ শাহরিয়ার মজিদ প্রতিকারের জন্য যথাযথ আদালতে যাবেন।
নোটিসদাতার আইনজীবী রেদওয়ান আহমদ বলেন, “‘না ভোট’ দেয়ার বিধান সংযুক্তির ব্যবস্থা না নিলে আমরা হাই কোর্টে রিট করব। ”
নোটিসে বলা হয়, প্রতিদ্বন্দ্বী সব প্রার্থীকে প্রত্যাখ্যান করে নেতিবাচক ভোট দেয়ার অধিকার বাংলাদেশের নাগরিকদের রয়েছে, যা নির্বাচনকে আরো বেশি কার্যকর করে তুলবে।
“এর মাধ্যমে নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণ বাড়বে।

নেতিবাচক ভোটের বিধান পদ্ধতিগত পরিবর্তন নিয়ে আসবে। ‘ক্লিন’ প্রার্থী দিতে রাজনৈতিক দলগুলো বাধ্য হবে। ”
বিশ্বের ১৪টি দেশে বর্তমানে নেতিবাচক ভোটের বিধান রয়েছে উল্লেখ করে নোটিসে বলা হয়, বাংলাদেশের সংসদেও সদস্যরা ‘না ভোট’ দিতে পারেন। ”
প্রতিবেশী দেশ ভারতের সুপ্রিম কোর্টও সম্প্রতি এক রায়ে নির্বাচনী আইন ও ব্যালট পেপারে ‘না ভোট’ দেয়ার বিধান যোগ করার আদেশ দেয়।    


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।