আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

" দেখেছি তার কালো হরিণ চোখ ৫"

আমার নিজের সম্পর্কে আমার ধারণা নেই :)

টেস্ট পরীক্ষা সামনে তাই তনু প্রায়দিনই ক্লাস মিস দিচ্ছে। মিতুর মেজাজ খারাপ হয়। এই মেয়েটা না একদম ফাজিল। ক্লাস করতে আসতে চায় না কেন? বাসায় বসে কি এমন উদ্ধার করে দিচ্ছে?? রাগ করে ও। কিন্তু এই রাগ শুধু দুই মিনিটের জন্যে।

প্রতিরাতে ও ঠিকই তনুকে ফোন দেয়। আর যদি ও না দেয় তাহলে তনুই ওকে ফোন করে। দুজনের মা দুজনকেই বকে, কি এত কথা থাকেরে তোদের প্রতিদিন? কিন্তু ওদের কথা থামে না এতেও। আসলে এই বয়সটাই এমন হয়তো। ওদের এস.এস.সি পরীক্ষাটাও শেষ হয়ে গেলো দেখতে দেখতে।

কলেজে ভর্তির আগে তিনমাসের বিশাল ছুটি। কোনো কাজ নেই হাতে। তনু বেড়াতে গেলো ওর বাবা-মার সাথে ওর বাবা যেখানে চাকরি করে সেখানে। আর মিতু ঢাকাতেই দিন কাটালো। মিতুর মামাতো ভাই বিদেশে চলে যাচ্ছে।

ভাইয়া ওদের সাথেই থাকত ঢাকাতে। যাওয়ার আগে মিতুকে ভাইয়া নিজের মোবাইলটা দিয়ে গেলো। বলে গেলো কিছুদিন পর মামীর হাতে যেন মোবাইলটা দিয়ে দেয়। আপাতত মিতুর কাছেই থাক। মোবাইলটা পেয়ে মিতু যে আকাশের চাঁদ পেল।

কি করা যায় মোবাইল নিয়ে তাই তার একমাত্র চিন্তা। মোবাইলে ওর ফ্যামিলির সবার নাম্বার সেভ করা আছে। মোবাইল নিয়ে এগুলো দএখতে দেখতেই চোখে পড়লো সায়েম ভাইয়ার নাম্বারটা। সায়েম ভাইকে একটা মিসকল দিবে নাকি?? অনেকক্ষন তাকিয়ে থাকল নাম্বারটার দিকে মুখস্তও হয়ে গেলো নাম্বারটা। কিন্তু সাহস করে ফোন দেওয়া হলো না।

সায়েমের সামনে এইচ.এস.সি পরীক্ষা। কিন্তু পড়াতে ওর মন নেই। ক্লাস, কোচিং সব বন্ধ। আর তাই রীমার মুখটাও দেখা বন্ধ। পড়ার টেবিলে বসলেই ওর মুখটা চোখের সামনে ভেসে উঠে।

নাহ, রীমাকে ও ফোন দিবে আজকেই। ওর সাথে দেখা করতে হবে। ও কে জানাতে হবে যে সায়েম শুধু রীমাকেই ভালোবাসে। রীমাকে ফোন দিলো সায়েম। ওপাশ থেকে রীমার কণ্ঠ শুনলো।

"হ্যালো, রীমা, আচ্ছা কাল কি তুই একটু বের হতে পারবি?" "কাল? কেনো? কোথায় যেতে হবে? কোনো সমস্যা??" " নাহ, সমস্যা না। তোর সাথে আমার একটু কথা ছিল। খুব জরুরী। " " ঠিক আছে। কখন বের হতে হবে?" (** অনেকদিন গ্যাপ দিলাম লেখাটাতে।

একটু অলস সময় কাটাচ্ছিলাম আসলে। কিন্তু এরপর থেকে প্রতিদিনই লেখার চেষ্টা করব। **) " দেখেছি তার কালো হরিণ চোখ ৪" "দেখেছি তার কালো হরিণ চোখ ৩"

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।