আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তসলিমা নাসরিন মানুষ হলে আমি তেলাপোকাও একটা পাখি

সুখে থাকতে ভুতে কিলায়, কথাটা প্রাচীন প্রবাদ। কিন্তু কাউকে সুখে থাকতে দেখলেও ইদানীং অনেকে ভুতের কিল খায়, কেন খায় জানি না। পার্থক্য সবসময়ই যে খারাপ তা কিন্তু নয়, বিড়াল আর কুকুরের মাঝে কিছু পার্থক্য আছে, যেমন বিড়াল লাজুক ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে পছন্দ করে, আবার কুকুর বেহায়া প্রকৃতির নোংরা একটি প্রাণী। কুকুর অসম্ভব প্রভুভক্ত যেখানে বিড়াল অত্যন্ত উদাসীন। এই পার্থক্য কোনটিই কিন্তু একের উপর আরেকজনের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমান করে না।

নারী পুরুষের মাঝে যেই পার্থক্য আস্তিকের ভাষায় সৃষ্টিকর্তা আর নাস্তিকের ভাষায় প্রকৃতি ইতিমধ্যেই বিন্যাস করে দিয়েছে, এটা নিয়ে মানুষের মাঝে কোন দ্বিধা দ্বন্দ্ব থাকার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। কিন্তু এই পার্থক্যকে আবার দুর্বলতা মনে করা কিংবা কাউকে হেয় প্রতিপন্ন করা কোন মতেই গ্রহণযোগ্য নয়। পূর্ববর্তী একটি পোস্টে লিখেছিলাম কাপুরুষ শব্দটি শুধু মাত্র ছেলেদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য, এর কোন স্ত্রীলিঙ্গ নেই। কারন নারীদের কাছ থেকে পুরুষের কোন গুণ আশা করা উচিৎ নয়, তবে থাকলে তা প্রশংসনীয়, কিন্তু সব গুণ নয়। আবার দেখুন পুরুষদের মধ্যে যদি নারীদের কোন গুণ থাকে, তাহলে তাকে ভিন্ন নজরে দেখা হবে, দোষের কথা বলাই বাহুল্য।

তসলিমা নাসরিন আংকেল পুরুষদের স্কার্ট পড়তে বললেন, কিন্তু আপনি কি এটা একবার চিন্তা করলেন না পুরুষরা অনেক আগে থেকেই লুঙ্গী নামক একটি পোশাক পড়ে। আবার যদি বলেন লুঙ্গীর মত পেটিকোটও আছে, তাহলে শুধু তর্ক করার স্বার্থে তর্ক করার ইচ্ছে নেই। আংকেল, আপনি যদি মনে করেন আপনাকে পুরুষের সাজে ভালই মানায়, মনে করতে পারেন, কোন সমস্যা নেই। কিন্তু আপনার দুঃখ আপনি জামাই হিসেবে কোন আন্টিকে পাবেন না। নারীদের শারীরিক গঠনের কাঠামোগত কারনে কিছু অতিরিক্ত পোশাক পড়তে হয়, পুরুষরা কেন সেগুলো পড়বে বলেন? আসলে কি, নগ্ন হয়ে কোন মেয়ে যদি ছবি তুলে, তাহলে শত শত পুরুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ে, ফেসবুকে আপলোড করলে শত শত লাইক আর হাজার হাজার ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট আসতে থাকবে।

আর যদি কোন ছেলে নগ্ন হয়ে ছবি তুলে সেটা লাইক পাওয়া তো দূরে থাক, যারা ফ্রেন্ড লিস্টে ছিল তারাও ডিলিট দিয়ে দিবে। আংকেল, এই পার্থক্য আপনি কিভাবে দূর করবেন? সব পার্থক্য কিন্তু খারাপ নয়, আবারও বলছি। একজন পুরুষ হিসেবে আমার যতক্ষণ সামর্থ্য থাকবে, আমি আমার সঙ্গিনীকে কোন ভারী কাজ করতে দিবো না, এটা তার প্রতি আমার বৈষম্যমূলক আচরণ নয়, বরং সম্মান প্রদর্শন। আপনি যেই সমাজে বড় হয়েছেন, সেখানে আপনি অধঃপতিত ও পদদলিত ছিলেন, এই কারনে আপনার ব্যক্তিগত ক্ষোভকে আমি বাঞ্ছনীয় বলব। আমাদের দেশ কিন্তু এখনো এতোটা পচে যায়নি, এখনো সুস্থ সমাজ রয়েছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।