আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

'ঐশী'কথা ও সেক্সসর্বস্ব নষ্টা তারুণ্য



কে বলেছে ঐশী অপরাধী?ও হচ্ছে কিশোরী। যদিও ওর ইয়াবা খাওয়া,অবাধ সেক্স করা,সেক্সপার্টনার পাল্টানো,বাবা মার কথা না শুনে পার্টিতে গিয়ে দেহবিলিয়ে গভীর রাতে ঘরে ফেরা আধুনিক বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক মানুষটির থেকেও পরিপূর্ণ,তবুও কেবলমাত্র খুন করার ক্ষেত্রে ও কিশোরী,ও শিশু,ও লক্ষী একটা বখে যাওয়া কন্যা। ওরা যাচ্ছেতাই করবে,তাতে কার কী?ওরাই নিতম্ব দুলিয়ে হেঁটে হেঁটে সমাজের যৌনপিপাসুদের তৃষ্ণা মিটায়,ওরা বুক থেকে ওড়না ফেলে দিয়ে বাঙালি নারীর হাজার বছরের সতীত্বকে প্রকাশ্যে ধর্ষণ করে। তাতে কার কী,যে এর বিরুদ্ধে কথা বলবে সে বাঙালি না,কে তাকে প্রগতিশীল বলে?প্রগতিশীল হতে হলে ঐশীদের বেড়ে ওঠার পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। ঘরে ঘরে ঐশী হবে,ঐশীদের বান্ধবী তৃষা হবে।

তারা যৌনখেলা ও নেশা করবে। এতে বাধা দিলে ঘরে ঘরে বাবা মা খুন হবে। একসময় সমাজে কেবল ঐশী আর তৃষারা থাকব,জনী আর রনীরা থাকবে। সেই সমাজে 'Democracy is the government for the sex,of the sex and by the sex'নীতি সুপ্রতিষ্ঠিত হবে। কে বলেছে তরুণ সমাজের নৈতিকতা ধসে যাচ্ছে?কে বলেছে নারী অশালীনভাবে চলাফেরা করলে সমাজে অশান্তি সৃষ্টি হয়?কে বলে বাঙালি সংস্কৃতি ভুলে টাইট জিন্স আর টিশার্ট কিংবা ফতুয়া গায় দিয়ে চলা মেয়েরা নোংরা চরিত্রের এবং কামাসক্ত?কে বলে এইসব কথিত আধুনিক অর্ধনগ্ন পোশাক পরা মেয়ে ছেলে অনৈতিক এবং বাঙালি সংস্কৃতির জন্য হুমকী?যে বা যারা এই কথা বলে সে বা তারা পশ্চাতপদ,মধ্যযুগীয় এবং অনাধুনিক,ক্ষ্যাত।

এরা হচ্ছে কিশোর বুদ্ধিজীবী জাফর ইকবাল ছাহেবের সেই সমাজ পাল্টে দেওয়া তরুণ তরুণী। এরা চটিসাহিত্যিক ও যৌনরাণী তছলিমা নাছরিনের 'যৌনীর অবাধ ও সেচ্ছায় ব্যবহারের পূর্ণ অধিকার চাই'মতাদর্শের তীব্র অনুসারী। এইসব ঐশীরা ছোট বেলা থেকেই লীলাখেলায় মত্ত। ওটা স্টার জলসা,সেটম্যাক্স,স্টার প্লাস,এএক্সএন ইত্যাদি শিখিয়েছে। এদের আদর্শ সানি লিওন,তার মত যৌনীকে সর্বজন ব্যবহৃত করার মাঝেই আধুনিকতা ও স্মার্টনেস লুকায়িত।

বাল্যকাল থেকেই যৌনতার পূর্ণ স্বাদ পেয়ে যায় ঐশিরা। ১৮ পেরোনোর আগেই যৌনদুর্বলতা তাই প্রকট হয়। ক্ষমতা বাড়াতে তখন ইয়াবা,শিসা দরকার। এক শরীরে তখন আর হয়না,আরো দরকার। নতুন সঙ্গী চাই।

যৌনতাই জীবনের মূখ্য হয়ে ওঠে। এর জন্য সব বাঁধা পেরোতে হবে। প্রয়োজনে সেকেলে বাবা-মাকেও ছোরা দিয়ে কুপিয়ে খুন করতে হবে। তবু সেক্স চাই,একাধিক ছেলে চাই,একাধিক মেয়ে চাই,যৌনীর সার্থকতা কোথায় তবে? ঐশী নামের এই নষ্টাদের সমাজে আজ বিশাল একটা দাপটে অবস্থান। কুস্বার্থের প্রয়োজনে বাবামাকে যারা খুন করে সমাজ তাদের ইসমাট,আধুনিকা,তারকা,গ্ল্যামারগার্ল,লাস্যময়ী প্রভৃতি উপাধিতে ভূষিত করে।

আবার ঐশীর সঙ্গে যেসব দুশ্চরিত্র,বেহায়া ছেলেরা থাকে তারাও ইছমাট,প্লেবয় ইত্যাদি যৌনাপাধি পেয়েছে। তবে কী উপায় আছে সামাজিক নৈতিকতা ফিরিয়ে আনার?মূল্যবোধের অবক্ষয় কতটুকু হলে অবৈধ সেক্স ও নেশা থেকে বিরত থাকায় জন্মদাতা দাত্রীদের খুন করা যায়?জাফর ইকবাল ছাহেবরা এর কী কোন জবাব দেবেন? এখন এই নষ্টা,নোংরা,নিমকহারাম,জঘন্যকৃতঘ্ন ঐশীর কী হবে প্রচলিত আইনে?কিংবা তার বান্ধবী নগ্ননষ্টা ও খুনী তৃষা,বন্ধু জনী/রণী হারামীদের কী হবে?দেশের প্রচলিত আইনি ব্যবস্থায় এরা কিশোর!হাহাহা,এদের পাঠানো হবে সংশোধনাগারে!হায়রে আইন!খুনীকে কিশোর বলে আশ্রয় প্রদান,ভবিষ্যতে যৌনীকে আরো সহজলভ্য করবে এই ঐশী,আরো খুনী হবে এই ঐশী,তৃষারা। যারা নেশা ও সেক্সের জন্য বাবা মাকে খুন করতে পারে তারা পৃথিবীর অন্য কাউকে খুন করতে এক চুল সময় নেবেনা। ১৮ বছর বয়সের আগে এখানে শিশু। অথচ এই শিশুই প্রেম করছে একাধিক,গোপনে সেক্স করছে,সেই সেক্সের ভিডিও করছে ও তা ছড়িয়ে দিচ্ছে,এই শিশুই ইয়াবা খাচ্ছে,গাঁজা খাচ্ছে এবং আসক্ত হচ্ছে।

এই তথাকথিত শিশু তার কুপ্রবৃত্তি চরিতার্থে বাঁধা দিলে বাবা মাকে পর্যন্ত খুন করতে দ্বিধা করছেনা। এইতো শিশু,এরাইতো কিশোর। এরাই ঐশী,তৃষা,জনীরনিরা । এই শিশু যা যা করছে সবই বড়দের থেকে বেশি। তবে এর অপরাধকে কেন কিশোরসুলভ ধরা হবে?অপরাধী সে অপরাধীই ।

১০ বছর পর্যন্ত ছাড় দেওয়াটা যৌক্তিক হয় ,তাই বলে ১১ থেকে ১৮ পর্যন্ত?হাহা,তবে আইন করে ১৮ বছর পর্যন্ত এদের যৌনতা অর্থাত্‍ সেক্স করা থেকে বিরত রাখুক। গোপনে প্রেমিককে দিয়ে স্তন ধরানো নিষিদ্ধ করুক,চুমাচুমি নিষিদ্ধ করুক। পুরুষাঙ্গ স্পর্শের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হোউক। অপরাধের ক্ষেত্রে কৈশোর ও শৈশব কোটা যদি ব্যবহারই করা হবে তবে এদের প্রকৃত কিশোর এবং শিশুই থাকতে হবে। প্রাপ্তবয়স্কদের সবকিছুই এদের জন্য আইন করে নিষিদ্ধ করে দিতে হবে।

জানি আমার কথাগুলো খুব কঠিন মনে হচ্ছে। কিন্তু সমাজ,রাষ্ট্র ও আমাদের প্রিয় বাঙ্গালি সংস্কৃতি রক্ষা করতে এই কথাগুলোই আজ বড় বেশি প্রয়োজন। নৈতিকতা আছ বড় দুষ্প্রাপ্য সমাজে। ঐশী তৃষাদের কাছে আজ সতীত্ব মূল্যহীন। 'ব্রেক আপ'নামের শব্দগুচ্ছ ব্যাপক মাত্রায় ব্যবহার করছে এরা কেবল নতুন শরীরের খোঁজে।

যৌনতার কাছে এরা যৌবনের পাশাপাশি জীবনকেই সমর্পন করছে। ভারতীয় উগ্রনষ্ট বেহায়া ধার করা কালচার এতে ঘি ঢালছে। কানিজ,রোকেয়া প্রাচী,মিলা,সানি লিওন প্রভারা উত্‍সাহী করছে। আর অনৈতিক হতে সর্বোচ্চ সমর্থন দিচ্ছে প্রগতিশীলতার মুখোশ পরা ভোগবাদী মিডিয়া। নারী অধিকারের চটকদার বিজ্ঞাপনে নারীর শরীরকে অনাবৃত করছে পুঁজিবাদী সমাজ ও তাদের মুখপাত্ররা।

ফলে নারীর খোলা শরীরকে আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করে বানানো হচ্ছে বিজ্ঞাপন। সে বিজ্ঞাপন বাথরুম পরিষ্কারক থেকে শুরু করে,মসলা,দুধ,চিনি,বাড়ি,গাড়ি,এপার্টমেন্ট এমন কী শিক্ষার । পারফিউমের বিজ্ঞাপনে পশুর চেয়ে নিকৃষ্টভাবে কামুক হিসেবে নারীকে উপস্থাপন করা হয় । এসব দেখে ঐশীরা কামাসক্ত হয়,খুন করে কামনিবারণের জন্য । হায়রে মাতৃজাত নারী!এই তোমাদের অবস্থান!পুঁজিবাদীদের জালে এভাবেই ঝাঁপিয়ে পড়লে তোমরা।

আর কথা বাড়াবো না । ঐশীর ও তার খুনী বন্ধু বান্ধবীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। আর কোন মেয়ে যাতে কোনদিন বাবা মার চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলার সাহস না পায় এমন শাস্তি দেওয়া হোক । প্রয়োজনে ঐশীকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হোক। তার বন্ধুদেরও গুলি করে হত্যা করা হোক।

এই দৃশ্য সরাসরি টেলিভিশনে দেখিয়ে অবশিষ্ট ঐশী,তৃষা,জনী-রনীদের শেষ সতর্ক বার্তাটি দেওয়া হোক । বিশ্বাসবাড়ি,টুংগীপাড়া । ১৮ আগস্ট,রাত ১ টা ২০ অর্থাত্‍ ১৭ আগস্ট দিবাগত রাতে

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।