আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কওুম স্বীকৃতি নাকি ‌উজবক' থেকে মাস্টার্স যাত্রা...ভেতরে জমে থাকা প্রশ্নের ছত্রাক....

ভালো আছি

ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা দাওরা ও ইফতা মাদরাসার ফলে কি কোনো ক্ষতিই হয় না ? এখন তো যত্র-তত্র মুফতি মিলে যাচ্ছে, আর ফতোয়া বিক্রি হয় তেজপাতার দামে.. এখন যে হাজার হাজার কওমি ছাত্র বর্ণ লুকিয়ে আলিয়া পরীক্ষা দিতে যায়, সেইদিকে কারো নজর আছে বলেই মনে হয় না । এরা কি হালাক ? নাকি অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দুর্ভাবনা আর আমাদের উন্নাসিকতাই এদেরকে একসময় ছিটকে ফেলে ? গুরুরা যা-ই বলুক, এদের কেউ ভার্সিটিতে চান্স পেলে কিন্তু গর্বে বুকটা ভরে যায়, আরেকজন ড. মুশতাক পাবার আশায় । কর্মহীন ধর্মশিক্ষা আর ধর্মহীন কর্মশিক্ষা- উভয়টাই জাতির জন্য ক্ষতিকর, শামছুল হক ফরিপুরী রহ. এর উক্তি । আমার তো মনে হয়, স্বীকৃতি না হওয়ার ফলে সবচে’ বেশি খুশি হলো জামায়াত । বিএনপির আমলেও শুধু এদের কারণেই কাজটা শেষ হয় নি ।

কারণ, কওমি মাদরাসার শিক্ষামান বাড়লে শুধু যে আলিয়া মাদরাসা অস্তিত্ব সংকটে পড়বে তা-ই না, ওদের হারামখেকো ওলামা দলেরও চরম বেইজ্জতি হবে.. সরকার কি কওমি স্বীকৃতির জন্য স্বপ্রণোদিত হয়ে উদ্যোগ নিয়েছিলো, নাকি হুজুররাই প্রথম ধর্ণা দিয়েছিলেন, সবাই জানেন । তো এখন কওমি মাদরাসা দেবো না- এর মানে কি ? আহমদ শফি সাহেব হুজুর কিন্তু ইসলামি ব্যাংকগুলোর বিরুদ্ধেও ‘নাছোড়নীতি’ অবলম্বন করেন । অথচ কওমি শিক্ষিত মেজরিটি পারসেন্টের পকেটে খুঁজলে এটিএম কার্ড নিশ্চিত বেরিয়ে পড়বে । ফলটা কি ? পাকিস্তান-ভারত কি আমাদের শিক্ষার জন্য রোল মডেল ? আর দেওবন্দ কি কওমিদের কা’বা ? তথাপি সেই দেওবন্দও তো তাদের দেশের সমাজ-সংস্কৃতিরি সঙ্গে মিলি রেখে সিলেবাস প্রণীত হয়েছে । সময়ের চাহিদা মেনে আধুনিকায়ন, পরিবর্তন, পরিবর্ধন- এসব কি দেওবন্দ নিষিদ্ধ করে দিয়েছে ? আমাদের দেশের কওমি মাদরাসাগুলোও কি উসূলে হাশতেগানাহ অনুসারে চলে ? আজ যদি একটা পাবলিক ভার্সিটি হয়, কাল সেখানে হাজার বিশেক ছাত্র ভর্তির কম্টিটেশন শুরু হয়...রাতারাতি সেটা দেশের শ্রেষ্ঠতম বিদ্যাপীঠের জায়গায় চলে আসে ।

কিন্তু আরেকটা হাটহাজারি কিংবা মাদানীনগর তো হয় না । কেন ? স্বীকৃতি নিলাম না ঠিক আছে । নিজেদের মোনোন্নয়নের জন্যই বা আমারা কতটুকু আন্তরিক । একটা শিক্ষক প্রশিক্ষক সেন্টারে তো আমাদের নেই । কোত্থেকে এসে কে যে কী পড়িয়ে যান নাকি....থাক... আগেরবার দোষ দিলাম মাহমুদুল হাসান সাহেবের, এবার দোষ পড়লো ফরীদ সাহেবের ।

মাঝখান থেকে লাভের গুড় পিঁপড়ায় খেলো । ইবনে সিনাকে ইমাম গাজ্জালি রগ. কাফের বলেছিলেন, তাতে অবদান কিন্তু কেউ কম দেখান নি । আমাদেরযে কী হয় ? এই না হওয়ার পেছনে কি পদের লোভও ছিলো না ? দেশের কুল্লে শিক্ষা ব্যবস্থটা যেখানে সরকার নিয়ন্ত্রিত, আবার কিছটু জঙ্গিত্বের কালিমাও যেখানে আছে, সেখানকার শিক্ষার্থীদেরকে কোনো নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই একখোঁচায় ‘উজবক’ থেকে ‘মাস্টার্স’ বানিয়ে দেয়া হবে....কোন বোকার স্বর্গে বাস করি আমরা ? দেশের রাজনীতির আবহ পাল্টাতে যেমন একটা হেফাজতের বিপ্লব দরকার হয়েছে, তেমনি শিক্ষাব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তনে আরেকটা ৬ মে কি দরকার হবে না ? বিএনপিও তো কওমিদের রক্ত ঝরিয়েছে এই স্বীকৃতি আন্দোলনকে দমাতেই । আবার তাদের আশায় বসে থাকলে বড় বোকামি হবে...

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।