আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দালাল----(১৮ +)



কিছু দিন আগে বিটিআরসিতে গেলাম গাড়ির রেজিস্ট্রেশান ও নাম্বার প্লেট আনতে। গিয়ে দেখি বিশাল লম্বা লাইন। সেই বিআরটিসি গেট থেকে কচুক্ষেত চলে গেছে। ভয় পাইলাম সারাদিন ও মনে হয় পারমু না। বাপ আমারে আজকে দিব ঝাড়ি ক্যান সকাল ৫ টায় গেলাম না।

কিন্তু সাহস হারাইলাম না। জানি সামনেই আছে মুশকিল আছান করার সোনার ছেলে। ৮০০ টাকা দিলাম হইয়া গেল। সময় লাগলো ১ ঘণ্টা। আমার মত এমন অনেক ভুগতভুগি আছেন যারা বিআরটিসি তে যাতায়াত করেন এবং টেনশন করেন।

তাদের মধ্যে অনেকে আবার আমার মত দুর্নীতিকে প্রসয় দেন। যাইকগা আসল কথা কই। এই সব সোনার ছেলেদের আমরা সাধারন ভাষায় বলি দালাল। দালাল শব্দের ইংলিশ হল medium , বাংলাদেশ সহ সব দেশেই দালাল দেখেতে পাওয়া যায়। তাদের সম্মান ও ইনকাম অনেক।

তাই বলে আমাদের দেশে এইটা ভাবা ভুল। আমাদের দেশে এক এক জায়গায় এক এক রকম দালাল দেখতে পাওয়া যায়। বর্তমান যুগে দালাল ছাড়া কিছু করা যায় বলে কাও চিন্তা করে না। সব কিছু তে লাগে দালাল। সরকারি কামে বেশি লাগে।

বিদেশ যাইবেন ধরবেন দালাল। জমিজমা বেচতে গেলে লাগে দালাল। কিনতে গেলেও আসে দালাল। চাকরি পাইতে গেলে দালাল। খেলা দেখেতে গিয়া ও মানুষ দালালে খোঁজ করে।

পোলাপাইন টিউশনি করব তাও মাঝে মাঝে লাগে দালাল। আবার যারা হোটেলে হোটেলে গিয়া খারাপ কাম করে ওরাও দালাল খুজে। আজব বেপার হইল আইবার গরু কিনতে গিয়াও দেখলাম দালাল। সব জায়গায় এখন দালালদের অবাধ বিচরন। সামুতেও বাদ নাই।

সামুতে আছে আওয়ামী দালাল বিএনপি দালাল আর আছে জামায়াত দালাল। তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতার জন্য অবশ্য দালাল নামে কেউ ডাকে না। ডাকে যথাক্রমে বাল, হনু এবং ছাগু। তাহারা কেউ গালি দেয় না। নিজ নিজ কর্মে উজ্জলতার সাথে কাজ করে।

নিজ দলের খারাপ দিক দেখেতে পায় না। সব সময় খারাপে ও ভাল বলে। অনেক টাকা পায় নাকি শুনছি। যাইকগা মানুষ এখন অনেক স্মার্ট। পোলাপাইন এখন কেউ জব করতে চায় না।

৯-৫ টা চাকরি কার ভাল লাগে? কত খাটনি ! কিন্ত কম্পিউটারে সামনে নেট নিয়া সারাদিন ফেছবুকে সামুতে বসে কটা লাইন লিখেলে যদি টাকা পাওয়া যায় তাইলে দরকার নাই এমন চাকরি। সুতরাং সামুর দালাল ভাইরা কেউ যদি আমারেও সামুতে দালালি করার একটা আইডিয়া দিতেন। আমি শুরুতে আল্প টাকায় করতে রাজি আছি

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।