আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শেষ সময়ে প্রশাসনে ‘বড়’ পদোন্নতি আসছে

অতিরিক্ত সচিব ও উপ-সচিব পর্যায়ে পদোন্নতি দিতে ইতোমধ্যেই মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সভাপতিত্বে সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ডের (এসএসবি) কয়েকটি সভা হয়েছে। বুধবারও একটি সভা হয়।
সর্বশেষ সভার আগে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আবদুস সোবহার শিকদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পদোন্নতির জন্য তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে।
“সিনিয়র সহকারী সচিবদের উপ-সচিব এবং যুগ্ম-সচিবদের অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি দেয়ার প্রস্তুতি চলছে। ”
যুগ্ম-সচিব পদে কয়েক দফা পদোন্নতি দেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আপাতত ওই পদে নতুন করে পদোন্নতি হচ্ছে না।


আগামী ২৪ জানুয়ারির মধ্যে দশম সংসদ নির্বাচন হবে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেও ‘রুটিন ওয়ার্কের’ বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে জনপ্রশাসনের আড়াই শতাধিক কর্মকর্তাকে শেষ সময়ে পদোন্নতি দেয়া হচ্ছে।
এই পদোন্নতিতে এর আগে ‘বঞ্চিত’ কর্মকর্তা ছাড়াও সরকারের ‘অনুগত’ কর্মকর্তাদের প্রাধান্য থাকছে বলেও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন তারা।
উপ-সচিব পদে পদোন্নতি পাওয়া কর্মকর্তারাদের মধ্য থেকেই পরবর্তীতে জেলা প্রশাসক নিয়োগ করা হবে।

আর জেলা প্রশাসকরাই সাধারণত নির্বাচনের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেন।
প্রধান বিরোধী দল বিএনপি অভিযোগ করে আসছে, নির্বাচনে প্রভাব খাটানোর জন্য প্রশাসনকে ‘সাজাচ্ছে’ সরকার।
নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহের শেষে অথবা চতুর্থ সপ্তাহের শুরুতে নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকার গঠন করা হচ্ছে বলে এরই মধ্যে জানিয়েছেন যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
এর আগে গত ২ সেপ্টেম্বর সচিব সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ক্ষমতায় থাকলেও নির্বাচনের সময় কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেবেন না তারা।
আর জনপ্রশাসন সচিব বলছেন, সর্বদলীয় সরকার গঠনের আগে প্রশাসনে বড় ধরনের রদবদল না করতে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে।


তফসিল ঘোষণার পর থেকে পরবর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার আগ পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরগুলো নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকবে।
আবদুস সোবহান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তফসিল ঘোষণার পর কেবল নির্বাচন কমিশন চাইলেই প্রশাসনে রদবদল করা হবে। ”
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২ হাজার ৫২৮ জন কর্মকর্তা পদোন্নতি পেয়েছেন।
সর্বশেষ গত ১০ সেপ্টেম্বর ৭২ জন উপ-সচিবকে পদোন্নতি দিয়ে যুগ্ম-সচিব করা হয়। এর আগে গত জুলাই মাসে ৩৪৫ জন উপ-সচিবকে পদোন্নতি দিয়ে যুগ্ম-সচিব করা হয়।


এছাড়া গত মার্চেও ২০৪ জন সিনিয়র সহকারী সচিবকে উপ-সচিব হিসাবে পদোন্নতি দেয়া হয়।
এই সরকার আমলে পদোন্নতি পেয়ে ৭৮ জন সচিব, ২৯৩ জন অতিরিক্ত সচিব, ১ হাজার ৯১ জন যুগ্ম-সচিব এবং ১ হাজার ৬৬ জন উপসচিব হয়েছেন।
সরকারের শেষ বছর ২০১৩ সালে পদোন্নতি পান ৬১৭ জন কর্মকর্তা। এর মধ্যে সচিব পদে ১৭ জন, যুগ্ম-সচিব পদে ৪০১ জন এবং উপ-সচিব পদে ১৯৯ জন পদোন্নতি পেয়েছেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ৫ নভেম্বরের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ৫৭টি অনুমোদিত পদের বিপরীতে সচিব রয়েছেন ৭২ জন।


এর মধ্যে মো. এবাদত আলী, মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, মো. নুরুল হক ও মোহাম্মদ মোশারাফ হোসেন ভূঁইয়া ওএসডি রয়েছেন।
আর ১০৮টি অনুমোদিত পদের বিপরীতে অতিরিক্ত সচিব রয়েছেন ২৩৯ জন। ৪৩০টি যুগ্ম-সচিবের অনুমোদিত পদের বিপরীতে রয়েছেন ১ হাজার ১৬ জন। ৮৩০টি উপ-সচিব পদের বিপরীতে রয়েছেন ১ হাজার ৩১৮ জন কর্মকর্তা।
এছাড়া ২ হাজার ৩৪০টি সিনিয়র সহকারী সচিবের বিপরীতে রয়েছেন ১ হাজার ৪৪৩ জন।

১ হাজার ৮৭০টি সহকারী সচিব পদের অনুমোদন থাকলেও এই পদে রয়েছেন ১ হাজার ৩৫ জন কর্মকর্তা।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।