আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

‘ভোট চাইতে যাওয়ার আগে যুদ্ধাপরাধের রায় কার্যকর করতে হবে’

বৃহস্পতিবার ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে সমমনা সাংস্কৃতিক, সামাজিক সংগঠন ও মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে ১৪ দলের নেতাদের বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলির সদস্য সফিউল্লাহ বলেন, “যুদ্ধাপরাধের রায় কার্যকর হলে আমরা মানুষের কাছে গিয়ে ভোট চাইতে পারবো। তাদের বলতে পারবো আমরা প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছি। ”
তিনি বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল- যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবে। আর এজন্যই দেশের তরুণ প্রজন্ম আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করেছিল।


এই মুক্তিযোদ্ধা মনে করেন, সরকার গঠনের পরে যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরুতে দেরি হওয়া এবং চলমান বিচার প্রক্রিয়ার ধীরগতির কারণে বিচার কাজ এখনো শেষ হয়নি।
“এখন যদি আমরা ভোট চাইতে যাই তাহলে জনগণ জিজ্ঞেস করবে। তখন আমরা কী জবাব দেব,” প্রশ্ন করেন একাত্তরে রণাঙ্গনের সেক্টর কমান্ডার।
মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিগুলোকে সতর্ক করে তিনি বলেন, “মনে রাখবেন, আমরা যদি নির্বাচনে ফেইল করি তাহলে এদেশের মাটিতে কোনো যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি হবে না। মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে ধরে ফাঁসিতে ঝোলানো হবে।


বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০১০ সালের ২৫ মার্চ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠনের মধ্য দিয়ে যুদ্ধাপরাধের বহু প্রতীক্ষিত বিচার শুরু হয়।  এখন পর্যন্ত নয় জনের মামলার রায় দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল, যার মধ্যে সাত জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। আর তিন জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
অবশ্য ট্রাইব্যুনালের রায়ে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হলেও পরে গত ১৭ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের রায়ে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় চূড়ান্ত রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি একমাত্র তিনিই।


মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ট্রাইব্যুনালে আরো বেশ কয়েকজনের বিচার চলছে।
বৈঠকে সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদবিরোধী মঞ্চের আহবায়ক অজয় রায় ছাত্র ও যুব সংগঠনগুলোকে একত্রিত করার পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয়ে থানা পর্যায়ে সচেতনতা তৈরি করতে কোনো কর্মসূচি হাতে নেয়া যায় কি না তা নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু বলেন, “আগামী নির্বাচন শুধু গণতন্ত্রের জন্যই নয়, বরং তা নির্ধারণ করবে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত অসাম্প্রদায়িকতা টিকে থাকবে কি না। ”
এজন্য সাংস্কৃতিক কর্মীদের সংগঠিত হয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান এই মুক্তিযোদ্ধা।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।