আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মেসির কাছে হারল মিলান

গত তিন ম্যাচে গোল পাননি মেসি। স্বভাবতই ক্ষুধাটা ছিল। কিন্তু সেই ক্ষুধার আগুনে এসি মিলানকে শেষ পর্যন্ত পুড়িয়ে ছাড়লেন লিওনেল মেসি। তাঁর দুই গোলে গত রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতালীয় জায়ান্টদের ৩-১ গোলে হারিয়েছে বার্সেলোনা।
বার্সেলোনার প্রথম গোলটির উত্সমুখ রচনা করেছিলেন অবশ্য নেইমার।

মিলানের বিপদসীমানায় ব্রাজিলীয় এই তারকাকে ফেলে দেন ইগনাজিও আবাতে। প্রাপ্ত সুযোগ কাজে লাগিয়ে নিজের গোলখরা কাটান মেসি। এগিয়ে যাওয়ার ৯ মিনিটের মধ্যে সার্জিও বুসকেটসের গোলে মিলানকে আরেক ধাপ পেছনে ফেলে কাতালানরা। প্রথমার্ধের একেবারে শেষ লগ্নে জেরার্ড পিকের আত্মঘাতী গোল বিপদের আশঙ্কা তৈরি করলেও সেটাকে খুব বড় হয়ে উঠতে দেননি মেসি। ম্যাচের ৮৩ মিনিটে তাঁর আরও একটি গোল বার্সেলোনাকে তুলে দেয় ইউরোপ-সেরার লড়াইয়ের নকআউট পর্বে।


ন্যু ক্যাম্পের লড়াইয়ে প্রথম থেকেই রক্ষণাত্মক ছিল মিলান। কিন্তু তাদের প্রতিরোধ ভেঙে পড়ে ম্যাচের ৩০ মিনিটের সময় আবাতের ক্ষণিকের ভুল বার্সাকে পেনাল্টি পেতে সহায়তা করে। নেইমারকে উদ্দেশ্য করে ইনিয়েস্তা মিলানের বক্সে বল ফেললে আবাতো তাঁকে বাধা দেন। কিন্তু ওই বাধায় নেইমার মাটিতে পড়ে গেলে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দিয়ে দেন রেফারি। মেসি মিলান গোলরক্ষক ক্রিস্টিয়ান আবিয়াতির বাম দিক দিয়ে তীব্র শটে গোল করে পেনাল্টিটি কাজে লাগান।


এর ঠিক ১০ মিনিটে পর বার্সেলোনার পক্ষে দ্বিতীয় গোলটি করেন সার্জিও বুসকেটস। মিলানের সীমানার ডান প্রান্তে প্রাপ্ত ফ্রি-কিকটি নিয়েছিলেন জাভি। তাঁর বাঁকানো ক্রসটিতে মাথা ছুঁয়ে গোল করেন বুসকেটস। প্রথমার্ধের একেবারে শেষে বার্সার বক্সের মধ্যে বামপ্রান্ত দিয়ে বিপজ্জনকভাবে ঢুকে ক্রস করেন কাকা। ওই ক্রসটি ফেরাতে গিয়ে তা নিজেদের জালেই জড়িয়ে দেন পিকে।

দ্বিতীয়ার্ধের ৬৩ মিনিটে সমতা প্রায় ফিরিয়েই দিয়েছিল মিলান। মারিও বালোতেল্লির দ্রুতগতিতে বার্সা সীমানায় ঢুকে দুজন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ক্রস ফেলেন বক্সের মধ্যে। কিন্তু তা অল্পের জন্য কাকার নাগালের বাইরে দিয়ে চলে যায়।

এর আগে অবশ্য দারুণ একটা গোল পেয়ে গেলেও যেত পারতেন নেইমার। কিন্তু এসি মিলানের চার খেলোয়াড়কে অসাধারণ ড্রিবলিং-গুণে পেছনে ফেলে নেইমার যে শটটি নেন, তা অল্পের জন্য পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়।

এর পরপরই পোস্টের একেবারে সামনে থেকে অ্যালেক্সিস সানচেজের নেওয়া শট কোনোমতে ফেরান মিলান গোলরক্ষক।

৮৩ মিনিটে মেসির পা থেকে আসা জয়সূচক গোলটি ছিল দৃষ্টিনন্দন। সেস ফ্যাব্রিগাসের সঙ্গে দারুণ এক ‘আদান-প্রদান’ খেলে ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন মেসি। প্রথমে মেসি বক্সের বাইরে থেকে বল ঠেলেন ফ্যাব্রিগাসের দিকে। ফ্যাব্রিগাস তা ধরে দেন বক্সের মধ্যে দৌড়ে ঢুকে পড়া মেসির দিকে।

আর্জেন্টাইন তারকা বলটি ধরে এমন ঢংয়ে মিলানের পোস্টে ঠেলে দেন যা দেখে মনে হতে পারে ফুটবল খেলাটা মেসির কাছে কত সহজ! সূত্র: রয়টার্স।   

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।