আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দুই দলকে সিপিবি-বাসদের ২৪ ঘণ্টা সময়

শুক্রবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভা থেকে সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম এই আহ্বান জানান।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকেন্দ্রিক ‘দ্বি-দলীয় বৃত্ত’ ভাঙার শ্লোগান নিয়ে শিখা চিরন্তন চত্বরে সিপিবি-বাসদের এই সমাবেশ হয়।
বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান ছাড়াও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না এবং গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি মফিজুল ইসলাম খান কামাল এবং সিপিবি-বাসদের শীর্ষ নেতারা সভামঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।
সিপিবি সভাপতি বলেন, “এরশাদের সময় আমরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঐকমত্যে এসেছিলাম। এখন কেন আমরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একটি বিষয়ে একমত হতে পারব না।


“বিরোধী দলকে বলছি, আপনারা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হরতাল প্রত্যাহ্যার করেন। প্রধানমন্ত্রীকে বলছি, আপানারা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঐকমত্যে আসেন। ”
দুই দফায় ছয় দিন হরতালের পর ফের রবি থেকে মঙ্গলবার ৭২ ঘণ্টার এই হরতাল ডেকেছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট।
তাদের দাবি, দশম সংসদ নির্বাচন নির্দলীয় সরকারের অধীনে হতে হবে। তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তা মানতে নারাজ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ইতোমধ্যে নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে ক্ষমতাসীনরা।
বড় এ দুই দলের উদ্দেশ্যে মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, “সংঘাত-সংঘর্ষে আপনারা দেশকে এমন জায়গায় নিয়ে যাচ্ছেন যে আবারো অশুভ শক্তি এসে আমাদের ওপর চেপে বসবে। ”
কূটনীতিকসহ বিভিন্ন মহলের তাগিদের মধ্যে সংলাপের উদ্যোগের অংশ হিসেবে গত ২৬ অক্টোবর খালেদা জিয়াকে টেলিফোন করে আলোচনার আমন্ত্রণ জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
হরতালের মধ্যে সে আমন্ত্রণ গ্রহণ করতে অসম্মতি জানিয়ে বিরোধীদলীয় নেতা বলেছিলেন, হরতাল শেষে আলোচনা করতে তিনি রাজি।
এরপর দুই পক্ষ নতুন করে আলোচনার উদ্যোগ নিতে পরস্পরকে বলে আসছে।


এরই মধ্যে ব্যবসায়ী নেতারা মহাসচিব পর্যায়ে বৈঠকের একটি প্রস্তাব নিয়ে দুই নেত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। দুই নেত্রীই বলেন সংলাপের দরজা খোলা। কিন্তু সমঝোতার সেই চেষ্টা এখনো সফলতার মুখ দেখেনি।
সিপিবি-বাসদের পক্ষ থেকেও সমঝোতার উদ্যোগ নেয় হয়; প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলীয় নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন এ দুই বাম দলের প্রতিনিধিরা। আশা জাগাতে পারেনি তাদের চেষ্টাও।

  
সংলাপ না হওয়ার জন্য বিএনপি ও আওয়ামী লীগ পরস্পরকে দায়ী করে আসছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার বলেন,বিরোধীদলীয় নেতার আমন্ত্রণ বহাল আছে। তারা হরতাল না করার অঙ্গীকার করলেই আলোচনা হতে পারে।
অন্যদিকে বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়াও বৃহস্পতিবার বলেছেন, আলোচনার দ্বার খোলা। তবে একইসঙ্গে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

 

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।