আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সময় বণ্টন যথাযথ হতে হবে

প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, শুভেচ্ছা নিও। আগামী মাসের ১ ও ৮ তারিখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যথাক্রমে খ ও ঘ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তোমরা যারা এ দুটো পরীক্ষায় অংশ নিতে যাচ্ছ তাদের প্রস্তুতি নিশ্চয় শেষ পর্যায়ে। তবে পরীক্ষায় ভালো করতে হলে জোরালে প্রস্তুতির পাশাপাশি কিছু বিষয়ের প্রতি খেয়াল রাখা খুবই জরুরি। তোমরা জান যে, খ ও ঘ উভয় ইউনিটের পরীক্ষায় মোট ১০০টি নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়।

এর মধ্যে বাংলা বিষয়ে প্রশ্ন থাকে ২৫টি, ইংরেজিতে ২৫টি এবং সাধারণ জ্ঞানে ৫০টি প্রশ্ন । কিন্তু পরীক্ষার জন্য বরাদ্দ সময় মাত্র ৬০ মিনিট।

প্রতিটি প্রশ্ন পড়ে বুঝে উত্তর দেওয়ার জন্য মাত্র ৩০ সেকেন্ড সময় পাবে। এ ছাড়া ইংরেজি অংশের জন্য বেশি সময় বরাদ্দ রাখলে তা আরও সংক্ষিপ্ত হয়ে যাবে। প্রশ্নপত্রের তিনটি অংশের মধ্যে কোন অংশের উত্তর আগে করা উচিত এ নিয়ে তোমরা অনেকেই দ্বিধায় ভুগ।

বরাদ্দ সময়ের যথাযথ বণ্টন করতে না পারলে তোমাদের সম্পূর্ণ পরিশ্রম ও স্বপ্ন ব্যর্থ হয়ে যাবে। এ জন্য কোন অংশের উত্তর আগে করবে তা তোমাদের আগে থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়ে রাখতে হবে। তোমরা প্রথমে বাংলা, তারপর সাধারণ জ্ঞান এবং শেষে ইংরেজি অংশের উত্তর করতে পার। তবে ইংরেজি অংশের জন্য ২৫-৩০ মিনিট সময় বরাদ্দ রাখার চেষ্টা করবে। কেননা বাকি দুটি অংশ অপেক্ষাকৃত সহজ হওয়ায় এতে অনেকেই ভালো নম্বর পায়।

তাই ইংরেজিতে ভালো করতে পারলে মেধা তালিকায় স্থান পাওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তোমরা তোমাদের পছন্দসই প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে পার। এক্ষেত্রে যথেষ্ট অনুশীলন দরকার। এর ফলে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকলে ১০ সেকেন্ডেরও কম সময়ে একটি প্রশ্নের উত্তর করা যায়। এ জন্য বাসায় ঘড়ি ধরে প্রতিদিন কয়েকটি করে পূর্ণাঙ্গ মডেল টেস্ট অনুশীলন করতে হবে।

কোনো প্রশ্নের উত্তর জানা না থাকলে সেটিতে বেশি সময় ব্যয় না করে অন্য প্রশ্নে চলে যেতে হবে। ভুল উত্তর প্রদান করা থেকে বিরত থাকবে। কারণ প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য প্রাপ্ত নম্বর থেকে ০.৩০ করে কাটা যাবে। মনে রাখবে, প্রত্যেকটি অংশে বা বিষয়ে আলাদাভাবে পাস করতে হবে।

পরীক্ষাকালীন অবশ্য স্মরণীয় একটি বিষয় হলো, উত্তরপত্রে উত্তর করার জন্য বাংলা, ইংরেজি ও সাধারণ জ্ঞান (ঘ ইউনিটের জন্য বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলির) অংশের জন্য নির্দিষ্ট জায়গায় বৃত্ত ভরাট করার কথা উল্লেখ থাকে।

কিন্তু কেউ কেউ তাড়াহুড়া করতে গিয়ে এক বিষয়ের স্থলে অন্য বিষয়ের উত্তর বা বৃত্ত ভরাট করে ফেলে। একবার ভুল করে ফেললে পরে তা সংশোধনের সুযোগ নেই। তাই এ বিষয়ে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। যানজটে ভরপুর ঢাকা শহরে রাস্তায় চলাচল খুবই কষ্টকর। তাই পরীক্ষার দিন হাতে যথেষ্ট সময় নিয়ে পরীক্ষার কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে রওনা দেবে।

মফস্বল বা গ্রামের শিক্ষার্থীরা আগের দিনই ঢাকায় চলে আসার চেষ্টা করবে। ঢাকার বিভিন্ন স্কুল ও কলেজে কেন্দ্র পড়ে। ফলে গ্রামের শিক্ষার্থীদের জন্য পরীক্ষার কেন্দ্র খুঁজে বের করা কষ্টকর হয়ে পড়ে। তাই সময়মতো কেন্দ্রে উপস্থিত হতে না পারার শঙ্কা থাকে। তাই সঠিক তথ্য সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট সময়ের অনেক আগে পরীক্ষার কেন্দ্রে উপস্থিত হবে।

* মো. জুবায়ের আল মাহমুদ

শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।