আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আজাইরা!

আমি একজন পর্যটন কর্মী। বেড়াতে, বেড়ানোর উৎসাহ দিতে এবং বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি।

ফেসবুকে কিছু নারী কেবল তাদের পিকচার আপলোড মারেন। এই সব দেখতে দেখতে ত্যাক্ত বিরক্ত হয়ে এই লেখাটা লিখছি। যারা বেশি বেশি পিকচার মারেন, তাদের বলি- আপনাদের রূপ-লাবণ্য-কমনীয়তায় আমি- আমরা মুগ্ধ।

দয়া করে সপ্তাহে একটার বেশি পিকচার না মারলে বাধিত হই। আবার কিছু ভাইজানও আছেন। মাশাল্লাহ। চা খাইতেছেন, আড্ডা দিতাছেন, অন্যের জিপার ধইরা টান মারতাছেন, সেই সব পিকচারও দিয়া দ্যান। ফেসবুক এখন আজাইরা প্যাঁচাল বা আত্ম প্রচারের জায়গা না।

এখানে ভালো কিছু দেন। দেইখা যাতে ভালো লাগে। আমি এ রকম কয়েকজন তরুণীর কথা বলি, যাদের স্বামী বয়োজ্যাষ্ঠ। তারা বেশি পিকচার দ্যান। আবার যাদের স্বামী নাই, বিয়া করেন নাই তারাও বেশি দ্যান।

এ রকম লোকের কাতারে অনেক জ্ঞানী গুণীজন আছেন। যারা ছাত্র-ছাত্রী পড়ান, পাবলিক-প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে। এইটা আমার একটা অবজারভেশন। দয়া কইরা এইটা নিয়া পলিটিক্স খেইলেন না। তাদের অনেকেই জানেন না যে, তাদের পিকচার পিক করে অনেক অড সাইটে আপলোড হয়।

আমার মনে হয় এতে কইরা উনাদের প্রাইভেসি যেমন নষ্ট হয়, তেমনি সম্মানহানিও হয়। আল্লায় জানে এখন কী হবে। থ্রিজি যে হারে গতি নিয়া ঝাঁপাইয়া পড়তাছে, তাতে উনাদের পিকচার দেখতে দেখতে বদহজম বাড়বে। মাফ চাই। দেয়াও চাই।

দয়া করে ভালো-সৃজনশীল কিছু দিন। তবে একখানা আজিব বিষয়ও আছে। পিকচারগুলান দেখার লোকের অভাব নাই, লাইক মারেন অনেকে। কমেন্ট করে ভরাইয়া দেন। আহারে দিল দরিয়ারা।

নিজেরা নিয়া ভাবি- আমি এমুন ক্যান। উনারা পিকচার মারেন, আমার না দেখলেই তো হলো। না আপনাদের অনুৎসাহিত করছি না, ভালো পিকচার দিবেন, রুচিশীর পিকচার, সন্তানের পিকচার দিবেন। কিন্তু বেশি কোনো কিছুই ভালো না। অনেকে নোংরা ভঙ্গিতে বসে থাকা ছবিও পোস্ট করেন--- কী অরুচিকর! সবাই ভালো থাকুন।

সুস্থ ও নিরাপদে থাকুন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।