আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অনলাইনে জমজমাট কোরবানির হাট

প্রয়োজন নেই এই হাটে, ওই হাটে ঘোরাঘুরির। কোরবানির পশু কিনে রশি টানতে টানতে বাসায় আনার গলদঘর্ম কসরত থেকেও মিলেছে মুক্তি। অনলাইন এই কোরবানির হাট থেকে এখন চাইলেই ঘরে বসে পছন্দের পশুটি নির্বাচন করতে পারছেন ক্রেতারা। একইভাবে গোয়াল থেকেই ঈপ্সিত মূল্যে পালিত কোরবানির পশু বিক্রি করতে পারছেন চাষি বা খামারিরা। মর্তোলোকের মতো ভার্চ্যুয়াল দুনিয়ায়ও জমে উঠেছে 'অনলাইন কোরবানির হাট'।

গত বছর থেকে শুরু হয় অনলাইনে কোরবানির হাট। তখন কেবল একটি হাটেই মিলত কোরবানির পশু। তাও আবার কেবল গরুই ছিল ভরসা। এবার দেশের প্রথম অনলাইন কোরবানির পশু বাজার 'আমারদেশ-ই-শপে' বাড়তি যুক্ত হয়েছে মসলাপাতি। চলতি বছরে একক এই হাটের পাশাপাশি কোরবানির হাট বসিয়েছে অনলাইন বেচাকেনার পোর্টাল 'বিক্রয় ডটকম'।

কোরবানির গরুর পাশাপাশি ছাগল ও উটও বেচাকেনা চলছে এই অনলাইন হাটে। অনলাইনে কোরবানির পূর্ণাঙ্গ হাট বসেছে http:// amardesheshop.comঠিকানায়। এখানে রয়েছে কোরবানি উপলক্ষে বিক্রির অপেক্ষায় থাকা গরুর ছবি, কোড নম্বর, দাম এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভিডিও। অনলাইনে বুকিং দেওয়ার পাশাপাশি ব্র্যাক ব্যাংক ও ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ই-ক্যাশ, বি-ক্যাশ কিংবা ব্যাংক ড্রাফটের মাধ্যমে পছন্দের পশু কিনতে পারছেন ক্রেতারা। দেশের বাইরে থেকেও চলছে কেনাকাটা।

আর কোরবানির পশু ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে এই সেতুবন্ধন তৈরি করেছে অনলাইনে কেনাবেচার হাট আমারদেশ-ই-শপ। 'আমার দেশে আমার গ্রাম' প্রকল্পের আওতায় পরিচালিত এই ই-কমার্স সাইটে কোরবানি উপলক্ষে আয়োজিত গরু ক্রয়-বিক্রয় আয়োজন শুরু হয়েছে ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে। অবশ্য শুরুর দিকে প্রথম সাত দিন অনলাইনের এই কোরবানির হাট ছিল ক্রেতাশূন্য। তবে দিন দিন দর্শনার্থীর ভিড় বাড়ছে। প্রতিদিনই একই সময়ে অনলাইনে এই কোরবানির হাটে ঘোরাঘুরি করছেন ৩০০ থেকে ৫০০ দর্শক।

সর্বশেষ ৬ অক্টোবর পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে তিনটি গরু। হাটে বিক্রির অপেক্ষায় থাকা কোরবানির গরুর দাম ৩৫ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকার মধ্যে। অনলাইনে এই কোরবানির হাট সম্পর্কে হাটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাদিকা হাসান সেঁজুতি জানান, ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত অনলাইনে বুকিং নেওয়া হবে। ১৪ অক্টোবর শুরু হবে হোম ডেলিভারির কাজ। ডেলিভারির জন্য সর্বোচ্চ তিন হাজার টাকা চার্জ ধরা হচ্ছে।

কোরবানির গরু হওয়ায় পাঁচ শতাংশ সার্ভিস চার্জ বাদে বিক্রির পুরো টাকাই চাষি বা খামারিকে দেওয়া হচ্ছে। সেঁজুতি বলেন, 'কোরবানির পশু সংগ্রহের জন্য ইতিমধ্যে দেশজুড়ে পাঁচটি ই-সেন্টার করা হয়েছে। সেন্টরগুলো রয়েছে নরসিংদী, টাঙ্গাইল, কুষ্টিয়া, যশোর ও রংপুরে। ফলে মধ্যস্বত্বভোগীদের বেড়াজাল এড়িয়ে ক্রেতা-বিক্রেতারা নির্ঝঞ্চাটভাবে কোরবানির পশু পেয়ে যাচ্ছেন ঘরে। আমরা শুধু পরিবহন এবং ব্যাংক চার্জ ও অন্যান্য ব্যয়ের জন্য নামমাত্র সার্ভিস চার্জ নিচ্ছি।

' অন্যদিকে bikroy.com ও হাট বসিয়েছে। 'গরু না খাসি, কোনটা চাই'- এ স্লোগানে অনলাইনে হাট বসিয়েছে তারা।

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।